ঢাকা ১০:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

২০২৬ সালেই দায়িত্ব ছাড়ছেন নিশ্চিত করলেন দিদিয়ের দেশঁ

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৮:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৭১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

২০১৮ বিশ্বকাপের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজতেই ইতিহাসের পাতায় নাম উঠেছিল দিদিয়ের দেশঁর। ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে ফ্রান্সকে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা এনে দেওয়ার পথে ডাগআউট থেকে কলকাঠি নাড়ার দায়িত্বটা সামলান সুনিপুণভাবে। জার্মানির ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার ও ব্রাজিলের মারিও জাগালোর পর বিশ্বকাপ ফুটবলে দেশঁ বনে যান তৃতীয় ব্যক্তি, যিনি খেলোয়াড় (১৯৯৮) ও কোচ – দুই ভূমিকাতেই বিশ্বকাপ জিতেছেন।

দেশঁ নিজের এ কীর্তিটাকে আরও এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন ২০২২ সালে। তবে কাতার বিশ্বকাপে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার কাছে মহাকাব্যিক ফাইনালে হেরে সে যাত্রায় রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ফরাসিদের।

সে ঘটনার পেরিয়ে গেছে দুই বছর। এই তো আর দেড় বছর পরে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা আর মেক্সিকোতে বসবে আরেকটা বিশ্বকাপ। বাছাইপর্বে সহজ গ্রুপ উতরাতে পারলে দেঁশ-র অধীনে শিরোপা পুনরুদ্ধারের মিশনের স্বপ্ন দেখছে ফরাসিরা। তবে বিশ্বকাপের দেড় বছর বাকি থাকতে সমর্থকদের দুঃসংবাদ দিয়েছেন দেঁশ। ৫৬ বছর বয়সী এ কোচ জানিয়েছেন, ২০২৬ বিশ্বকাপ দিয়ে ফ্রান্সের ডাগআউটে ১৪ বছরের পথচলা শেষ হয়ে যাচ্ছে তাঁর।

২০১২ সালের জুলাইতে লো ব্লঁ-র দায়িত্ব নেওয়া দেশঁর সঙ্গে ফ্রান্সের বর্তমান চুক্তির মেয়াদ ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত। এক সাক্ষাৎকারে এ কোচ জানিয়েছেন, চুক্তির মেয়াদ আর বাড়াবেন না তিনি।

ফরাসি সংবাদমাধ্যম তে এফ আঁ-কে দেশঁ বলেছেন, ‘২০২৬ সালে এ পথচলা শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমি ভেবেচিন্তেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ফ্রান্সকে শীর্ষ পর্যায়ে ধরে রাখতে আমার আকাঙ্ক্ষা আর প্যাশন একই রকম আছে। কিন্তু (থামার জন্য) ২০২৬ খুবই ভালো সময়।’

৫৬ বছর বয়সী দেশঁ যোগ করেন, ‘(একটা নির্দিষ্ট সময় পর) অবশ্যই একজনের থামা উচিত। এর (ফুটবল) বাইরেও জীবন আছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, বছরের পর বছর ধরে ফ্রান্সকে শীর্ষে দেখা।’

দেশঁর অধীনে ফ্রান্সের সাফল্যের পাল্লাটা বেশ ভারীই। ২০১৮ বিশ্বকাপে শিরোপা আর ২০২২ বিশ্বকাপের রানার্সআপ ছাড়াও ২০২১ সালে ফরাসিদের নেশনস লিগের শিরোপা এনে দেন দেশঁ। আক্ষেপ বলতে শুধু ইউরোটাই থাকছে। ২০১৬ ইউরোতে দেশের মাটিতে ফ্রান্সকে ফাইনালে তুলেছিলেন, তবে সেবার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালের ইতিহাস গড়ার মুহূর্তে দর্শকই হয়ে যায় ফ্রান্স। ২০২১ ইউরোতে অবিশ্বাস্যভাবে শেষ ষোলোতে বাদ পড়ে, ২০২৪ ইউরোতে বাদ পড়ে সেমিফাইনালে। তাঁর অধীনে ৬৪.২% শতাংশ জয় (১৬৫ ম্যাচে ১০৬ জয়) পেয়েছে ফ্রান্স।

দেশঁর দায়িত্ব ছাড়ার ছাড়ার ঘোষণা আসতে না আসতেই নতুন কোচ নিয়ে এরই মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। আলোচনায় অনেকে থাকলেও দৌড়ে সবার চেয়ে এগিয়ে জিনেদিন জিদান। ১৯৯৮ বিশ্বকাপ জয়ী ফ্রান্স দলে দেশঁর সতীর্থ জিদানের কোচিং প্রোফাইলটা তাঁর মতো দীর্ঘ না হলেও সাফল্য মোটেও কম নয়। দুই দফায় পাঁচ মৌসুম রেয়াল মাদ্রিদকে কোচিং করিয়েই তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগ এনে দিয়েছেন ৫২ বছর বয়সী জিদান, লিগ জিতেছেন দুবার।

জিদানের পাশাপাশি ফ্রান্সের ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী দলের আরেক তারকা থিয়েরি অঁরির নামও ভাসছে গুঞ্জনে।

