ঢাকা ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার শেষ সময়ের প্রস্তুতি চলছে

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৫৬:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৪০৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শেষ সময়ের প্রস্তুতি চলছে ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার। এখনও মেলার সব স্টল, প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ শেষ না হলেও আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা ইপিবির। প্রধান উপদেষ্টার উদ্বোধন করার পর মেলা চলবে পরবর্তী একমাস। মেলায় এবার ১১টি ক্যাটাগরিতে স্টল প্যাভিলিয়ন থাকবে ৩৬২টি। এবার জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগকে সামনে রেখে সাজানো হবে মেলা প্রাঙ্গণ।

এবারের বাণিজ্য মেলায় নেই কর্ণফুলী টানেল, মেট্রোরেল কিংবা পদ্মাসেতু। প্রধান ফটকে থাকছে না কোনও উন্নয়নের জড়বস্তু।

২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার প্রধান ফটক হবে সাধারণ অবয়বে। তাই নেই তেমন তোড়জোড়। মেলার কয়েকদিন বাকি থাকলেও প্রধান ফটক যেমন দৃশ্যমান হয়নি তেমনি শ্রমিকদের কাজও চলছে ঢিমেতালে।

শ্রমিকদের একজন বলেন, ‘আমরা গেটে কাজ শুরু করেছি ২০ তারিখ থেকে ৩০ তারিখে তাদের কাজ বুঝিয়ে দিবো আশা আছে।’

আরেকজন বলেন, ‘প্রতি বছর যেভাবে গেট হয় এবার সেরকম গেট হয়।’

প্রতি বছরই মূল ফটক ঘিরে থাকে বাড়তি আগ্রহ, থাকে নতুন সংযোজন। তবে এবার জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগকে সামনে রেখে সাজানো হবে মেলা প্রাঙ্গণ। আন্দোলনে শহীদদের সম্মাননা জানাতে থাকবে শহীদ ‘আবু সাঈদ’ ও ‘মীর মুগ্ধের’ নামে দুটি কর্নার। তবে এবার মেলায় বঙ্গবন্ধু নামে কোনো কর্নার থাকবে না।

গেল ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা হবে কি না তা নিয়ে ছিল সংশয়। তবে সব গুঞ্জন পেছনে ফেলে মেলা প্রাঙ্গণ জুড়ে এখন প্রস্তুতির সমারোহ। রং-তুলির আঁচড় আর হাতুড়ির ঠকঠক শব্দে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

প্রধান হলরুমের প্রবেশ মুখের এই পরিচ্ছন্নতা, মেলা প্রাঙ্গণজুড়ে স্টল, প্যাভিলিয়ন তৈরির ব্যস্ততা জানিয়ে দিচ্ছে মেলা শুরু হতে দেরি নেই। মেলার মূল ভবনের বাইরে প্যাভিলয়ন নির্মাণের কাজ জোরেশোরে চললেও হলরুমে দেখা গেছে ধীরগতি। তবুও নির্ধারিত সময়ের আগেই সব কাজ শেষ করতে মরিয়া এসব শ্রমিকরা।

শ্রমিকদের একজন বলেন, ‘কোম্পানির কাজ। ঠিক মতো বুঝিয়ে না দিতে পারলে তো ঝামেলা’

মেলায় এবার ১১ ক্যাটাগরিতে দেশি-বিদেশিসহ প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন ও স্টল থাকবে ৩৬২টি। যেখানে একেকটি প্যাভিলিয়ন পেতে ১১ থেকে ২২ লাখ টাকা পর্যন্ত গুণতে হয়েছে উদ্যোক্তাদের।

স্টলে আড়াই লাখ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা আর প্রিমিয়ার ও মিনি রেস্টুরেন্ট নিতে উদ্যোক্তাদের দিতে হচ্ছে সাড়ে ৬ লাখ থেকে ১৭ লাখ টাকা পর্যন্ত। গেল পহেলা নভেম্বর মেলার স্টল বরাদ্দের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ইপিবি।

কিন্তু দেড়মাসেরও বেশি সময় পার হলেও বরাদ্দের কাজ শেষ না হওয়ায় ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। তবুও একটি হলরুমের বড় অংশজুড়ে ফাঁকা পড়ে থাকতে দেখা গেছে। তবে ইপিবি বলছে, এবার মেলার আয় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে ।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘মেলার নিজস্ব যে আয় তা নিঃসন্দেহে বাড়বে। এবার মেলা থেকে ১২ কোটিটাকার বেশি আয় হবে।’

মেলার ২৯তম এ আসরে বিদেশিদের জন্য স্টল ও প্যাভিলিয়ন থাকবে ৩ ক্যাটাগরিতে। যার বরাদ্দ মূল্য ৭ হাজার থেকে ১৯ হাজার ইএস ডলার পর্যন্ত। এছাড়া ইউটিলিটি সার্ভিস বুথের পাশাপাশি মেলায় বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথ থাকবে। আর অপরিবর্তিতই থাকছে মেলার প্রবেশ মূল্য।

