একুশ শতকের স্বৈরশাসকদের পতনের ইতিহাস
- আপডেট সময় : ০৩:৪৩:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ৩৫০ বার পড়া হয়েছে
যখন সমাজের একটি বড় অংশের মানুষ মৌলিক চাহিদা ও সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়, তখন তারা সরকার বা শাসকের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে। এই জমতে থাকা অসন্তোষ একসময় রূপ নেয় গণ-আন্দোলনে। সাধারণ জনগণের এই সংগ্রামের চূড়ান্ত পরিণতি গণঅভ্যুত্থান। যুগে যুগে এই গণঅভ্যুত্থানের মুখে পরাজয় বরণ করেছে শাসক ও শোষকেরা। কিন্তু এরপর কী ঘটেছে এসব দেশের ভাগ্যে? ২১ শতকে বিশ্বজুড়ে ঘটে যাওয়া কিছু গণঅভ্যুত্থানের কথাই জানাবো এবার।
একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রুশ পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে পশ্চিমা নির্ভরশীলতা থেকে সরে এসে একটি স্বতন্ত্র নীতি গ্রহণ করেন। ফলে পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়ার ওপর চাপ জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেয়। এবং রাশিয়ার প্রতিবেশী ও মিত্র রাষ্ট্রগুলো থেকে রুশপন্থী সরকারগুলোকে উৎখাত করার জন্য সরকারবিরোধী দলগুলোকে সক্রিয় সমর্থন দিতে শুরু করে। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার নামে তারা প্রকাশ্যে এসব রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে শুরু করে। রাষ্ট্রগুলোতে শুরু হয় ‘রঙিন বিপ্লব’।
১. যার প্রথম ধাপ হিসেবে ২০০৩ সালে জর্জিয়ায় ‘রোজ রেভোলিউশন’ সংঘটিত হয় এবং রুশপন্থী রাষ্ট্রপতি এডুয়ার্ড শেভার্দনাদজে ক্ষমতাচ্যুত হন। দেশটিতে সোভিয়েত যুগের নেতৃত্বের অবসান হয়। দীর্ঘমেয়াদি মার্কিন পরিকল্পনায় গোলাপ বিপ্লবের তিন বছরে বিদেশি আর্থিক সহায়তা কমতে শুরু করে। পরবর্তীতে, বিদেশি রাষ্ট্র এবং সংস্থাগুলো জর্জিয়ার অভ্যন্তরে এনজিও এবং বিরোধী দলগুলোকে আর্থিক সহায়তা দিতে থাকে।
২০ দিনব্যাপী চলা গণঅভ্যুত্থানের শেষে ২০০৩ সালের ২৩ নভেম্বর মিখাইল সাকাশভিলির নেতৃত্বে বিক্ষোভকারীরা লাল গোলাপ হাতে নিয়ে সংসদ অধিবেশনে হামলা চালায়। পরবর্তীতে সংসদ ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইউনাইটেড ন্যাশনাল মুভমেন্ট নামে জোট ক্ষমতায় আসে। এবং মিখাইল সাকাশভিলি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন। এরপর ২০০৪ সালের মে মাসে জর্জিয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের সমর্থনে ‘সেকেন্ড রোজ রেভোলিউশন’ হয় আদজারায়। এই অভ্যুত্থানে ফলে জর্জিয়ার অন্তর্গত মুসলিম–অধ্যুষিত আদজারা স্বায়ত্তশাসিত প্রজাতন্ত্রের রুশপন্থী রাষ্ট্রপ্রধান আসলান আবাশিদজেও ক্ষমতাচ্যুত হয়ে মস্কো পালিয়ে যান।
তবে ‘পশ্চিমাপন্থী’ হিসেবে সমালোচিত মিখাইল সাকাশভিলি দেশের অর্থনীতির উন্নতি করতে সক্ষম হয়েছিল। তিনি ব্যাংকিং খাতকে ৪০ শতাংশ সম্প্রসারণ করে, বিদেশি বিনিয়োগ ৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করেন। ২০০৪ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত জর্জিয়ায় রাষ্ট্রপতি ছিলেন মিখাইল সাকাশভিলি।
