হবেনা শৈত্যপ্রবাহ, শীত থাকবে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি
- আপডেট সময় : ০৪:০৭:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৩৪৬ বার পড়া হয়েছে
চলতি মাসে দেশে শৈত্যপ্রবাহের কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে ১৮ জানুয়ারির পর সারা দেশের তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসবে। আর ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত শীত অনুভূত হতে পারে।
আজ বৃহস্পতিবার আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ঢাকায় আজ ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমেছে। হিমেল হওয়ার কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। এ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাপমাত্রা কিছুটা কমে শীতের মাত্রা বেড়েছে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে এর প্রভাব বেশি।
আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান জানান, ১৮ জানুয়ারির পর থেকে সারা দেশের তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসবে। দেশের কোথাও কোথাও মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে আবার নাও পারে। এই পরিস্থিতি দুই থেকে তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে। পাশাপাশি আবহাওয়া রৌদ্রজ্জ্বল থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এ কর্মকর্তা বলেন, এ মাসে শৈত্য প্রবাহ কিংবা তীব্র শীতের কোনো সম্ভাবনা নেই। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত শীত অনুভব হতে পারে।
এদিকে, ঘন কুয়াশা এবং শৈত্য প্রবাহের কারনে জয়পুরহাটে শীত বাড়ছে। দিনের চেয়ে অনেকাংশে কমে যাচ্ছে রাতের তাপমাত্রা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে পুরো জেলা। দিনের অধিকাংশ সময় রাস্তায় যানবাহন চলছে লাইট জ্বালিয়ে। প্রচন্ড শীত আর ঘন কুয়াশার কারনে মাঠে-ঘাটে যেতে পারছেনা খেটে খাওয়া শ্রমজীবি মানুষ।
এদিকে বেলা বাড়ার সাথে সূর্যের দেখা মিললেও লালমনিরহাটে শীতের প্রকোপ কমছে না। কাজে বের হতে পারছে না শ্রমিক, দিনমজুরেরা। তিস্তার চরাঞ্চলের মানুষের ভোগান্তি আরও বেশি। শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে দিন যাচ্ছে শীতার্ত মানুষদের ।
ঠাকুরগাঁওয়ে জেঁকে বসেছে শীত। সূর্যের দেখা মেলেনি গত দুই দিন থেকে। ঘনকুয়াশার পাশাপাশি হাড় কাঁপানো ঠান্ডা বাতাসে কাবু হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের গ্রামীণ জনজীবন।
বেল গড়িয়ে গেলেও গ্রামাঞ্চলে রাস্তাঘাটগুলো কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে। হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহনগুলো। বিপাকে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষেরা।