ঢাকা ০১:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাত: বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন সেবা চালু করেছে দুতাবাস। ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের + ৯৮৯908577368 ও + ৯৮৯১22065745 নম্বরে (হোয়াটসঅ্যাপ সহ) যোগাযোগ করতে বলেছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

ক্ষমা চাইতে স্বাগতাকে ফের আইনি নোটিশ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৪১:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৪০২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

‘আমাদের সমাজ পরিবর্তন হচ্ছে। ডিভোর্স নরমালাইজ হচ্ছে, লিভ টুগেদারও নরমালাইজ হবে, ইনশাল্লাহ’— অভিনেত্রী ও গায়িকা জিনাত সানু স্বাগতার এমন একটি বক্তব্য ঘিরে তোলপাড় নেটদুনিয়ায়। নেতিবাচক এমন বক্তব্য কখনোই সমাজের জন্য সঠিক নয়। একই সঙ্গে ইসলাম পরিপন্থী কাজ (লিভ টুগেদার) প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন এবং সমাজে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। এ কারণে ক্ষমা চাইতে তার বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়।

নোটিশ প্রাপ্তির ৭ (সাত) দিনের মধ্যে স্বাগতার উক্ত বক্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলা হয়। অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এখনও আইনি নোটিশের কোনো জবাব তিনি দেননি। ফলে ক্ষমা চাইতে আবারও স্বাগতাকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এবার অভিনেত্রীকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’।

যদিও প্রথমবার আইনি নোটিশ পেয়ে বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমকে স্বাগতা বলেন, আমি কাউকে লিভ টুগেদারে উৎসাহ দিইনি। এটা যার যার ব্যক্তিগত রুচি ও পছন্দের ব্যাপার। আমার আগেও অনেকে লিভ টুগেদার করেছেন। আমার কথায় কেউ উৎসাহী হয়ে লিভ টুগেদার করবে বলে আমি মনে করি না।

বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি) ঢাকা বারের আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর ফারুকের মাধ্যমে সংগঠনটির আহ্বায়ক মুহম্মদ জিয়াউল হক এ নোটিশ পাঠান। এতে বলা হয়, তিন কার্যদিবসের মধ্যে অভিনেত্রী স্বাগতাকে লিভ টুগেদার বিষয়ক বক্তব্য প্রত্যাহারপূর্বক ক্ষমা চেয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি প্রকাশ করতে হবে। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আইনি নোটিশের বিষয়ে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’র আহ্বায়ক মুহম্মদ জিয়াউল হক বলেন, স্বাগতার বক্তব্যে বাংলাদেশের চিরায়ত সমাজব্যবস্থা ভাঙনের ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি আমরা। তার বক্তব্যটি বাংলাদেশের মানুষের বিশ্বাস ও মূল্যবোধগত সার্বভৌমত্বের পরিপন্থি, যা একটি সামাজিক অপরাধ। ডিভোর্স নরমালাইজ হওয়া কোনো ভালো ব্যাপার নয়। আর লিভ টুগেদার বাংলাদেশের আইনে নিষিদ্ধ।

তিনি আরও বলেন, ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে এটি সম্পূর্ণ হারাম বা নিষিদ্ধ। কাজেই, দেশের বিশ্বাস ও মূল্যবোধের কেউ ভাঙতে চাইলে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’সেটা মেনে নেবে না। আমরা স্বাগতাকে তার বক্তব্য প্রত্যাহারপূর্বক ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। নইলে আমরা তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।

এর আগে, গত ২৮ ডিসেম্বর আরিফুল খবির নামে এক ব্যক্তির পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহম্মদ মেছবাহ উদ্দিন চৌধুরী স্বাগতাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে প্রথম আইনি নোটিশটি পাঠান।

নিউজটি শেয়ার করুন

ক্ষমা চাইতে স্বাগতাকে ফের আইনি নোটিশ

আপডেট সময় : ০৩:৪১:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫

‘আমাদের সমাজ পরিবর্তন হচ্ছে। ডিভোর্স নরমালাইজ হচ্ছে, লিভ টুগেদারও নরমালাইজ হবে, ইনশাল্লাহ’— অভিনেত্রী ও গায়িকা জিনাত সানু স্বাগতার এমন একটি বক্তব্য ঘিরে তোলপাড় নেটদুনিয়ায়। নেতিবাচক এমন বক্তব্য কখনোই সমাজের জন্য সঠিক নয়। একই সঙ্গে ইসলাম পরিপন্থী কাজ (লিভ টুগেদার) প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন এবং সমাজে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। এ কারণে ক্ষমা চাইতে তার বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়।

নোটিশ প্রাপ্তির ৭ (সাত) দিনের মধ্যে স্বাগতার উক্ত বক্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলা হয়। অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এখনও আইনি নোটিশের কোনো জবাব তিনি দেননি। ফলে ক্ষমা চাইতে আবারও স্বাগতাকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এবার অভিনেত্রীকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’।

যদিও প্রথমবার আইনি নোটিশ পেয়ে বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমকে স্বাগতা বলেন, আমি কাউকে লিভ টুগেদারে উৎসাহ দিইনি। এটা যার যার ব্যক্তিগত রুচি ও পছন্দের ব্যাপার। আমার আগেও অনেকে লিভ টুগেদার করেছেন। আমার কথায় কেউ উৎসাহী হয়ে লিভ টুগেদার করবে বলে আমি মনে করি না।

বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি) ঢাকা বারের আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর ফারুকের মাধ্যমে সংগঠনটির আহ্বায়ক মুহম্মদ জিয়াউল হক এ নোটিশ পাঠান। এতে বলা হয়, তিন কার্যদিবসের মধ্যে অভিনেত্রী স্বাগতাকে লিভ টুগেদার বিষয়ক বক্তব্য প্রত্যাহারপূর্বক ক্ষমা চেয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি প্রকাশ করতে হবে। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আইনি নোটিশের বিষয়ে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’র আহ্বায়ক মুহম্মদ জিয়াউল হক বলেন, স্বাগতার বক্তব্যে বাংলাদেশের চিরায়ত সমাজব্যবস্থা ভাঙনের ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি আমরা। তার বক্তব্যটি বাংলাদেশের মানুষের বিশ্বাস ও মূল্যবোধগত সার্বভৌমত্বের পরিপন্থি, যা একটি সামাজিক অপরাধ। ডিভোর্স নরমালাইজ হওয়া কোনো ভালো ব্যাপার নয়। আর লিভ টুগেদার বাংলাদেশের আইনে নিষিদ্ধ।

তিনি আরও বলেন, ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে এটি সম্পূর্ণ হারাম বা নিষিদ্ধ। কাজেই, দেশের বিশ্বাস ও মূল্যবোধের কেউ ভাঙতে চাইলে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’সেটা মেনে নেবে না। আমরা স্বাগতাকে তার বক্তব্য প্রত্যাহারপূর্বক ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। নইলে আমরা তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।

এর আগে, গত ২৮ ডিসেম্বর আরিফুল খবির নামে এক ব্যক্তির পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহম্মদ মেছবাহ উদ্দিন চৌধুরী স্বাগতাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে প্রথম আইনি নোটিশটি পাঠান।