২. ২০০৫ সালে রঙিন বিপ্লবের ছোঁয়া লাগে পূর্ব ইউরোপের আরেক দেশ ইউক্রেনে। প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের ফলে সরকারবিরোধী আন্দোলনের সূচনা হয়। যা ‘অরেঞ্জ রেভোলিউশন’ নামে পরিচিত। ২০০৪ সালের শেষের দিকে প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে জয়ী হন রুশপন্থী ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ। নির্বাচনের পরই ইউক্রেনে বিক্ষোভ শুরু হয়। দাবি ওঠে নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে নতুন করে নির্বাচন দেয়ার। বিরোধীদের ক্রমাগত আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ। নতুন নির্বাচনে বিপ্লব-পন্থীরা জয়ী হলেও ইউক্রেনের সংকীর্ণ রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি।
৩. ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর মধ্য এশিয়ার অন্যতম স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক দেশ ছিল, কিরগিজস্তান। নব্বই দশকের শুরুর দিকেই দেশটিতে স্বাধীন গণমাধ্যম গড়ে ওঠে। বাণিজ্যের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় বিদেশি বিনিয়োগ। কিরগিজস্তান পরিচিতি পায় ‘গণতন্ত্রের দ্বীপ’ হিসেবে। তবে তা ধরে রাখতে পারেনি দেশটি, দ্রুতই ঢুকে যায় কর্তৃত্ববাদী শাসনের অধীনে। শুরু হয় ‘টিউলিপ রেভোলিউশন’। এতে প্রাণ হারান প্রায় শ’খানেক মানুষ।
২০০৫ সালে কিরগিজস্তানের নাগরিকেরা আকায়েজ সরকারের এই কর্তৃত্ববাদ আর ব্যর্থতার প্রতিবাদে রাস্তায় নামে। ফলে পতন ঘটে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা আকায়েভ সরকারের। প্রেসিডেন্ট আসকার আকায়েভ পালিয়ে যান মস্কোতে। তবে আকায়েভ সরকারের পতনের পর দেশটিতে আন্তঃকোন্দল ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন গোষ্ঠীর মাঝে দাঙ্গা বেধে যায়।
৪. বিপ্লবের স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে আরব দেশগুলোতেও। ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল, লাখো নিরীহ জনতার রক্তের বিনিময়ে লেখা হয় আরব বসন্তের করুণ ইতিহাস।
২০১০ সালের ১৭ ডিসেম্বর। পুলিশের দুর্নীতির প্রতিবাদে তিউনিসিয়ার ফুটপাতের সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ বোয়াজিজি নিজের গায়ে আগুন জ্বেলে আত্মাহুতি দেন। ২৬ বছর বয়সী ওই যুবকের আত্মাহুতির খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। এই ঘটনা থেকেই জন্ম হয় আরব বসন্তের। তিউনিসিয়ার মানুষ শুরু করে আন্দোলন। পুঞ্জীভূত ক্ষোভ রূপ নেয় সহিংসতায়। তীব্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হন দেশটির প্রেসিডেন্ট জায়নাল আবদিন বেন আলী। পালিয়ে যান সৌদি আরবে। ইতি ঘটে ২৩ বছর ধরে চলা বেন আলীর শাসনামলের। এরপরও অব্যাহত আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে কাটে তিউনিসিয়ার পরবর্তী তিনটি বছর। এতকিছুর পরও দেশটিতে গণতন্ত্র এখনো অধরা।
