বিডিআর সদস্যদের মুক্তি: কারাগারের সামনে আবেগঘন পরিবেশ
- আপডেট সময় : ০৪:১৬:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৩৪৪ বার পড়া হয়েছে
গাজীপুরের কাশিমপুর ও কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে উৎসুক মানুষের ভিড়। বাবার জন্য ফুল হাতে অপেক্ষা সন্তানের। আবার কোথাও প্রিয় সন্তানের জন্যও অপেক্ষা বাবার। দৃষ্টিজুড়ে প্রত্যাশা নিয়ে কেউ দাঁড়িয়ে প্রিয় মানুষটির জন্য।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টার পর কাশিমপুর কারাগার থেকে তারা একে একে বের হতে থাকেন। এ সময় কারা ফটকে স্বজনদের ভিড় করতে দেখা যায়।
একপর্যায়ে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে একে একে মুক্তি পান বিডিআর সদস্যরা। দীর্ঘ ১৫ বছর পর মুক্তি পাওয়ায় ফুলের মালা দিয়ে তাদের বরণ করেন নেন অপেক্ষারত স্বজনরা। অবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন অনেকে। আনন্দ অশ্রুতে সিক্ত হয় তৃষ্ণার্ত চোখ।
মুক্তি পাওয়ার পর কারা ফটকে দাঁড়িয়ে বিচারিক প্রক্রিয়ায় খালাস পাওয়ার প্রত্যাশা করেন জামিনপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্যরা। যৌবনের শ্রেষ্ঠ সময় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে অন্তরীণ থাকার বেদনার কথাও জানান তারা। একই সঙ্গে আটক সহকর্মীদেরও মুক্তি দাবি করেন।
কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার জানান, আদালতের সব কাগজপত্র যাচাই বাছাইয়ের পর তাদেরকে মুক্তি দেয়া হয় ।
তিনি বলেন, কাশিমপুর-১ থেকে ২৬ জন, কাশিমপুর-২ থেকে ৮৯ জন, কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি থেকে ১৩ জন মুক্তি পেয়েছেন।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের নামে হত্যাকাণ্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। এর মধ্যে বিস্ফোরক আইনের মামলায় ১৭৮ জন বিডিআর সদস্যকে জামিনে মুক্তি দেন আদালত।
গেলো ১৯ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জ কারাগারের অস্থায়ী আদালতের আদালতে ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ২ এর বিচারক ইব্রাহীম মিয়ার আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ ও জামিন শুনানি শেষে বিস্ফোরক মামলার আসামিদের জামিনে মুক্তির আদেশ দেন।
গেল ৫ আগস্টে ছাত্রজনতার গণ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর বিডিআর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত নতুন করে শুরু করার দাবি ওঠে। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যান শহিদ পরিবারের সদস্যরা।