মেয়েদের শিক্ষার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবি তালিবান নেতার!
- আপডেট সময় : ০৮:৩৯:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৩৪২ বার পড়া হয়েছে
আফগানিস্তানের তালিবান সরকার মেয়েদের শিক্ষার উপর আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানালেন একজন তালিবান নেতা। বিদেশ মন্ত্রকের রাজনৈতিক ডেপুটি শের আব্বাস স্তানিকজাই নামে ওই নেতা একটি ধর্মীয় বিদ্যালয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আফগান নারী ও মেয়েদের উপর শিক্ষা নিষেধাজ্ঞা বাতিল করার জন্য তালিবান নেতাদের কাছে অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেছেন, নারীদের শিক্ষা অস্বীকার করার কোনও বৈধ কারণ নেই।
২০২১ সালে ক্ষমতা দখল করার পর তালিবান সরকার ষষ্ঠ শ্রেণির পর নারীদের শিক্ষার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ।শের আব্বাস জোর দিয়ে বলেন, যে নারী শিক্ষার বিরুদ্ধে চলমান নিষেধাজ্ঞার কোনও ধর্মীয় ন্যায্যতা নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা ৪ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ২ কোটি মানুষের বিরুদ্ধে অবিচার করছি। তাদের সমস্ত অধিকার থেকে বঞ্চিত করছি।’ তিনি ধর্মীয় মতবাদের পরিবর্তে ব্যক্তিগত পছন্দের ওপর জোর দিয়েছেন। উল্লেখ্য, এই প্রথম নয়, এর আগেও তিনি নারী শিক্ষার পক্ষে কথা বলেছেন। তিনি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে একই রকম মন্তব্য করেছিলেন। মেয়েদের জন্য স্কুল বন্ধ হওয়ার এক বছর পরে এবং বিশ্ববিদ্যালয় নিষেধাজ্ঞা প্রবর্তনের কয়েক মাস আগে তিনি নারীদের শিক্ষার ওপর জোর দিয়েছিলেন।
নীতি পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে তিনি তালিবান নেতা হিবাতুল্লা আখুন্দজাদার কাছে সরাসরি আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘আমরা নেতৃত্বকে আবার শিক্ষার দরজা খোলার আহ্বান জানাচ্ছি।’ রাজনৈতিক মহলের মতে, শের আব্বাস ধারাবাহিকভাবে মেয়েদের শিক্ষাকে সমর্থন করলেও তার সর্বশেষ বিবৃতিটি বর্তমান নীতি এবং বৈধতাকে আরও স্পষ্টভাবে চ্যালেঞ্জ করে।
উল্লেখ্য, ইসলামাবাদে সাম্প্রতিক এক সম্মেলনে মালালা ইউসুফজাই মুসলিম নেতাদেরকে নারী শিক্ষার বিষয়ে তালিবানদের মোকাবিলা করার আহ্বান জানান। জাতিসংঘও তালিবানদের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে। যদিও কোনো দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে কিছু দেশ কূটনৈতিক সংযোগ স্থাপন করছে। রাশিয়া তালিবানদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করেছে এবং ভারত আফগান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন অব্যাহত রেখেছে। সম্প্রতি ভারতের কূটনীতিবিদ বিক্রম মিস্ত্রি এবং তালিবান বিদেশ মন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির মধ্যে দুবাইয়ে বৈঠকে সেটি প্রমাণিত হয়েছে।