ঢাকা ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

প্রয়াত বৈজয়ন্তীমালা? মুখ খুললেন অভিনেত্রীর পরিবার

বিনোদন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:১১:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫
  • / ৩৮৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সকাল থেকে নেটদুনিয়া তোলপাড়। কোথাও কোথাও খবর ছড়িয়েছে, গুরুতর অসুস্থ বর্ষীয়ান অভিনেত্রী বৈজয়ন্তীমালা। কোথাও আবার খবর ছড়িয়ে পড়েছে, তিনি প্রয়াত হয়েছেন। গুজব থামাতে অবশেষে মুখ খুললেন শিল্পীর পরিবার। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, অভিনেত্রী সুস্থ রয়েছেন। এই খবরের কোনও সত্যতা নেই। রীতিমতো বিরক্ত হয়ে শিল্পীর পরিবার থেকে জানানো হয়েছে, খবর শেয়ার করার আগে সত্যতা যাচাই করে নেওয়া উচিত।

শুক্রবার বৈজয়ন্তীমালার পুত্র সুচিন্দ্র বালি সমাজমাধ্যমে একটি বিবৃতি পোস্ট করে জানিয়েছেন, বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সুস্থ আছেন। সুচিন্দ্র লেখেন, ‘বৈজয়ন্তীমালা সুস্থ আছেন। তার বাইরে যে কোনও খবরের কোনও সত্যতা নেই। গুজব ছড়ানোর আগে দয়া করে খবরের সত্যতা যাচাই করে নিন।’ বৈজয়ন্তীমালার বয়স ৯১ বছর। সম্প্রতি চেন্নাইয়ে একটি অনুষ্ঠানে ভরতনাট্যম নাচ করেছিলেন তিনি। সেই কারণেই সমাজমাধ্যমে অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তে অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। একজন লিখেছেন, ‘এই খবর কি সত্য? কয়েক মাস আগেও অত সুন্দর নৃত্য পরিবেশন করেছেন বৈজয়ন্তীমালা। তার পর এ রকম খবর বিশ্বাস করতে চাই না!’

চল্লিশের দশকে তামিল ছবিতে অভিনয় শুরু করলেও ১৯৫১ সালে মুক্তি পায় বৈজয়ন্তীমালা অভিনীত প্রথম হিন্দি ছবি ‘বাহার’। ‘দেবদাস’, ‘গঙ্গা যমুনা’, ‘মধুমতী’, ‘সঙ্গম’, ‘জুয়েল থিফ’ তাঁর উল্লেখযোগ্য ছবি। ঠাকুমার কাছে বড় হয়ে উঠেছেন বৈজয়ন্তীমালা। তামিল তাঁর মাতৃভাষা। কেরিয়ারের একেবারে শুরুর দিক থেকেই তিনি নাচ শুরু করেন। মাত্র ১৩ বছর বয়স থেকে তিনি পারফর্ম করতে শুরু করেন। পাঁচ বছর বয়সে নাচ শুরু করেন তিনি। বিয়ের পরে কেরিয়ারের শীর্ষে থাকাকালীন অভিনয় জীবন থেকে বিদায় নেন তিনি। ১৯৫৪ সালে নাগিন চলচ্চিত্রে সাফল্য পান বৈজয়ন্তীমালা। তাঁর পাওয়া প্রথম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। সাধনা ও মধুমতী এ দুইটি ছবি ব্যাপকভাবে আলোচনায় স্থান পায় ও বাণিজ্যিকভাবে সফলতা লাভ করে। এ দুটি চলচ্চিত্রই ফিল্মফেয়ার সেরা অভিনেত্রী পুরস্কার বিভাগের জন্য মনোনীত হয়েছিল। এর মধ্যে প্রথমটি পুরষ্কার পায়। এ সময়েই তিনি তামিল চলচ্চিত্রে ফিরে আসেন। ভঞ্জিকোত্তাই বলিবান, ইরুম্বু থিরাই, ভগবৎ থিরুদান ও থেন নীলাভুর ন্যায় বাণিজ্যিকধর্মী চলচ্চিত্রে সাফল্য লাভ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রয়াত বৈজয়ন্তীমালা? মুখ খুললেন অভিনেত্রীর পরিবার

