ঢাকা ০৩:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ মার্চ ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ভ্যাটিকানের মানব ভ্রাতৃত্ব সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:১৭:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
  • / ৩৪৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ভ্যাটিকান সিটিতে আগামী ১২-১৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য মানবভ্রাতৃত্ব বিষয়ক বিশ্ব সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস।

ভ্যাটিকানের ফন্ডাজিওনে ফ্রাতেল্লি তুত্তির মহাসচিব ফাদার ফ্রান্সেস্কো ওক্কেত্তা বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা যমুনায় অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ব্যক্তিগতভাবে এই আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন।

সাক্ষাতের সময় ওক্কেত্তা নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূসের বৈশ্বিক প্রভাবের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘আপনি একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা; আপনি এক বিস্ময়কর ব্যক্তিত্ব।’

মানব ভ্রাতৃত্ব বিষয়ক বিশ্ব সম্মেলনকে একটি ঐতিহাসিক আয়োজন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, যেখানে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং চিন্তাবিদরা একত্রিত হবেন ঐক্য, শান্তি ও সামাজিক ন্যায়ের ভিত্তিতে ভবিষ্যৎ গঠনের জন্য।

এই আয়োজনে ‘টেবিলস অব হিউম্যানিটি’ নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি খসড়া করা হবে, যেখানে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের সার্বজনীন নীতিমালা নির্ধারণ করা হবে এবং পোপ ফ্রান্সিসের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী একটি নতুন মানব সনদ গঠনের দিকনির্দেশনা থাকবে।

সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে এক বিশাল জনসমাগমের প্রত্যাশা করা হচ্ছে, যা এই সম্মেলনের অন্যতম বৃহৎ আয়োজন হবে। পাশাপাশি, এতে বৈশ্বিক কনসার্ট, আলোচনা সভা ও প্রতীকী মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনা থাকবে, যা মানব ভ্রাতৃত্বের মূলনীতিগুলোকে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করবে।

ওক্কেত্তা অধ্যাপক ইউনূসকে জানান, বিশ্বের বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ এই আয়োজনে উপস্থিত থাকবেন।

সাক্ষাৎকালে অধ্যাপক ইউনূস পোপ ফ্রান্সিসের সুস্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজখবর নেন এবং তাঁর প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘তিনি একজন অসাধারণ মানুষ।’

জবাবে ওক্কেত্তা বাংলাদেশ সম্পর্কে তাঁদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা শুধু আপনাকে আমন্ত্রণ জানাতে আসিনি; বরং বাংলাদেশকে সমর্থন, যত্ন ও ভালোবাসা জানাতেও এসেছি।’

অধ্যাপক ইউনূস এই আমন্ত্রণের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমি এই সম্মেলনের জন্য আগ্রহী হয়ে অপেক্ষা করছি।’

ভ্যাটিকান কর্তৃপক্ষ অধ্যাপক ইউনূসের ‘থ্রি জিরো প্রিন্সিপল’—শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য নেট কার্বন নিঃসরণ—এর প্রতি স্বীকৃতি প্রদান করেছে, যা তাঁর রূপান্তরমূলক নেতৃত্ব ও ন্যায়সঙ্গত এবং টেকসই বিশ্ব গঠনের প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভ্যাটিকানের মানব ভ্রাতৃত্ব সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ

আপডেট সময় : ০৯:১৭:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ভ্যাটিকান সিটিতে আগামী ১২-১৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য মানবভ্রাতৃত্ব বিষয়ক বিশ্ব সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস।

ভ্যাটিকানের ফন্ডাজিওনে ফ্রাতেল্লি তুত্তির মহাসচিব ফাদার ফ্রান্সেস্কো ওক্কেত্তা বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা যমুনায় অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ব্যক্তিগতভাবে এই আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন।

সাক্ষাতের সময় ওক্কেত্তা নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূসের বৈশ্বিক প্রভাবের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘আপনি একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা; আপনি এক বিস্ময়কর ব্যক্তিত্ব।’

মানব ভ্রাতৃত্ব বিষয়ক বিশ্ব সম্মেলনকে একটি ঐতিহাসিক আয়োজন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, যেখানে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং চিন্তাবিদরা একত্রিত হবেন ঐক্য, শান্তি ও সামাজিক ন্যায়ের ভিত্তিতে ভবিষ্যৎ গঠনের জন্য।

এই আয়োজনে ‘টেবিলস অব হিউম্যানিটি’ নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি খসড়া করা হবে, যেখানে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের সার্বজনীন নীতিমালা নির্ধারণ করা হবে এবং পোপ ফ্রান্সিসের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী একটি নতুন মানব সনদ গঠনের দিকনির্দেশনা থাকবে।

সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে এক বিশাল জনসমাগমের প্রত্যাশা করা হচ্ছে, যা এই সম্মেলনের অন্যতম বৃহৎ আয়োজন হবে। পাশাপাশি, এতে বৈশ্বিক কনসার্ট, আলোচনা সভা ও প্রতীকী মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনা থাকবে, যা মানব ভ্রাতৃত্বের মূলনীতিগুলোকে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করবে।

ওক্কেত্তা অধ্যাপক ইউনূসকে জানান, বিশ্বের বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ এই আয়োজনে উপস্থিত থাকবেন।

সাক্ষাৎকালে অধ্যাপক ইউনূস পোপ ফ্রান্সিসের সুস্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজখবর নেন এবং তাঁর প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘তিনি একজন অসাধারণ মানুষ।’

জবাবে ওক্কেত্তা বাংলাদেশ সম্পর্কে তাঁদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা শুধু আপনাকে আমন্ত্রণ জানাতে আসিনি; বরং বাংলাদেশকে সমর্থন, যত্ন ও ভালোবাসা জানাতেও এসেছি।’

অধ্যাপক ইউনূস এই আমন্ত্রণের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমি এই সম্মেলনের জন্য আগ্রহী হয়ে অপেক্ষা করছি।’

ভ্যাটিকান কর্তৃপক্ষ অধ্যাপক ইউনূসের ‘থ্রি জিরো প্রিন্সিপল’—শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য নেট কার্বন নিঃসরণ—এর প্রতি স্বীকৃতি প্রদান করেছে, যা তাঁর রূপান্তরমূলক নেতৃত্ব ও ন্যায়সঙ্গত এবং টেকসই বিশ্ব গঠনের প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে।