শাহরুখ-সালমানের দেহরক্ষীদের বছরে কত টাকা আয়?
- আপডেট সময় : ০৪:২৭:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৩৪৭ বার পড়া হয়েছে
ইউসুফ ইব্রাহিম বলিউডের তারকাদের নিরাপত্তা প্রদানের কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন দীর্ঘদিন ধরেই। শাহরুখ খান, আলিয়া ভাট, বরুণ ধাওয়ান এবং রণবীর কাপুরের মতো তারকাদের নিরাপত্তা প্রদান করে আসছেন তিনি। সম্প্রতি সিদ্ধার্থ কান্ননের সঙ্গে সাম্প্রতিক এক আলাপচারিতায় তিনি কথা বললেন বলিউডের দেহরক্ষীদের বেতন নিয়ে।
আদৌ, শাহরুখ খানের দেহরক্ষী রবি সিং কি বছরে ২.৭ কোটি টাকা আয় করেন? সালমান খানের দেহরক্ষী শেরার আয় কি বছরে সত্যি বছরে ২ কোটি টাকা?
রবি সিং বছরে শাহরুখ খানের থেকে ২.৭ কোটি টাকা বেতন পান কি না জানতে চাইলে ইউসুফ বলেন, ‘দেখুন, আমি আপনাকে বলেছিলাম, আমরা জানি না যে কে কত টাকা উপার্জন করছে।’ সঙ্গে যদিও যোগ করলেন, ‘মনে হয় না এত হবে।’ ইউসুফ জানান, রবি আগে তাঁর কোম্পানিতে কাজ করতেন। তবে ইউসুফ যেহেতু সম্পূর্ণ সময় দিতে পারতেন না শাহরুখ খানকে, তাই তিনি রবিকে নিয়োগ করেন কিং খানের দায়িত্বে। এরপর রবি চাকরি ছাড়েন ইউসুফের। শাহরুখ খানের ব্যক্তিগত কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। মজার ব্যাপার হল, ইউসুফও কেরিয়ার শুরু করেছিলেন শাহরুখের নিরাপত্তার দায়িত্ব হাতে নেওয়ার মাধ্যমে।
একই কথোপকথনে সালমান খানের দেহরক্ষী শেরার প্রতি বছর ২ কোটি টাকার বেতন সম্পর্কে জানতে চাইলে ইউসুফ বলেন, ‘দেখুন, সালমান খানের নিরাপত্তারক্ষী শেরার নিজস্ব ব্যবসা রয়েছে, তার নিজস্ব নিরাপত্তা সংস্থা রয়েছে। আমার মনে হয়, তার একাধিক ব্যবসা রয়েছে। সুতরাং এটা সম্ভব যে সে বছরে এই পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে।’
এটিও গুজব ছড়িয়েছিল যে অক্ষয় কুমারের দেহরক্ষী শ্রেয়সে থেলে প্রতি বছর ১.২ কোটি টাকা পান। ইউসুফ বলেন, ‘আমার কাছে এই ব্যাপারেও কোনো তথ্য নেই। হিসেব করুন না, মাসে ১০-১২ লাখ টাকা। এটা কি সম্ভব আদৌ? আপনার শ্যুট, ইভেন্ট বা প্রচারের জন্য কী বিলিং হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে। আপনি সেই তারকার জন্য মাসে কতদিন কাজ করলেন। আমার তো মনে হয়, কেউ নিজের মনমর্জি মতো এগুলো ছড়িয়েছে।’
ইউসুফ তাঁর কথা প্রসঙ্গে জানান যে, বেশিরভাগ তারকা দেহরক্ষীদের প্রায় ২৫ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বেতন দিয়ে থাকেন। তবে সঙ্গে সেলেবরা প্রয়োজনীয় ব্যয় যেমন মেডিকেল বিল এবং শিশুদের স্কুল ফি-র দায়িত্বও নেয়। এখানেই শেষ নয়, কিছু তারকা পুরোপুরি নির্ভর করেন তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা মানুষটার উপর। তখন সম্পর্কে আর পেশাদার থাকে না। তবে এসব ক্ষেত্রে বেতন থেকে শুরু করে পাওয়া সমস্ত সুযোগ-সুবিধা গোপনই রাখা হয়।