ঢাকা ০৯:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেকসহ সব আসামি খালাস

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:১০:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৪৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালাস পেলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তাঁর ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ ছাড়া এ মামলায় বাকি আসামিদেরও খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই রায় দেন।

রায়ে সর্বোচ্চ আদালত বলেছেন, এই মামলায় খালেদা জিয়াসহ ৬ আসামির কারো বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সতত্য প্রমাণিত হয়নি। হাইকোর্ট এবং বিচারিক আদালত- দুই রায়ই বাতিল করা হয়েছে।

রায়ের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলেন, এই মামলা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে করা হয়েছে। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়াই যে ভুল প্রক্রিয়ায় এই মামলা করা হয়েছিল, তা আজ সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে প্রমাণিত হলো।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় খালেদা জিয়ার ৫ বছর এবং তারেক রহমানসহ অন্য পাঁচজনের ১০ বছর করে কারাদণ্ড হয়। পরে ওই বছরের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন।

এই মামলায় খালাস চেয়ে আপিল করা হয়েছিল। চার দিনের শুনানি শেষে গতকাল মঙ্গলবার আজ রায় ঘোষণার জন্য দিন নির্ধারণ করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সবচেয়ে আলোচিত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা। এই মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের সাজা মাথায় নিয়ে দুই বছরের বেশি সময় জেলও খেটেছেন তিনি। অংশ নিতে পারেননি জাতীয় নির্বাচনে।

বেগম জিয়াসহ সাজাপ্রাপ্ত ছয় আসামির তিনজনের আপিল আবেদনের ওপর চার দিন ধরে শুনানি হয় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে।

শুনানিতে বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের কোনো টাকাই আত্মসাৎ হয়নি। কুয়েতের আমিরের পাঠানো পুরো ২ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যাংকেই আছে। কেবল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর ফান্ড থেকে টাকাটা ট্রাস্টের জন্য অন্য ফান্ডে ট্রান্সফার হয়েছে। এখানে বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কোনো ধরনের অনিয়ম বা বিশ্বাস ভঙ্গ করেননি।

এর আগে গত ২৭ নভেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে খালাস দেওয়া হয়। দুই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া বিএনপি চেয়ারপারসন দুটোতেই নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁর নির্বাচনে আর বাধা নেই।

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পরদিন ৬ আগস্ট বেগম খালেদা জিয়াকে দুই মামলার সাজা থেকে রাষ্ট্রপতি মওকুফ করলেও নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে আইনি লড়াইয়ে যান তিন বারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

নিউজটি শেয়ার করুন

অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেকসহ সব আসামি খালাস

আপডেট সময় : ০৩:১০:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালাস পেলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তাঁর ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ ছাড়া এ মামলায় বাকি আসামিদেরও খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই রায় দেন।

রায়ে সর্বোচ্চ আদালত বলেছেন, এই মামলায় খালেদা জিয়াসহ ৬ আসামির কারো বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সতত্য প্রমাণিত হয়নি। হাইকোর্ট এবং বিচারিক আদালত- দুই রায়ই বাতিল করা হয়েছে।

রায়ের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলেন, এই মামলা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে করা হয়েছে। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়াই যে ভুল প্রক্রিয়ায় এই মামলা করা হয়েছিল, তা আজ সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে প্রমাণিত হলো।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় খালেদা জিয়ার ৫ বছর এবং তারেক রহমানসহ অন্য পাঁচজনের ১০ বছর করে কারাদণ্ড হয়। পরে ওই বছরের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন।

এই মামলায় খালাস চেয়ে আপিল করা হয়েছিল। চার দিনের শুনানি শেষে গতকাল মঙ্গলবার আজ রায় ঘোষণার জন্য দিন নির্ধারণ করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সবচেয়ে আলোচিত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা। এই মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের সাজা মাথায় নিয়ে দুই বছরের বেশি সময় জেলও খেটেছেন তিনি। অংশ নিতে পারেননি জাতীয় নির্বাচনে।

বেগম জিয়াসহ সাজাপ্রাপ্ত ছয় আসামির তিনজনের আপিল আবেদনের ওপর চার দিন ধরে শুনানি হয় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে।

শুনানিতে বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের কোনো টাকাই আত্মসাৎ হয়নি। কুয়েতের আমিরের পাঠানো পুরো ২ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যাংকেই আছে। কেবল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর ফান্ড থেকে টাকাটা ট্রাস্টের জন্য অন্য ফান্ডে ট্রান্সফার হয়েছে। এখানে বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কোনো ধরনের অনিয়ম বা বিশ্বাস ভঙ্গ করেননি।

এর আগে গত ২৭ নভেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে খালাস দেওয়া হয়। দুই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া বিএনপি চেয়ারপারসন দুটোতেই নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁর নির্বাচনে আর বাধা নেই।

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পরদিন ৬ আগস্ট বেগম খালেদা জিয়াকে দুই মামলার সাজা থেকে রাষ্ট্রপতি মওকুফ করলেও নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে আইনি লড়াইয়ে যান তিন বারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।