নিউজটি শেয়ার করুন

২০২৬ সালেই দায়িত্ব ছাড়ছেন নিশ্চিত করলেন দিদিয়ের দেশঁ

আপডেট সময় : ০৪:৫৮:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫

২০১৮ বিশ্বকাপের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজতেই ইতিহাসের পাতায় নাম উঠেছিল দিদিয়ের দেশঁর। ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে ফ্রান্সকে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা এনে দেওয়ার পথে ডাগআউট থেকে কলকাঠি নাড়ার দায়িত্বটা সামলান সুনিপুণভাবে। জার্মানির ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার ও ব্রাজিলের মারিও জাগালোর পর বিশ্বকাপ ফুটবলে দেশঁ বনে যান তৃতীয় ব্যক্তি, যিনি খেলোয়াড় (১৯৯৮) ও কোচ – দুই ভূমিকাতেই বিশ্বকাপ জিতেছেন।

দেশঁ নিজের এ কীর্তিটাকে আরও এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন ২০২২ সালে। তবে কাতার বিশ্বকাপে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার কাছে মহাকাব্যিক ফাইনালে হেরে সে যাত্রায় রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ফরাসিদের।

সে ঘটনার পেরিয়ে গেছে দুই বছর। এই তো আর দেড় বছর পরে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা আর মেক্সিকোতে বসবে আরেকটা বিশ্বকাপ। বাছাইপর্বে সহজ গ্রুপ উতরাতে পারলে দেঁশ-র অধীনে শিরোপা পুনরুদ্ধারের মিশনের স্বপ্ন দেখছে ফরাসিরা। তবে বিশ্বকাপের দেড় বছর বাকি থাকতে সমর্থকদের দুঃসংবাদ দিয়েছেন দেঁশ। ৫৬ বছর বয়সী এ কোচ জানিয়েছেন, ২০২৬ বিশ্বকাপ দিয়ে ফ্রান্সের ডাগআউটে ১৪ বছরের পথচলা শেষ হয়ে যাচ্ছে তাঁর।

২০১২ সালের জুলাইতে লো ব্লঁ-র দায়িত্ব নেওয়া দেশঁর সঙ্গে ফ্রান্সের বর্তমান চুক্তির মেয়াদ ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত। এক সাক্ষাৎকারে এ কোচ জানিয়েছেন, চুক্তির মেয়াদ আর বাড়াবেন না তিনি।

ফরাসি সংবাদমাধ্যম তে এফ আঁ-কে দেশঁ বলেছেন, ‘২০২৬ সালে এ পথচলা শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমি ভেবেচিন্তেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ফ্রান্সকে শীর্ষ পর্যায়ে ধরে রাখতে আমার আকাঙ্ক্ষা আর প্যাশন একই রকম আছে। কিন্তু (থামার জন্য) ২০২৬ খুবই ভালো সময়।’

৫৬ বছর বয়সী দেশঁ যোগ করেন, ‘(একটা নির্দিষ্ট সময় পর) অবশ্যই একজনের থামা উচিত। এর (ফুটবল) বাইরেও জীবন আছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, বছরের পর বছর ধরে ফ্রান্সকে শীর্ষে দেখা।’

দেশঁর অধীনে ফ্রান্সের সাফল্যের পাল্লাটা বেশ ভারীই। ২০১৮ বিশ্বকাপে শিরোপা আর ২০২২ বিশ্বকাপের রানার্সআপ ছাড়াও ২০২১ সালে ফরাসিদের নেশনস লিগের শিরোপা এনে দেন দেশঁ। আক্ষেপ বলতে শুধু ইউরোটাই থাকছে। ২০১৬ ইউরোতে দেশের মাটিতে ফ্রান্সকে ফাইনালে তুলেছিলেন, তবে সেবার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালের ইতিহাস গড়ার মুহূর্তে দর্শকই হয়ে যায় ফ্রান্স। ২০২১ ইউরোতে অবিশ্বাস্যভাবে শেষ ষোলোতে বাদ পড়ে, ২০২৪ ইউরোতে বাদ পড়ে সেমিফাইনালে। তাঁর অধীনে ৬৪.২% শতাংশ জয় (১৬৫ ম্যাচে ১০৬ জয়) পেয়েছে ফ্রান্স।

দেশঁর দায়িত্ব ছাড়ার ছাড়ার ঘোষণা আসতে না আসতেই নতুন কোচ নিয়ে এরই মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। আলোচনায় অনেকে থাকলেও দৌড়ে সবার চেয়ে এগিয়ে জিনেদিন জিদান। ১৯৯৮ বিশ্বকাপ জয়ী ফ্রান্স দলে দেশঁর সতীর্থ জিদানের কোচিং প্রোফাইলটা তাঁর মতো দীর্ঘ না হলেও সাফল্য মোটেও কম নয়। দুই দফায় পাঁচ মৌসুম রেয়াল মাদ্রিদকে কোচিং করিয়েই তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগ এনে দিয়েছেন ৫২ বছর বয়সী জিদান, লিগ জিতেছেন দুবার।

জিদানের পাশাপাশি ফ্রান্সের ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী দলের আরেক তারকা থিয়েরি অঁরির নামও ভাসছে গুঞ্জনে।