ঢাকা ০৩:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ভারতকে কড়া বার্তা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:১১:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
  • / ৩৪৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে দেয়া প্রথম বক্তৃতায় ভারতের নাম নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে অন্যান্য দেশ আমাদের ওপর শুল্ক চাপিয়ে আসছে, এবার আমাদের পালা। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন, ব্রাজিল, ভারত এবং অসংখ্য অন্যান্য দেশ আমাদের ওপর যত বেশি শুল্ক আরোপ করে, আমরাও তত শুল্ক আরোপ করব।”

এ সময় ভারতের কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘‘ভারত আমাদের উপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এই ব্যবস্থা আমেরিকার প্রতি ন্যায্য নয়, কখনওই ছিল না।’’

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেন। গত জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর এটিই কংগ্রেসে তার প্রথম ভাষণ। অভিষেকের বছর ছাড়া অন্যান্য বছরে এই ভাষণকে সাধারণত “স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন” বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বক্তব্য রাখার সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়ে দেন, পারস্পরিক শুল্ক চাপানোর নীতি থেকে বাদ পড়ছে না ভারত। এ সময় পাল্টা শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণাও করেন তিনি। শুধু তাই নয়, কবে থেকে আমেরিকায় ভারতীয় পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ হবে, সেই তারিখও জানিয়ে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

ট্রাম্পের ঘোষণা দেন, ‘‘আমরা আগামী ২ এপ্রিল থেকে পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করব। আমি চেয়েছিলাম ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর করতে। কিন্তু অনেকে ভাবতে পারেন, আমি এপ্রিল ফুল করছি। তাই ২ এপ্রিল থেকে পারস্পরিক শুল্ক চালু করব।’’

ভারত ছাড়াও চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডা, মেক্সিকোর মতো দেশগুলোর ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের কথা বলেন মার্কিন রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ট্রাম্পের একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছিলেন, আমদানি শুল্কের বিষয়ে তিনি কখনোই নমনীয় হবেন না। “টিট ফর ট্যাট” নীতি অনুসরণ করার কথাও জানিয়েছিলেন ট্রাম্প।

ট্রাম্পের দাবি ছিল, যে দেশ মার্কিন পণ্যের ওপর যত বেশি শুল্ক চাপাবে, আমেরিকাও সেই সব দেশের পণ্যের ওপর তত পরিমাণ আমদানি শুল্ক বসাবে। সেই ঘোষণায় যে তিনি এখনও অনড় তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন ট্রাম্প। মঙ্গলবারের ভাষণে তিনি আরও বলেছেন, “কেউ শুল্কের বদলে অন্য কোনও বাধার সৃষ্টি করলে, আমরাও তাদের জন্য সেই একই কাজ করব।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারতকে কড়া বার্তা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

আপডেট সময় : ০২:১১:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে দেয়া প্রথম বক্তৃতায় ভারতের নাম নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে অন্যান্য দেশ আমাদের ওপর শুল্ক চাপিয়ে আসছে, এবার আমাদের পালা। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন, ব্রাজিল, ভারত এবং অসংখ্য অন্যান্য দেশ আমাদের ওপর যত বেশি শুল্ক আরোপ করে, আমরাও তত শুল্ক আরোপ করব।”

এ সময় ভারতের কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘‘ভারত আমাদের উপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এই ব্যবস্থা আমেরিকার প্রতি ন্যায্য নয়, কখনওই ছিল না।’’

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেন। গত জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর এটিই কংগ্রেসে তার প্রথম ভাষণ। অভিষেকের বছর ছাড়া অন্যান্য বছরে এই ভাষণকে সাধারণত “স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন” বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বক্তব্য রাখার সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়ে দেন, পারস্পরিক শুল্ক চাপানোর নীতি থেকে বাদ পড়ছে না ভারত। এ সময় পাল্টা শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণাও করেন তিনি। শুধু তাই নয়, কবে থেকে আমেরিকায় ভারতীয় পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ হবে, সেই তারিখও জানিয়ে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

ট্রাম্পের ঘোষণা দেন, ‘‘আমরা আগামী ২ এপ্রিল থেকে পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করব। আমি চেয়েছিলাম ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর করতে। কিন্তু অনেকে ভাবতে পারেন, আমি এপ্রিল ফুল করছি। তাই ২ এপ্রিল থেকে পারস্পরিক শুল্ক চালু করব।’’

ভারত ছাড়াও চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডা, মেক্সিকোর মতো দেশগুলোর ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের কথা বলেন মার্কিন রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ট্রাম্পের একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছিলেন, আমদানি শুল্কের বিষয়ে তিনি কখনোই নমনীয় হবেন না। “টিট ফর ট্যাট” নীতি অনুসরণ করার কথাও জানিয়েছিলেন ট্রাম্প।

ট্রাম্পের দাবি ছিল, যে দেশ মার্কিন পণ্যের ওপর যত বেশি শুল্ক চাপাবে, আমেরিকাও সেই সব দেশের পণ্যের ওপর তত পরিমাণ আমদানি শুল্ক বসাবে। সেই ঘোষণায় যে তিনি এখনও অনড় তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন ট্রাম্প। মঙ্গলবারের ভাষণে তিনি আরও বলেছেন, “কেউ শুল্কের বদলে অন্য কোনও বাধার সৃষ্টি করলে, আমরাও তাদের জন্য সেই একই কাজ করব।