৫. ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে তুমুল গণ-আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হন মিসরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক। কিন্তু তিনি ক্ষমতাসীন থাকা অবস্থায় আন্দোলনকারীদের দমনে ব্যাপক ধর-পাকড় চালান। অ্যামনেস্টির মতে, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে তখন অন্তত ৮০০ আন্দোলনকারী নিহত হন এবং ছয় হাজারের বেশি লোক আহত হন। মোবারকের পতনের পর দেশটিতে গণতান্ত্রিকভাবে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হন মুসলিম ব্রাদারহুডের মোহাম্মদ মুরসি। তবে গণতন্ত্রের সেই ধারাবাহিকতা আর থাকেনি। তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনা-সমর্থন নিয়ে ক্ষমতাসীন হন সাবেক সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি।
সিসির ক্ষমতায় আরোহণকে কেন্দ্র করে আবার উত্তাল হয়ে ওঠে মিশর। তবে বেশ শক্ত হাতে পরিস্থিতি সামাল দেন সিসি। মুরসিসহ মুসলিম ব্রাদারহুডের অনেক নেতাকে বন্দি করা হয়। এসব বন্দির মধ্যে শত শত ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডও দেয়া হয়। এই তালিকায় আছেন দেশটিতে প্রথমবারের মতো গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুরসিও।
৬. ২০ অক্টোবর, ২০১১। ইতিহাসের পাতায় লেখা হলো একটি করুণ মৃত্যুর কথা। অবসান হলো দোর্দণ্ড প্রতাপশালী এক নায়কের। ৪২ বছর ক্ষমতায় থাকার পর টলে যায় লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মর গাদ্দাফির মসনদ। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সমর্থনপুষ্ট বিরোধী একটি গোষ্ঠীর হাতে আটক হন তিনি। নির্মমভাবে হত্যা করা হয় তাকে।
১৯৬৯ সালে মাত্র ২৭ বছর বয়সে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাজতন্ত্রের পতন ঘটিয়ে লিবিয়ার ক্ষমতা দখল করেন কর্নেল মুয়াম্মর গাদ্দাফি। উন্নত বিশ্ব থেকে পিছিয়ে থাকা যাযাবর জাতির লিবিয়াকে গাদ্দাফি একটি আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত করেন। আফ্রিকার সবচেয়ে সম্পদশালী রাষ্ট্রে পরিণত করেন একসময়ের দরিদ্র লিবিয়াকে। সেই লিবিয়া আজ ধ্বংসস্তূপ। ক্রমাগত গৃহযুদ্ধে পঙ্গু হয়ে যায় দেশটির অর্থনীতি। গাদ্দাফির মৃত্যুতে উঠে দাঁড়াতেই পারেনি লিবিয়া।
৭. আরব বসন্তর ঢেউ ইয়েমেনে পৌঁছাতে বেশি সময় নেয়নি। ৯০ এর দশক থেকে দেশটির সরকার ব্যাপকভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। অস্বাভাবিক দুর্নীতি দেশটির দরিদ্রতার হার বাড়িয়ে দেয়। দানা বাঁধতে থাকে ক্ষোভ। ২০১১ সালে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা রাষ্ট্রপতি আলী আবদুল্লাহ সালেহকে অপসারণের জন্য আন্দোলনের শুরু হয়। মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে গ্রেনেড লঞ্চারের শিকার হয়ে মারাত্মক আহত হন তিনি। ২০১২ সালে তারই ডেপুটি আবদুর রহমান মানসুর হাদীকে ক্ষমতায় বসিয়ে সালেহ ইতি টানলেন ৩২ বছরের কুশাসনের।
এতকিছুর পরও ইয়েমেনবাসীর জীবনে স্বস্তি ফিরে আসেনি। হাদির নেতৃত্বাধীন সরকার দেশটিতে বিদ্যমান রাজনৈতিক বিভাজনকে একত্রিত করে আরব উপদ্বীপের আল কায়দা এবং হুতিদের মোকাবেলা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সৌদি আরব, মার্কিন এবং ইরানের আগ্রাসনে আরও ঘনীভূত হয় সংকট। অব্যাহত গৃহযুদ্ধে প্রাণহানি আর বাস্তু চ্যুত হয় লাখ লাখ সাধারণ মানুষ। মহামারী আর দুর্ভিক্ষে ছেয়ে যায় মধ্যযুগের সমৃদ্ধ বাণিজ্যিক রাষ্ট্র ইয়েমেন।
