ঢাকা ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫, ১৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

৭ অক্টোবরের কোনো দায় নেবেন না নেতানিয়াহু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:০৭:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৪৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায়। বিশ্বের সবচেয়ে পোক্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে ইসরায়েলে আঘাত হানে হামাসের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র। ইসরায়েলের এই প্রতিরক্ষা ব্যর্থতার কোনো দায় নিতে রাজি নন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ওই হামলার পর শুরু হয় গাজায় ইসরায়েলের হামলা, যেখানে প্রায় ৫০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়। এখন দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চলছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধের শুরুতেই ইসরায়েলের সেনাপ্রধান সেদিনের সেই নিরাপত্তা ব্যর্থতার দায় নিয়েছেন। এই দায় নিয়েই তিনি পরের সপ্তাহেই পদত্যাগ করেন। একই দায় কিন্তু নেতানিয়াহুরও রয়েছে বলে মনে করে ইসরায়েলের জনগণ। এবং সেই কারণে তাঁরও পদত্যাগের দাবি ওঠে সে সময়।

নেতানিয়াহু অবশ্য সেই দায় নিজের কাঁধে নিতে একেবারেই রাজি নন। যদিও তাঁর সেই সময়ের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট হামাসের সক্ষমতাকে খাটো করে দেখার দায় নিয়ে বলেছিলেন, এই ব্যর্থতার দায় কিছুটা তাঁরও রয়েছে। কিন্তু নেতানিয়াহু এখানে একেবারেই অটল যে, তাঁর কোনো দায় নেই।

৭ অক্টোবরের অভিজ্ঞতা যেসব ইসরায়েলির রয়েছে, তাঁদের প্রশ্ন–সেদিন কেন ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এত দেরিতে এবং এত স্বল্প মাত্রায় সক্রিয় হয়েছিল। এ বিষয়ে তাঁরা একটি পূর্ণ তদন্ত দাবি করছেন অনেক দিন হলো।

যদিও ইসরায়েলের সরকারের তরফ থেকে এমন তদন্তের দাবিটি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো প্রশ্নে উত্তর দিতে রাজি নন নেতানিয়াহু। আল জাজিরা লিখেছে, নেতানিয়াহুর ভাষ্য হচ্ছে, যুদ্ধ সমাপ্ত হলে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কোনো একটি কমিশন গঠন করে এই ব্যর্থতার কালণ অনুসন্ধানে নিরীক্ষা চালানো যেতে পারে।

এ সম্পর্কিত গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশের পর শুক্রবার ইসরায়েলের এক জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘৭ অক্টোবর ছিল (ইসরায়েলের) পূর্ণাঙ্গ ব্যর্থতার দিন। ইসরায়েলের বেসামরিক মানুষকে রক্ষার মিশনে সেনাবাহিনী পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছিল সেদিন। অনেক বেসামরিক মানুষ সেদিন মারা গিয়েছিল। তাদের প্রশ্ন ছিল–সেনাবাহিনী কোথায়?’

এদিকে এই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের দিন ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে অভিযান অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। যদিও যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ চলছে এখনো। ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, এই অভিযানে পশ্চিম তীরের অবকাঠামোর বড় ক্ষতি হচ্ছে। বিশেষত বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহব্যবস্থা, পয়োনিষ্কাশন, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এ অভিযানে এক মাসের মধ্যে ৬২ জন ফিলিস্তিনি নিহত, ৪০ হাজার মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

৭ অক্টোবরের কোনো দায় নেবেন না নেতানিয়াহু

আপডেট সময় : ০৬:০৭:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায়। বিশ্বের সবচেয়ে পোক্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে ইসরায়েলে আঘাত হানে হামাসের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র। ইসরায়েলের এই প্রতিরক্ষা ব্যর্থতার কোনো দায় নিতে রাজি নন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ওই হামলার পর শুরু হয় গাজায় ইসরায়েলের হামলা, যেখানে প্রায় ৫০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়। এখন দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চলছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধের শুরুতেই ইসরায়েলের সেনাপ্রধান সেদিনের সেই নিরাপত্তা ব্যর্থতার দায় নিয়েছেন। এই দায় নিয়েই তিনি পরের সপ্তাহেই পদত্যাগ করেন। একই দায় কিন্তু নেতানিয়াহুরও রয়েছে বলে মনে করে ইসরায়েলের জনগণ। এবং সেই কারণে তাঁরও পদত্যাগের দাবি ওঠে সে সময়।

নেতানিয়াহু অবশ্য সেই দায় নিজের কাঁধে নিতে একেবারেই রাজি নন। যদিও তাঁর সেই সময়ের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট হামাসের সক্ষমতাকে খাটো করে দেখার দায় নিয়ে বলেছিলেন, এই ব্যর্থতার দায় কিছুটা তাঁরও রয়েছে। কিন্তু নেতানিয়াহু এখানে একেবারেই অটল যে, তাঁর কোনো দায় নেই।

৭ অক্টোবরের অভিজ্ঞতা যেসব ইসরায়েলির রয়েছে, তাঁদের প্রশ্ন–সেদিন কেন ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এত দেরিতে এবং এত স্বল্প মাত্রায় সক্রিয় হয়েছিল। এ বিষয়ে তাঁরা একটি পূর্ণ তদন্ত দাবি করছেন অনেক দিন হলো।

যদিও ইসরায়েলের সরকারের তরফ থেকে এমন তদন্তের দাবিটি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো প্রশ্নে উত্তর দিতে রাজি নন নেতানিয়াহু। আল জাজিরা লিখেছে, নেতানিয়াহুর ভাষ্য হচ্ছে, যুদ্ধ সমাপ্ত হলে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কোনো একটি কমিশন গঠন করে এই ব্যর্থতার কালণ অনুসন্ধানে নিরীক্ষা চালানো যেতে পারে।

এ সম্পর্কিত গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশের পর শুক্রবার ইসরায়েলের এক জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘৭ অক্টোবর ছিল (ইসরায়েলের) পূর্ণাঙ্গ ব্যর্থতার দিন। ইসরায়েলের বেসামরিক মানুষকে রক্ষার মিশনে সেনাবাহিনী পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছিল সেদিন। অনেক বেসামরিক মানুষ সেদিন মারা গিয়েছিল। তাদের প্রশ্ন ছিল–সেনাবাহিনী কোথায়?’

এদিকে এই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের দিন ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে অভিযান অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। যদিও যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ চলছে এখনো। ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, এই অভিযানে পশ্চিম তীরের অবকাঠামোর বড় ক্ষতি হচ্ছে। বিশেষত বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহব্যবস্থা, পয়োনিষ্কাশন, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এ অভিযানে এক মাসের মধ্যে ৬২ জন ফিলিস্তিনি নিহত, ৪০ হাজার মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে।