ঢাকা ০৪:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কানাডায় দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে মুসলিমদের সংখ্যা

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৫১:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩৬৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কানাডায় দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম এখন ইসলাম। গেলো ১০ বছরে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে বিভিন্ন দেশের মুসলিমদের সংখ্যা, সরকারি পরিসংখ্যানে এমনটাই উঠে এসেছে। যার মধ্যে শীর্ষ পাঁচে আছেন বাংলাদেশিরা। অর্থনৈতিক কার্যক্রম ও হালাল খাদ্যপণ্যে সাফল্য তাদের।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ কানাডায় ক্রমেই বাড়ছে মুসলিম জনসংখ্যা। গেলো এক দশকে এই সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। প্রার্থনার জন্য তাই অনেক গির্জা এখন পরিণত হয়েছে মসজিদে। নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় হচ্ছে, সময় করে তাতে যোগ দিচ্ছেন নানা বয়সী মুসল্লি।

কানাডা সরকারের নতুন পরিসংখ্যান বলছে, ২০১১ সাল থেকে ২১ পর্যন্ত প্রায় পাঁচগুণ বেড়েছে মুসলিম জনসংখ্যা। বেসরকারি হিসেবে গেলো তিন বছরেও এই সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী। এতে অভিবাসীদের সংখ্যাই বেশি। যার শীর্ষ পাঁচে আছে বাংলাদেশিরা। প্রথম চারে পাকিস্তান, ইরান, মরক্কো এবং আলজেরিয়ার মুসলিমরা। তালিকায় বাংলাদেশের পরে সিরিয়া, আফগানিস্তান, ভারত ও লেবাননের অবস্থান।

কানাডার শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মো. আসিউজ্জামান বলেন, ‘আগের থেকে পপুলেশন গ্রোথটা বেড়েছে। মুসলিম পপুলেশন বাড়ার আর একটা কারণ হতে পারে, এটা রিফিউজি ফ্রেন্ডলি একটা দেশ। যেখানে মধ্যপ্রাচ্য সমস্যা থেকে শুরু করে প্রচুর মুসলিম রিফিউজি এখানে এসেছে। আবার ইমিগ্রেশন যেটা হয়, অভিবাসন যেটা সেটা ৫০ শতাংশ এশিয়ান দেশগুলো থেকে আসে।’

সবচেয়ে বেশি সাত শতাংশের কাছাকাছি মুসলিম বাস করেন অন্টারিও প্রদেশে। এরপর রয়েছে কুইবেক ও আলবার্টা। আর তাই তো বিভিন্ন শহরে জনপ্রিয় হচ্ছে ইসলামিক সেন্টার বা ইসলামিক স্কুল। ইতোমধ্যে চাহিদা মাথায় রেখে ছোট-বড় সব শহরেই জনপ্রিয় হয়েছে হালাল খাদ্য পণ্য। অনেক কানাডিয়ান চেইন শপও বিক্রি করে থাকে হালাল মাংস আর খাবার।

অধ্যাপক মো. আসিউজ্জামান বলেন, ‘কানাডায় পরিসংখ্যানটা অনেক ক্লিন এবং রিলায়েবল। কানাডার সরকার যেটা চায় জনগণকে ইনফর্মড রাখতে চায় ডেমোগ্রাফি এবং ডাইভারসিটি নিয়ে।’

পরিসংখ্যান অনুযায়ী মোট মুসলিম জনসংখ্যার বেশির ভাগই বয়সে তরুণ। তাই অর্থনৈতিক নানা কার্যক্রমেও এগিয়ে আছেন তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

কানাডায় দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে মুসলিমদের সংখ্যা

আপডেট সময় : ০৪:৫১:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

কানাডায় দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম এখন ইসলাম। গেলো ১০ বছরে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে বিভিন্ন দেশের মুসলিমদের সংখ্যা, সরকারি পরিসংখ্যানে এমনটাই উঠে এসেছে। যার মধ্যে শীর্ষ পাঁচে আছেন বাংলাদেশিরা। অর্থনৈতিক কার্যক্রম ও হালাল খাদ্যপণ্যে সাফল্য তাদের।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ কানাডায় ক্রমেই বাড়ছে মুসলিম জনসংখ্যা। গেলো এক দশকে এই সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। প্রার্থনার জন্য তাই অনেক গির্জা এখন পরিণত হয়েছে মসজিদে। নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় হচ্ছে, সময় করে তাতে যোগ দিচ্ছেন নানা বয়সী মুসল্লি।

কানাডা সরকারের নতুন পরিসংখ্যান বলছে, ২০১১ সাল থেকে ২১ পর্যন্ত প্রায় পাঁচগুণ বেড়েছে মুসলিম জনসংখ্যা। বেসরকারি হিসেবে গেলো তিন বছরেও এই সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী। এতে অভিবাসীদের সংখ্যাই বেশি। যার শীর্ষ পাঁচে আছে বাংলাদেশিরা। প্রথম চারে পাকিস্তান, ইরান, মরক্কো এবং আলজেরিয়ার মুসলিমরা। তালিকায় বাংলাদেশের পরে সিরিয়া, আফগানিস্তান, ভারত ও লেবাননের অবস্থান।

কানাডার শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মো. আসিউজ্জামান বলেন, ‘আগের থেকে পপুলেশন গ্রোথটা বেড়েছে। মুসলিম পপুলেশন বাড়ার আর একটা কারণ হতে পারে, এটা রিফিউজি ফ্রেন্ডলি একটা দেশ। যেখানে মধ্যপ্রাচ্য সমস্যা থেকে শুরু করে প্রচুর মুসলিম রিফিউজি এখানে এসেছে। আবার ইমিগ্রেশন যেটা হয়, অভিবাসন যেটা সেটা ৫০ শতাংশ এশিয়ান দেশগুলো থেকে আসে।’

সবচেয়ে বেশি সাত শতাংশের কাছাকাছি মুসলিম বাস করেন অন্টারিও প্রদেশে। এরপর রয়েছে কুইবেক ও আলবার্টা। আর তাই তো বিভিন্ন শহরে জনপ্রিয় হচ্ছে ইসলামিক সেন্টার বা ইসলামিক স্কুল। ইতোমধ্যে চাহিদা মাথায় রেখে ছোট-বড় সব শহরেই জনপ্রিয় হয়েছে হালাল খাদ্য পণ্য। অনেক কানাডিয়ান চেইন শপও বিক্রি করে থাকে হালাল মাংস আর খাবার।

অধ্যাপক মো. আসিউজ্জামান বলেন, ‘কানাডায় পরিসংখ্যানটা অনেক ক্লিন এবং রিলায়েবল। কানাডার সরকার যেটা চায় জনগণকে ইনফর্মড রাখতে চায় ডেমোগ্রাফি এবং ডাইভারসিটি নিয়ে।’

পরিসংখ্যান অনুযায়ী মোট মুসলিম জনসংখ্যার বেশির ভাগই বয়সে তরুণ। তাই অর্থনৈতিক নানা কার্যক্রমেও এগিয়ে আছেন তারা।