১১:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে মৃত্যু বেড়ে ২৪৪৫

আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৪৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার তালেবান প্রশাসন মৃতের নতুন সংখ্যা জানিয়ে বলেছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। খবর রয়টার্সের।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) এর তথ্য মতে, ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পটি গত শনিবার দেশটির পশ্চিমে হেরাত শহরের ৩৫ কিলোমিটার (২০ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে আঘাত হানে। গত ফেব্রুয়ারিতে তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্পে আনুমানিক ৫০ হাজার মানুষ নিহত হওয়ার পর এটি ছিল বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক ভূমিকম্পগুলোর মধ্যে একটি৷

আফগানিস্তানের দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জনান সায়েক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, ভূমিকম্পটিতে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৪৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে তিনি আহতের সংখ্যা সংশোধন করে ২ হাজার জনের বেশি বলেছেন। এর আগে, তিনি আহতের সংখ্যা ৯ হাজার ২৪০ জন বলেছিলেন।

সায়েক আরও জানান, প্রায় ১ হাজার ৩২০টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। ১০টি উদ্ধারকারী দল ইরানের সীমান্তবর্তী এলাকায় রয়েছে।

ভূমিকম্পের প্রত্যক্ষদর্শী আফগানিস্তানের হেরাতের বাসিন্দা নাসিমা জানান, আমরা সবাই আতঙ্কিত। ভূমিকম্পের পর মানুষজন তাঁদের বাড়িঘর ছেড়ে রাস্তায় অবস্থান করছিল।

দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক ডা. দানিশ জানান, ২০০টিরও বেশি মরদেহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশুর মরদেহ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, হেরাতের প্রধান হাসপাতালের বাইরে শয্যা স্থাপন করা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করার জন্য।

কাতারে তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রধান সুহেল শাহীন গণমাধ্যমকে এক বার্তায় বলেছেন, উদ্ধার ও ত্রাণের জন্য খাদ্য, পানীয় জল, ওষুধ, কাপড় ও তাঁবুর জরুরি প্রয়োজন।

পাহাড়ে ঘেরা আফগানিস্তানে পাকিস্তান সীমান্তবর্তী হিন্দুকুশ অঞ্চলে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়। দেশটিতে যুদ্ধের কারণে অবকাঠামো ধ্বংস হওয়ায় ভূমিকম্পের পর উদ্ধার অভিযান চালানো অনেকা কঠিন। এই কারণে দেশটিতে ভূমিকম্পের পর মৃত্যু সংখ্যা বেশি হয়।

আফগানিস্তানের স্বাস্থ্যসেবা অনেকটাই বিদেশি সাহায্যের উপর নির্ভরশীল। তালেবানরা ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে দেশটিতে আন্তর্জাতিক সহায়তা অনেকটাই বন্ধ হয়ে গেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, নারীদের উপর তালেবানের বিধিনিষেধে এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রেক্ষাপটে দাতা দেশগুলো আফগানিস্তানে আর্থিক সহায়তা বন্ধ রেখেছে।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে মৃত্যু বেড়ে ২৪৪৫

আপডেট : ০৬:৫১:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩

আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৪৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার তালেবান প্রশাসন মৃতের নতুন সংখ্যা জানিয়ে বলেছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। খবর রয়টার্সের।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) এর তথ্য মতে, ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পটি গত শনিবার দেশটির পশ্চিমে হেরাত শহরের ৩৫ কিলোমিটার (২০ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে আঘাত হানে। গত ফেব্রুয়ারিতে তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্পে আনুমানিক ৫০ হাজার মানুষ নিহত হওয়ার পর এটি ছিল বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক ভূমিকম্পগুলোর মধ্যে একটি৷

আফগানিস্তানের দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জনান সায়েক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, ভূমিকম্পটিতে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৪৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে তিনি আহতের সংখ্যা সংশোধন করে ২ হাজার জনের বেশি বলেছেন। এর আগে, তিনি আহতের সংখ্যা ৯ হাজার ২৪০ জন বলেছিলেন।

সায়েক আরও জানান, প্রায় ১ হাজার ৩২০টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। ১০টি উদ্ধারকারী দল ইরানের সীমান্তবর্তী এলাকায় রয়েছে।

ভূমিকম্পের প্রত্যক্ষদর্শী আফগানিস্তানের হেরাতের বাসিন্দা নাসিমা জানান, আমরা সবাই আতঙ্কিত। ভূমিকম্পের পর মানুষজন তাঁদের বাড়িঘর ছেড়ে রাস্তায় অবস্থান করছিল।

দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক ডা. দানিশ জানান, ২০০টিরও বেশি মরদেহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশুর মরদেহ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, হেরাতের প্রধান হাসপাতালের বাইরে শয্যা স্থাপন করা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করার জন্য।

কাতারে তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রধান সুহেল শাহীন গণমাধ্যমকে এক বার্তায় বলেছেন, উদ্ধার ও ত্রাণের জন্য খাদ্য, পানীয় জল, ওষুধ, কাপড় ও তাঁবুর জরুরি প্রয়োজন।

পাহাড়ে ঘেরা আফগানিস্তানে পাকিস্তান সীমান্তবর্তী হিন্দুকুশ অঞ্চলে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়। দেশটিতে যুদ্ধের কারণে অবকাঠামো ধ্বংস হওয়ায় ভূমিকম্পের পর উদ্ধার অভিযান চালানো অনেকা কঠিন। এই কারণে দেশটিতে ভূমিকম্পের পর মৃত্যু সংখ্যা বেশি হয়।

আফগানিস্তানের স্বাস্থ্যসেবা অনেকটাই বিদেশি সাহায্যের উপর নির্ভরশীল। তালেবানরা ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে দেশটিতে আন্তর্জাতিক সহায়তা অনেকটাই বন্ধ হয়ে গেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, নারীদের উপর তালেবানের বিধিনিষেধে এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রেক্ষাপটে দাতা দেশগুলো আফগানিস্তানে আর্থিক সহায়তা বন্ধ রেখেছে।