ঢাকা ০৬:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাত: বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন সেবা চালু করেছে দুতাবাস। ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের + ৯৮৯908577368 ও + ৯৮৯১22065745 নম্বরে (হোয়াটসঅ্যাপ সহ) যোগাযোগ করতে বলেছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

রাজশাহীতে ধান বেচে উঠছে না উৎপাদন খরচ

রাজশাহী প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৩:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৪৪০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কৃষি উপকরণের দাম বাড়তি হওয়ায় ও মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে ধান চাষ করে লোকসান গুনতে হচ্ছে রাজশাহীর কৃষকদের। ধানের যে দাম পাচ্ছেন তারা, এতে উৎপাদন খরচই উঠছে না। প্রান্তিক পর্যায়ে ধান সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় সুযোগ নিচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীরা। যার প্রভাব পড়েছে চালের বাজারে। সরকারি উদ্যোগে কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহের মধ্য দিয়ে সংকটের একটি সমাধান হতে পারে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।

কৃষকদের শ্রমের মূল্য ছাড়াই এক বিঘা জমিতে ধান আবাদ করতে খরচ হয় ১৫ হাজার টাকার বেশি। এছাড়া সেচের খরচতো আছেই। স্যালোমশিনে সেচ দিলে খরচ বাড়ে অন্তত ৫ হাজার টাকা। আর ধান পাওয়া যায় ২০ থেকে ২৫ মণ।

প্রতিমণ ধানের দাম ৬৩০ টাকা এবং গড় উৎপাদন ২২ মণ ধরা হলে এক বিঘা জমির ধান বিক্রি করে পাওয়া যায় ১৩ হাজার ৮৬০ টাকা। আর খড় বিক্রি থেকে পাওয়া যায় আরও ১২০০ টাকা। ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। শ্রমের মূল্যতো ধরাই হয়নি।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, উপকরণের দাম বাড়তি হওয়ায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে উৎপাদনে। আর কৃষক ফসল সংরক্ষণ করে রাখতে না পারার সুযোগ নিচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীরা।

অর্ধনীতিবিদরা বলছেন, সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ অভিযান কৃষককে কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে। তবে ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনা জরুরি।

এছাড়া, সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ অভিযান শুরুর আগে প্রচারণার তাগিদ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

রাজশাহীতে ধান বেচে উঠছে না উৎপাদন খরচ

আপডেট সময় : ০৩:৩৩:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫

কৃষি উপকরণের দাম বাড়তি হওয়ায় ও মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে ধান চাষ করে লোকসান গুনতে হচ্ছে রাজশাহীর কৃষকদের। ধানের যে দাম পাচ্ছেন তারা, এতে উৎপাদন খরচই উঠছে না। প্রান্তিক পর্যায়ে ধান সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় সুযোগ নিচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীরা। যার প্রভাব পড়েছে চালের বাজারে। সরকারি উদ্যোগে কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহের মধ্য দিয়ে সংকটের একটি সমাধান হতে পারে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।

কৃষকদের শ্রমের মূল্য ছাড়াই এক বিঘা জমিতে ধান আবাদ করতে খরচ হয় ১৫ হাজার টাকার বেশি। এছাড়া সেচের খরচতো আছেই। স্যালোমশিনে সেচ দিলে খরচ বাড়ে অন্তত ৫ হাজার টাকা। আর ধান পাওয়া যায় ২০ থেকে ২৫ মণ।

প্রতিমণ ধানের দাম ৬৩০ টাকা এবং গড় উৎপাদন ২২ মণ ধরা হলে এক বিঘা জমির ধান বিক্রি করে পাওয়া যায় ১৩ হাজার ৮৬০ টাকা। আর খড় বিক্রি থেকে পাওয়া যায় আরও ১২০০ টাকা। ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। শ্রমের মূল্যতো ধরাই হয়নি।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, উপকরণের দাম বাড়তি হওয়ায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে উৎপাদনে। আর কৃষক ফসল সংরক্ষণ করে রাখতে না পারার সুযোগ নিচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীরা।

অর্ধনীতিবিদরা বলছেন, সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ অভিযান কৃষককে কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে। তবে ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনা জরুরি।

এছাড়া, সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ অভিযান শুরুর আগে প্রচারণার তাগিদ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।