নিউজটি শেয়ার করুন

২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার শেষ সময়ের প্রস্তুতি চলছে

আপডেট সময় : ০১:৫৬:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

শেষ সময়ের প্রস্তুতি চলছে ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার। এখনও মেলার সব স্টল, প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ শেষ না হলেও আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা ইপিবির। প্রধান উপদেষ্টার উদ্বোধন করার পর মেলা চলবে পরবর্তী একমাস। মেলায় এবার ১১টি ক্যাটাগরিতে স্টল প্যাভিলিয়ন থাকবে ৩৬২টি। এবার জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগকে সামনে রেখে সাজানো হবে মেলা প্রাঙ্গণ।

এবারের বাণিজ্য মেলায় নেই কর্ণফুলী টানেল, মেট্রোরেল কিংবা পদ্মাসেতু। প্রধান ফটকে থাকছে না কোনও উন্নয়নের জড়বস্তু।

২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার প্রধান ফটক হবে সাধারণ অবয়বে। তাই নেই তেমন তোড়জোড়। মেলার কয়েকদিন বাকি থাকলেও প্রধান ফটক যেমন দৃশ্যমান হয়নি তেমনি শ্রমিকদের কাজও চলছে ঢিমেতালে।

শ্রমিকদের একজন বলেন, ‘আমরা গেটে কাজ শুরু করেছি ২০ তারিখ থেকে ৩০ তারিখে তাদের কাজ বুঝিয়ে দিবো আশা আছে।’

আরেকজন বলেন, ‘প্রতি বছর যেভাবে গেট হয় এবার সেরকম গেট হয়।’

প্রতি বছরই মূল ফটক ঘিরে থাকে বাড়তি আগ্রহ, থাকে নতুন সংযোজন। তবে এবার জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগকে সামনে রেখে সাজানো হবে মেলা প্রাঙ্গণ। আন্দোলনে শহীদদের সম্মাননা জানাতে থাকবে শহীদ ‘আবু সাঈদ’ ও ‘মীর মুগ্ধের’ নামে দুটি কর্নার। তবে এবার মেলায় বঙ্গবন্ধু নামে কোনো কর্নার থাকবে না।

গেল ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা হবে কি না তা নিয়ে ছিল সংশয়। তবে সব গুঞ্জন পেছনে ফেলে মেলা প্রাঙ্গণ জুড়ে এখন প্রস্তুতির সমারোহ। রং-তুলির আঁচড় আর হাতুড়ির ঠকঠক শব্দে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

প্রধান হলরুমের প্রবেশ মুখের এই পরিচ্ছন্নতা, মেলা প্রাঙ্গণজুড়ে স্টল, প্যাভিলিয়ন তৈরির ব্যস্ততা জানিয়ে দিচ্ছে মেলা শুরু হতে দেরি নেই। মেলার মূল ভবনের বাইরে প্যাভিলয়ন নির্মাণের কাজ জোরেশোরে চললেও হলরুমে দেখা গেছে ধীরগতি। তবুও নির্ধারিত সময়ের আগেই সব কাজ শেষ করতে মরিয়া এসব শ্রমিকরা।

শ্রমিকদের একজন বলেন, ‘কোম্পানির কাজ। ঠিক মতো বুঝিয়ে না দিতে পারলে তো ঝামেলা’

মেলায় এবার ১১ ক্যাটাগরিতে দেশি-বিদেশিসহ প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন ও স্টল থাকবে ৩৬২টি। যেখানে একেকটি প্যাভিলিয়ন পেতে ১১ থেকে ২২ লাখ টাকা পর্যন্ত গুণতে হয়েছে উদ্যোক্তাদের।

স্টলে আড়াই লাখ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা আর প্রিমিয়ার ও মিনি রেস্টুরেন্ট নিতে উদ্যোক্তাদের দিতে হচ্ছে সাড়ে ৬ লাখ থেকে ১৭ লাখ টাকা পর্যন্ত। গেল পহেলা নভেম্বর মেলার স্টল বরাদ্দের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ইপিবি।

কিন্তু দেড়মাসেরও বেশি সময় পার হলেও বরাদ্দের কাজ শেষ না হওয়ায় ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। তবুও একটি হলরুমের বড় অংশজুড়ে ফাঁকা পড়ে থাকতে দেখা গেছে। তবে ইপিবি বলছে, এবার মেলার আয় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে ।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘মেলার নিজস্ব যে আয় তা নিঃসন্দেহে বাড়বে। এবার মেলা থেকে ১২ কোটিটাকার বেশি আয় হবে।’

মেলার ২৯তম এ আসরে বিদেশিদের জন্য স্টল ও প্যাভিলিয়ন থাকবে ৩ ক্যাটাগরিতে। যার বরাদ্দ মূল্য ৭ হাজার থেকে ১৯ হাজার ইএস ডলার পর্যন্ত। এছাড়া ইউটিলিটি সার্ভিস বুথের পাশাপাশি মেলায় বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথ থাকবে। আর অপরিবর্তিতই থাকছে মেলার প্রবেশ মূল্য।