৮. বিপ্লবের উত্তেজনা দেখা দেয় এশিয়াতে। অর্থনীতির অব্যবস্থাপনা এবং তীব্র মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে দৈনিক বিদ্যুৎ বিভ্রাট, জ্বালানি ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামবৃদ্ধি ও ঘাটতির কারণে ২০২২ সালের মার্চ মাস থেকে উত্তাল হয়ে ওঠে শ্রীলঙ্কা। বিক্ষোভকারীরা রাষ্ট্রপতি গোটাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবি জানায়। বেশিরভাগ বিক্ষোভকারীই কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত ছিলেন না। অব্যাহত অবরোধ, ধর্মঘট, বিক্ষোভের মুখে ১২ জুলাই পদত্যাগ করেন রাষ্ট্রপতি গোটাবায়া রাজাপাকসে। বিমান বাহিনীর বিমানে করে দেশ ছেড়ে মালদ্বীপ চলে যান। ঔদ্ধত্যের বিরুদ্ধে মানবীয় এক গণঅভ্যুত্থান ঘটায় শ্রীলঙ্কার সাধারণ জনতা। ২০২৪ সালে এসে অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশটি। দুবছর আগে যে চরম অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, সেখান থেকে স্থিতিশীল হচ্ছে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি।
৯. এরপর গণঅভ্যুত্থানের জোয়ার আসে দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশে। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীদের কোটা সংস্কারের জন্য শুরু হয় আন্দোলন। এক পর্যায়ে ১৫ বছর ধরে চলতে থাকা সরকারের দুর্নীতি ও দমন-নিপীড়নের মুখে তা সরকার পতনের দাবিতে পরিণত হয়। ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে পালিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই গণ-আন্দোলনে ঝরে যায় হাজারো প্রাণ।
১০. ইতিহাস আর প্রাচুর্যে ভরপুর মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সিরিয়া। ২০১১ সাল থেকেই এখানে চলছে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ। টানা পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে সিরিয়া শাসন করছে আল-আসাদ পরিবার। ১৯৭১ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন হাফিজ আল-আসাদ। ২০০০ সালে তাঁর মৃত্যুর পর ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন ছেলে বাশার আল-আসাদ। টানা ২৪ বছর ধরে প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন রাশিয়া ও ইরানের মদদ পুষ্ট বাশার আল-আসাদ।
বাশার আল-আসাদের শাসন কাঠামোর বিরুদ্ধে জনগণ, বিশেষ করে দেশটির বেকার তরুণরা প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। আন্দোলন দমনে সরকারের আগ্রাসনে রাজপথে রক্ত ঝরে, অশান্তি ও সংঘাত ছড়ায় দেশজুড়ে। এরপর সিরিয়া সংকটে একে একে জড়িয়ে পড়ে আঞ্চলিক বিদ্রোহী শক্তি থেকে বৈশ্বিক পরাশক্তিগুলো।
সম্প্রতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম দখল করে নেয় সিরিয়ার বিভিন্ন শহর। ৮ ডিসেম্বর দামেস্কে ঢুকে পড়ে বিদ্রোহীরা। দামেস্ক ছেড়ে মস্কো পালিয়ে যান বাশার আল-আসাদ। এই বিদ্রোহের প্রত্যক্ষ মদদদাতা যুক্তরাষ্ট্র এবং তুর্কিয়ে।
এদিকে আসাদ পালিয়ে যাওয়ার পরই সিরিয়ায় দেদারছে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। গোলান মালভূমির বড় একটি অংশ দখল করে নিয়েছে তারা। হামলা চালাচ্ছে দখলকৃত সিরিয়ার বিভিন্ন স্থাপনায়। হাসিমুখে টেলিভিশনে এই ঘোষণা দিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার ফলে সিরিয়ার কতটুকু লাভ বা ক্ষতি হয়েছে, তা সামনের দিনগুলোতেই বোঝা যাবে।