ঢাকা ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

‘যারা শহীদ হয়েছে তাদের রক্তে সাথে বেইমানি করা যাবে না’

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:১২:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৪৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বৈষম্যহীন রাষ্ট্রের জন্য যারা শহীদ হয়েছে তাদের রক্তে সাথে বেইমানি করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ (বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে জুলাই বিপ্লবের শহীদ স্মারক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। এসময় অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্যরা জানান, আওয়ামী লীগের গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে, সংস্কারের আগে নির্বাচন হতে দেয়া যাবে না। আওয়ামী লীগের বিচার না হলে বিকল্প ফ্যাসিবাদী শক্তির উত্থানের শঙ্কা প্রকাশ করেন অন্যান্য নেতারা।

আওয়ামী লীগের গুম, খুন, সীমাহীন নির্যাতন ও ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে জুলাই বিপ্লবে সহস্রাধিক প্রাণের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশের সূচনা প্রত্যক্ষ করে দেশবাসী। এই লড়াইয়ে আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করতে হাজারও ছাত্র জনতাকে।

অভ্যুত্থানের ঠিক ছয় মাস পূর্ণ হওয়ার দিন, জাতীয় প্রেসক্লাবে জুলাই বিপ্লবের শহীদ স্মারক উন্মোচনের আয়োজন করে জামায়াতে ইসলামী। অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে শহীদ পরিবারের সদস্যরা জানান, নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগের গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে, সংস্কারের আগে নির্বাচন হতে দেয়া যাবে না।

একজন শহীদের বাবা বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত এই দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।’

শহীদদের স্মরণ করে আগত অতিথি ও জামায়াত নেতারা জানান, আওয়ামী লীগের বিচার ছাড়া কোনো কিছু জনগণ মেনে নেবে না, বিকল্প ফ্যাসিবাদী শক্তির উত্থানের আশঙ্কাও তাদের।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘যাদের কাঁধে ভর করে অথবা যাদের কথায় আশকারা পেয়ে আওয়ামী লীগ এবং তার দোসররা বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হওয়ার চেষ্টা করবে তাদেরকেও আমরা রুখে দিবো ইনশাআল্লাহ।’

১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘দৃঢ়ভাবে দেশকে শাসন করুন, আমরা সবাই আপনাদের সাথে আছি। কিন্তু সরকার যে গতিতে চলছে এই গতিতে চললে ফ্যাসিস্টরা আজকে আবার ফিরে আসার দুঃসাহস দেখাচ্ছে।’

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘খুনিদের বিচার এক নম্বরে চাই। খুনিদের বিচার না করে বাংলাদেশে আপনারা যা করতে চান, এ দেশের জনগণ তা মানবে না।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান জানান, বৈষম্যহীন রাষ্ট্রের জন্য যারা শহীদ হয়েছে তাদের রক্তে সাথে বেইমানি করা যাবে না, শহীদের স্মৃতি সংরক্ষণের দায়িত্ব সবার।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘তাদের রক্তের দিকে একটু তাকান। তরতাজা সেই শিশু, কিশোর, যুবক, নারী-পুরুষের দিকে তাকান যারা জীবন দিয়েছে। তাদের দিকে তাকিয়ে বিপ্লবের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ হয় এমন কোনো অপকর্ম মেহেরবানি করে কেউ করবেন না।’

আওয়ামী লীগের গণহত্যার বিচার, ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন রোধ কিংবা জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করার জানায় শহীদ পরিবারের সদস্যরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

‘যারা শহীদ হয়েছে তাদের রক্তে সাথে বেইমানি করা যাবে না’

আপডেট সময় : ১১:১২:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বৈষম্যহীন রাষ্ট্রের জন্য যারা শহীদ হয়েছে তাদের রক্তে সাথে বেইমানি করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ (বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে জুলাই বিপ্লবের শহীদ স্মারক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। এসময় অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্যরা জানান, আওয়ামী লীগের গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে, সংস্কারের আগে নির্বাচন হতে দেয়া যাবে না। আওয়ামী লীগের বিচার না হলে বিকল্প ফ্যাসিবাদী শক্তির উত্থানের শঙ্কা প্রকাশ করেন অন্যান্য নেতারা।

আওয়ামী লীগের গুম, খুন, সীমাহীন নির্যাতন ও ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে জুলাই বিপ্লবে সহস্রাধিক প্রাণের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশের সূচনা প্রত্যক্ষ করে দেশবাসী। এই লড়াইয়ে আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করতে হাজারও ছাত্র জনতাকে।

অভ্যুত্থানের ঠিক ছয় মাস পূর্ণ হওয়ার দিন, জাতীয় প্রেসক্লাবে জুলাই বিপ্লবের শহীদ স্মারক উন্মোচনের আয়োজন করে জামায়াতে ইসলামী। অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে শহীদ পরিবারের সদস্যরা জানান, নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগের গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে, সংস্কারের আগে নির্বাচন হতে দেয়া যাবে না।

একজন শহীদের বাবা বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত এই দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।’

শহীদদের স্মরণ করে আগত অতিথি ও জামায়াত নেতারা জানান, আওয়ামী লীগের বিচার ছাড়া কোনো কিছু জনগণ মেনে নেবে না, বিকল্প ফ্যাসিবাদী শক্তির উত্থানের আশঙ্কাও তাদের।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘যাদের কাঁধে ভর করে অথবা যাদের কথায় আশকারা পেয়ে আওয়ামী লীগ এবং তার দোসররা বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হওয়ার চেষ্টা করবে তাদেরকেও আমরা রুখে দিবো ইনশাআল্লাহ।’

১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘দৃঢ়ভাবে দেশকে শাসন করুন, আমরা সবাই আপনাদের সাথে আছি। কিন্তু সরকার যে গতিতে চলছে এই গতিতে চললে ফ্যাসিস্টরা আজকে আবার ফিরে আসার দুঃসাহস দেখাচ্ছে।’

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘খুনিদের বিচার এক নম্বরে চাই। খুনিদের বিচার না করে বাংলাদেশে আপনারা যা করতে চান, এ দেশের জনগণ তা মানবে না।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান জানান, বৈষম্যহীন রাষ্ট্রের জন্য যারা শহীদ হয়েছে তাদের রক্তে সাথে বেইমানি করা যাবে না, শহীদের স্মৃতি সংরক্ষণের দায়িত্ব সবার।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘তাদের রক্তের দিকে একটু তাকান। তরতাজা সেই শিশু, কিশোর, যুবক, নারী-পুরুষের দিকে তাকান যারা জীবন দিয়েছে। তাদের দিকে তাকিয়ে বিপ্লবের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ হয় এমন কোনো অপকর্ম মেহেরবানি করে কেউ করবেন না।’

আওয়ামী লীগের গণহত্যার বিচার, ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন রোধ কিংবা জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করার জানায় শহীদ পরিবারের সদস্যরা।