ঢাকা ০৮:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ দ্বিতল রেলস্টেশন আলমডাঙ্গা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৫২:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৪৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এশিয়ার সব থেকে উঁচু-দ্বিতল স্টেশনের নাম আলমডাঙ্গা। ব্রিটিশ আমলে তৈরি করা হয় স্টেশনটি যার সাথে জড়িয়ে আছে নীলচাষের বিভিন্ন স্মৃতি। কিন্তু যথাযথ সংস্কারের অভাবে জীর্ণদশায় পরিণত হয়েছে স্টেশনটি।

দেশের রেল ইতিহাসে বর্তমান চুয়াডাঙ্গার দর্শনা হতে কুষ্টিয়া পর্যন্ত প্রথম রেল চলাচল শুরু হয়। এর মধ্যে অন্যতম ঐতিহ্যবাহী আলমডাঙ্গা স্টেশন।

আলমডাঙ্গার দোতলা স্টেশনটি মূলত ব্যবহৃত হতো ইংরেজ আমলে নীলকুঠি হিসেবে। ভবনের নিচতলায় নির্যাতন করা হতো নীল চাষিদের। তবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে খসে পড়ছে দেয়ালের প্লাস্টার সাথে ভবনে দেখা দিয়েছে ফাটলও।

দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও স্টেশনটিতে লাগেনি কোনো আধুনিকতার ছোঁয়া। মূল ভবনের সিঁড়িতে পর্যাপ্ত আলোর অভাবে ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদের। স্টেশনে যাত্রী ছাউনি ও বিশ্রামাগার নষ্ট হয়েছে অনেক আগেই।

প্রতিদিন এই স্টেশনে যাত্রাবিরতি নেয় ২২ থেকে ২৫টি ট্রেন। ফলে সবসময়ই যাত্রী সমাগম থাকে এখানে। তবে সংস্কারের অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে স্টেশনের প্রতিটি ভবন। যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়ায় স্টেশনটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে জানান এখানকার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা।

আলমডাঙ্গা স্টেশন সহকারী স্টেশন মাস্টার তন্ময় মন্ডল বলেন, ‘নিচে তলার রুমগুলো পুরোপুরি পরিত্যক্ত।’ আলমডাঙ্গা স্টেশনের পুরোনো ঐতিহ্য অক্ষুণ্ণ রেখেই এর আধুনিকায়ন চান আলমডাঙ্গাবাসী।

নিউজটি শেয়ার করুন

সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ দ্বিতল রেলস্টেশন আলমডাঙ্গা

আপডেট সময় : ০১:৫২:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

এশিয়ার সব থেকে উঁচু-দ্বিতল স্টেশনের নাম আলমডাঙ্গা। ব্রিটিশ আমলে তৈরি করা হয় স্টেশনটি যার সাথে জড়িয়ে আছে নীলচাষের বিভিন্ন স্মৃতি। কিন্তু যথাযথ সংস্কারের অভাবে জীর্ণদশায় পরিণত হয়েছে স্টেশনটি।

দেশের রেল ইতিহাসে বর্তমান চুয়াডাঙ্গার দর্শনা হতে কুষ্টিয়া পর্যন্ত প্রথম রেল চলাচল শুরু হয়। এর মধ্যে অন্যতম ঐতিহ্যবাহী আলমডাঙ্গা স্টেশন।

আলমডাঙ্গার দোতলা স্টেশনটি মূলত ব্যবহৃত হতো ইংরেজ আমলে নীলকুঠি হিসেবে। ভবনের নিচতলায় নির্যাতন করা হতো নীল চাষিদের। তবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে খসে পড়ছে দেয়ালের প্লাস্টার সাথে ভবনে দেখা দিয়েছে ফাটলও।

দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও স্টেশনটিতে লাগেনি কোনো আধুনিকতার ছোঁয়া। মূল ভবনের সিঁড়িতে পর্যাপ্ত আলোর অভাবে ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদের। স্টেশনে যাত্রী ছাউনি ও বিশ্রামাগার নষ্ট হয়েছে অনেক আগেই।

প্রতিদিন এই স্টেশনে যাত্রাবিরতি নেয় ২২ থেকে ২৫টি ট্রেন। ফলে সবসময়ই যাত্রী সমাগম থাকে এখানে। তবে সংস্কারের অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে স্টেশনের প্রতিটি ভবন। যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়ায় স্টেশনটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে জানান এখানকার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা।

আলমডাঙ্গা স্টেশন সহকারী স্টেশন মাস্টার তন্ময় মন্ডল বলেন, ‘নিচে তলার রুমগুলো পুরোপুরি পরিত্যক্ত।’ আলমডাঙ্গা স্টেশনের পুরোনো ঐতিহ্য অক্ষুণ্ণ রেখেই এর আধুনিকায়ন চান আলমডাঙ্গাবাসী।