ঢাকা ০৯:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু আজ

ভোলা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০২:২৭:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫
  • / ৩৪৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাটকার নিরাপদ বিচরণ নিশ্চিতে মধ্যরাত থেকে পদ্মা-যমুনায় মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। শনিবার (১ মার্চ )থেকে এই নিষেধাজ্ঞা চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।

ভোলায় মেঘনার ৯০ কিলোমিটার ও তেঁতুলিয়া নদীর ১০০ কিলোমিটার এলাকায় সব ধরণের মাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। আর নিষেধাজ্ঞার জন্য ইতোমধ্যেই জেলেরা নদী থেকে নৌকা, ট্রলার জালসহ মাছ শিকারের সকল উপকরণ তীরে নিয়ে এসেছে। নিষেধাজ্ঞার দুই মাস অনেকটা কর্মহীন হয়ে অলস সময় পার করবেন ভোলার জেলেরা। অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে জেলে পেশায় থাকার পর এখনও অনেক জেলের ভাগ্যে জোটেনি সরকারিভাবে জেলে নিবন্ধন।

জেলেরা জানান, ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা সফল করতে হলে তাদের নামে সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত চাল আগের চেয়ে বেশি ও দ্রুত বিতরণের পাশাপাশি আর্থিক সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে। একইসাথে ২ মাসের জন্য এনজিওর কিস্তি আদায় বন্ধের দাবী তাদের।

তবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানান, নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে জেলেদের নামে চাল ২৫ কেজি থেকে বাড়িয়ে ৪০ কেজি ও ৪০ কেজি থেকে বাড়িয়ে ৫০ কেজি চাল দেওয়া হবে। চালের সাথে ডাল ও তেল বিতরণের বিষয়ে ভাবা হচ্ছে বলে জানান উপদেষ্টা।

অন্যদিকে ভোলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, আগামী ৭ মার্চ থেকে চাল বিতরণ শুরু করে ১০ মার্চের মধ্যে বিতরণ কাজ সম্পূর্ণ করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এছাড়াও জেলেদের ঋণের কিস্তি আদায় ২ মাসের জন্য বন্ধের বিষয়ে তারা আলোচনা করবেন।

ভোলার সাত উপজেলা সরকারিভাবে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা রয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার ২৮৩ জন। এ বছর ৪০ কেজি করে চাল পাবেন ৮৯ হাজার ৬০০ জন জেলে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু আজ

আপডেট সময় : ০২:২৭:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাটকার নিরাপদ বিচরণ নিশ্চিতে মধ্যরাত থেকে পদ্মা-যমুনায় মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। শনিবার (১ মার্চ )থেকে এই নিষেধাজ্ঞা চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।

ভোলায় মেঘনার ৯০ কিলোমিটার ও তেঁতুলিয়া নদীর ১০০ কিলোমিটার এলাকায় সব ধরণের মাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। আর নিষেধাজ্ঞার জন্য ইতোমধ্যেই জেলেরা নদী থেকে নৌকা, ট্রলার জালসহ মাছ শিকারের সকল উপকরণ তীরে নিয়ে এসেছে। নিষেধাজ্ঞার দুই মাস অনেকটা কর্মহীন হয়ে অলস সময় পার করবেন ভোলার জেলেরা। অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে জেলে পেশায় থাকার পর এখনও অনেক জেলের ভাগ্যে জোটেনি সরকারিভাবে জেলে নিবন্ধন।

জেলেরা জানান, ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা সফল করতে হলে তাদের নামে সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত চাল আগের চেয়ে বেশি ও দ্রুত বিতরণের পাশাপাশি আর্থিক সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে। একইসাথে ২ মাসের জন্য এনজিওর কিস্তি আদায় বন্ধের দাবী তাদের।

তবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানান, নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে জেলেদের নামে চাল ২৫ কেজি থেকে বাড়িয়ে ৪০ কেজি ও ৪০ কেজি থেকে বাড়িয়ে ৫০ কেজি চাল দেওয়া হবে। চালের সাথে ডাল ও তেল বিতরণের বিষয়ে ভাবা হচ্ছে বলে জানান উপদেষ্টা।

অন্যদিকে ভোলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, আগামী ৭ মার্চ থেকে চাল বিতরণ শুরু করে ১০ মার্চের মধ্যে বিতরণ কাজ সম্পূর্ণ করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এছাড়াও জেলেদের ঋণের কিস্তি আদায় ২ মাসের জন্য বন্ধের বিষয়ে তারা আলোচনা করবেন।

ভোলার সাত উপজেলা সরকারিভাবে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা রয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার ২৮৩ জন। এ বছর ৪০ কেজি করে চাল পাবেন ৮৯ হাজার ৬০০ জন জেলে।