আপডেট সময় : ০১:১১:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

সকাল থেকে নেটদুনিয়া তোলপাড়। কোথাও কোথাও খবর ছড়িয়েছে, গুরুতর অসুস্থ বর্ষীয়ান অভিনেত্রী বৈজয়ন্তীমালা। কোথাও আবার খবর ছড়িয়ে পড়েছে, তিনি প্রয়াত হয়েছেন। গুজব থামাতে অবশেষে মুখ খুললেন শিল্পীর পরিবার। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, অভিনেত্রী সুস্থ রয়েছেন। এই খবরের কোনও সত্যতা নেই। রীতিমতো বিরক্ত হয়ে শিল্পীর পরিবার থেকে জানানো হয়েছে, খবর শেয়ার করার আগে সত্যতা যাচাই করে নেওয়া উচিত।

শুক্রবার বৈজয়ন্তীমালার পুত্র সুচিন্দ্র বালি সমাজমাধ্যমে একটি বিবৃতি পোস্ট করে জানিয়েছেন, বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সুস্থ আছেন। সুচিন্দ্র লেখেন, ‘বৈজয়ন্তীমালা সুস্থ আছেন। তার বাইরে যে কোনও খবরের কোনও সত্যতা নেই। গুজব ছড়ানোর আগে দয়া করে খবরের সত্যতা যাচাই করে নিন।’ বৈজয়ন্তীমালার বয়স ৯১ বছর। সম্প্রতি চেন্নাইয়ে একটি অনুষ্ঠানে ভরতনাট্যম নাচ করেছিলেন তিনি। সেই কারণেই সমাজমাধ্যমে অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তে অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। একজন লিখেছেন, ‘এই খবর কি সত্য? কয়েক মাস আগেও অত সুন্দর নৃত্য পরিবেশন করেছেন বৈজয়ন্তীমালা। তার পর এ রকম খবর বিশ্বাস করতে চাই না!’

চল্লিশের দশকে তামিল ছবিতে অভিনয় শুরু করলেও ১৯৫১ সালে মুক্তি পায় বৈজয়ন্তীমালা অভিনীত প্রথম হিন্দি ছবি ‘বাহার’। ‘দেবদাস’, ‘গঙ্গা যমুনা’, ‘মধুমতী’, ‘সঙ্গম’, ‘জুয়েল থিফ’ তাঁর উল্লেখযোগ্য ছবি। ঠাকুমার কাছে বড় হয়ে উঠেছেন বৈজয়ন্তীমালা। তামিল তাঁর মাতৃভাষা। কেরিয়ারের একেবারে শুরুর দিক থেকেই তিনি নাচ শুরু করেন। মাত্র ১৩ বছর বয়স থেকে তিনি পারফর্ম করতে শুরু করেন। পাঁচ বছর বয়সে নাচ শুরু করেন তিনি। বিয়ের পরে কেরিয়ারের শীর্ষে থাকাকালীন অভিনয় জীবন থেকে বিদায় নেন তিনি। ১৯৫৪ সালে নাগিন চলচ্চিত্রে সাফল্য পান বৈজয়ন্তীমালা। তাঁর পাওয়া প্রথম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। সাধনা ও মধুমতী এ দুইটি ছবি ব্যাপকভাবে আলোচনায় স্থান পায় ও বাণিজ্যিকভাবে সফলতা লাভ করে। এ দুটি চলচ্চিত্রই ফিল্মফেয়ার সেরা অভিনেত্রী পুরস্কার বিভাগের জন্য মনোনীত হয়েছিল। এর মধ্যে প্রথমটি পুরষ্কার পায়। এ সময়েই তিনি তামিল চলচ্চিত্রে ফিরে আসেন। ভঞ্জিকোত্তাই বলিবান, ইরুম্বু থিরাই, ভগবৎ থিরুদান ও থেন নীলাভুর ন্যায় বাণিজ্যিকধর্মী চলচ্চিত্রে সাফল্য লাভ করেন।