লন্ডনে খালেদা জিয়াকে নেতাকর্মী-হাইকমিশনের ফুলেল শুভেচ্ছা
- আপডেট সময় : ০৪:২৩:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৩৬৮ বার পড়া হয়েছে
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সব কিছুর অবসান ঘটিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বাংলাদেশ সময় ২ টা ৫৫ মিনিটে তাকে বহনকারী বিমানটি হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে।
বুধবার (০৮ জানুয়ারি) তাকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি কাতারের দোহা যায়। পরে যুক্তরাজ্যের হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে থাকা ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান।
হিথ্রো বিমানবন্দরে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার সঙ্গে ছিলেন ডা. জোবাইদা রহমান ও কন্যা জায়মা রহমান। লণ্ডনে বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী সাবেক প্রধানমন্ত্রীবে শুভেচ্ছা জানাতে বিমানবন্দরে জড়ো হন।
বিমানবন্দরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ হাই কমিশনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার হযরত আলী খান।
এর আগে, মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কাতারের আমিরের পাঠানো ‘বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স’ ঢাকা ছাড়েন খালেদা জিয়া।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) ভোর রাতে কাতারে হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রাবিরতি করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। সেখানে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম। এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন রাষ্ট্রদূত।
কাতারে যাত্রাবিরতির পর বাংলাদেশ সময় বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
সেখানে সাড়ে সাত বছর পর ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা হবে খালেদা জিয়ার। এই সফরে চিকিৎসকসহ ১৫ জন খালেদা জিয়ার সঙ্গী হয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সিঁথি রহমানও আছেন।
এ সফরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে রয়েছেন চিকিৎসক, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মোট ১৬ জন। এরমধ্যে চারজন চিকিৎসক ও প্যারামেডিকসরা রয়েছেন। এরা হলেন—অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার, অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিক, অধ্যাপক নরুদ্দিন আহমেদ, ডা. জাফর ইকবাল, অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও ডা. মোহাম্মদ আল মামুন। এ ছাড়া বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার ছোট ছেলের স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এনামুল হক চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল ও খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তারসহ ব্যক্তিগত কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে তার লিভার প্রতিস্থাপন খুব জরুরি হয়ে পড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, লিভার প্রতিস্থাপনের পর পুরো চিকিৎসায় কয়েক মাস লেগে যেতে পারে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার আগে রাজনীতিতে চলার পথের দীর্ঘদিনের সারথি—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সব সদস্যদের তার বাসায় ডেকে খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘গণতন্ত্রই শেষ কথা।’ এ সময় তিনি দলের নীতিনির্ধারকদের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ঐক্যবদ্ধ থেকে জনগণ ও গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ করার নির্দেশনা দেন। দেন ঐক্যের বার্তা। বর্তমানে গণতন্ত্রের পূণরুদ্ধারের স্বার্থে বিএনপির পক্ষ থেকে দ্রুত নির্বাচনের যে দাবি করা হচ্ছে, তার সঙ্গেও একাত্মতা প্রকাশ করেছেন তিনি।