ঢাকা ০১:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ট্রাম্পের অনুদান বন্ধের আদেশ আটকে গেল আদালতে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৪৯:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৫৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সব ধরনের ফেডারেল অনুদান ও ঋণ দেওয়া বন্ধ করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া আদেশ আটকে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদলত। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে গত সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্প সব ধরনের ফেডারেল সহায়তা ও ঋণ স্থগিতের নির্দেশ দেন। এরপর সাধারণ জনগণ ও রাজনীতিকদের মধ্যে এ নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। সবাই আশঙ্কা প্রকাশ করে, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের ফলে সেবা প্রদানকারী কর্মসূচিগুলো ব্যাহত হবে এবং লাখ লাখ আমেরিকান ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বেশ কয়েকটি অ্যাডভোকেসি গ্রুপ যুক্তি দেয়, ট্রাম্পের এই নির্দেশে স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে রাস্তা নির্মাণ পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচিকে বাধাগ্রস্ত করবে।

পরে গতকাল মঙ্গলবার ট্রাম্পের আদেশ কার্যকর হওয়ার কয়েক মিনিট আগে স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার দিকে জেলা জজ লরেন আলীখান ট্রাম্পের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। তিনি বলেন, আগামী সোমবার আদালত এই বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে।

গত সোমবার ‘অফিস অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেট’ এর (ওএমবি) ভারপ্রাপ্ত প্রধান ম্যাথিউ ভেথ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বলা হয়েছিল, প্রেসিডেন্টের নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্য আনতে ফেডারেল অর্থায়ন পর্যালোচনার জন্য সকল ধরনের অনুদান ও ঋণ সহায়তার ওপর স্থগিতাদেশ আরোপ করা হয়েছে। এর আগে, গত সপ্তাহে ট্রাম্পের স্বাক্ষরিত নির্বাহী আদেশের মধ্যে বৈচিত্র্য, সাম্য এবং অন্তর্ভুক্তি (ডিইআই) কর্মসূচি বাতিল করার সিদ্ধান্ত অন্তর্ভুক্ত ছিল।

এই স্থগিতাদেশে বিদেশি সহায়তা এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোর (এনজিও) জন্য বরাদ্দও অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে সামাজিক নিরাপত্তা বা চিকিৎসা সেবার অর্থ, খাদ্য সহায়তা এবং প্রতিবন্ধী ভাতার মতো ব্যক্তিগত সহায়তা এই নির্দেশের বাইরে থাকবে বলেও জানানো হয়েছিল।

তবে ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের পরপরই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখায় ডেমোক্র্যাটরা। সিনেটর প্যাটি মারে এবং কংগ্রেসম্যান রোজ ডিলাউরো এই সিদ্ধান্তকে ‘শ্বাসরুদ্ধকর এবং অভূতপূর্ব’ বলে অভিহিত করেন। তাঁরা ‘কংগ্রেস অনুমোদিত অর্থ’ আটকে রাখার এই বিষয়টিকে সংবিধানের লঙ্ঘনও বলেছেন।

সিনেটের ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘এই স্থগিতাদেশ যদি কার্যকর হয়, তবে এটি কোটি কোটি আমেরিকানের জীবনে বিপর্যয় ডেকে আনবে।’

ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ননপ্রফিটস–এর প্রধান ডায়ান ইয়েনটেল বলেছেন, ‘যদি সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যও এই অর্থায়ন স্থগিত রাখা হয়, তবে শিশুদের ক্যানসারের গবেষণা থেকে শুরু করে খাদ্য সহায়তা, পারিবারিক সহিংসতা–সুরক্ষা এবং আত্মহত্যা প্রতিরোধের হটলাইনও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্রাম্পের অনুদান বন্ধের আদেশ আটকে গেল আদালতে

আপডেট সময় : ১০:৪৯:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

সব ধরনের ফেডারেল অনুদান ও ঋণ দেওয়া বন্ধ করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া আদেশ আটকে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদলত। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে গত সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্প সব ধরনের ফেডারেল সহায়তা ও ঋণ স্থগিতের নির্দেশ দেন। এরপর সাধারণ জনগণ ও রাজনীতিকদের মধ্যে এ নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। সবাই আশঙ্কা প্রকাশ করে, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের ফলে সেবা প্রদানকারী কর্মসূচিগুলো ব্যাহত হবে এবং লাখ লাখ আমেরিকান ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বেশ কয়েকটি অ্যাডভোকেসি গ্রুপ যুক্তি দেয়, ট্রাম্পের এই নির্দেশে স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে রাস্তা নির্মাণ পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচিকে বাধাগ্রস্ত করবে।

পরে গতকাল মঙ্গলবার ট্রাম্পের আদেশ কার্যকর হওয়ার কয়েক মিনিট আগে স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার দিকে জেলা জজ লরেন আলীখান ট্রাম্পের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। তিনি বলেন, আগামী সোমবার আদালত এই বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে।

গত সোমবার ‘অফিস অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেট’ এর (ওএমবি) ভারপ্রাপ্ত প্রধান ম্যাথিউ ভেথ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বলা হয়েছিল, প্রেসিডেন্টের নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্য আনতে ফেডারেল অর্থায়ন পর্যালোচনার জন্য সকল ধরনের অনুদান ও ঋণ সহায়তার ওপর স্থগিতাদেশ আরোপ করা হয়েছে। এর আগে, গত সপ্তাহে ট্রাম্পের স্বাক্ষরিত নির্বাহী আদেশের মধ্যে বৈচিত্র্য, সাম্য এবং অন্তর্ভুক্তি (ডিইআই) কর্মসূচি বাতিল করার সিদ্ধান্ত অন্তর্ভুক্ত ছিল।

এই স্থগিতাদেশে বিদেশি সহায়তা এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোর (এনজিও) জন্য বরাদ্দও অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে সামাজিক নিরাপত্তা বা চিকিৎসা সেবার অর্থ, খাদ্য সহায়তা এবং প্রতিবন্ধী ভাতার মতো ব্যক্তিগত সহায়তা এই নির্দেশের বাইরে থাকবে বলেও জানানো হয়েছিল।

তবে ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের পরপরই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখায় ডেমোক্র্যাটরা। সিনেটর প্যাটি মারে এবং কংগ্রেসম্যান রোজ ডিলাউরো এই সিদ্ধান্তকে ‘শ্বাসরুদ্ধকর এবং অভূতপূর্ব’ বলে অভিহিত করেন। তাঁরা ‘কংগ্রেস অনুমোদিত অর্থ’ আটকে রাখার এই বিষয়টিকে সংবিধানের লঙ্ঘনও বলেছেন।

সিনেটের ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘এই স্থগিতাদেশ যদি কার্যকর হয়, তবে এটি কোটি কোটি আমেরিকানের জীবনে বিপর্যয় ডেকে আনবে।’

ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ননপ্রফিটস–এর প্রধান ডায়ান ইয়েনটেল বলেছেন, ‘যদি সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যও এই অর্থায়ন স্থগিত রাখা হয়, তবে শিশুদের ক্যানসারের গবেষণা থেকে শুরু করে খাদ্য সহায়তা, পারিবারিক সহিংসতা–সুরক্ষা এবং আত্মহত্যা প্রতিরোধের হটলাইনও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।’