ঢাকা ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বাজার অস্থিতিশীলের চেষ্টা হলে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:৪০:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫
  • / ৩৫৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পণ্যের দাম ও বাজার অস্থিতিশীলের চেষ্টা হলে জরিমানাসহ কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর। শনিবার ঢাকার বিভিন্ন বাজারে অভিযান চলাকালে এসব কথা জানানো হয়। বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে স্বস্তি জানিয়ে ভোক্তারা বলেছেন, রমজানে এবার নতুন করে বাড়েনি ভোগ্যপণ্যের দাম।

প্রতিবছর রমজান মাস আসলেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। তবে, এবার এখনো স্থিতিশীল রয়েছে বাজার পরিস্থিতি।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ছোলা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, লেবুর হালি ৪০ টাকা। এছাড়া, বাজারে তেলের সরবরাহ সংকটও কমতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

একজন বিক্রেতা বলেন, ‘সবকিছু মিলিয়ে সব পণ্যের দাম স্বাভাবিক আছে। আয়ত্তের মধ্যে আছে। একটা তরমুজের পিছ কেনা পড়েছে ধরেন ৩৩০–৩৩৫। আমরা বিক্রি করছি ছোটগুলো ৩০০ টাকা আর বড়গুলো ৪০০ থেকে ৪৫০টাকা।’

তবে ক্রেতারা বলছেন, রমজান মাসকে পুঁজি করেই অনেক অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিমভাবে পণ্যের দাম বাড়িয়ে ফেলে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তাদের।

এদিকে, শনিবার সকাল থেকে ঢাকার বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এসময়, পণ্যের অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি করায় ৪টি দোকানকে মোট ১১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, ‘সকল পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক আছে। তেল নিয়ে যে সংকট ছিল, সেটিও এখন সমাধান হয়েছে। প্রত্যেক দোকানেই এখন বোতলজাত সয়াবিন পাওয়া যাচ্ছে। ভোক্তাদের কাছ থেকেও আমরা এখন কোনো অভিযোগ পাচ্ছি না। কিন্তু ব্যবসায়ীরা যদি অনৈতিকতা চর্চা করেন বা আইন ভায়োলেট করেন সেক্ষেত্রে তাকে জরিমানা করতে হয়।’

রমজান মাসকে সামনে রেখে প্রথম রোজা থেকে শুরু করে ২৮ রোজা পর্যন্ত বাজারে অভিযান চালাচ্ছে ভোক্তা অধিদপ্তর।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাজার অস্থিতিশীলের চেষ্টা হলে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি

আপডেট সময় : ০৮:৪০:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

পণ্যের দাম ও বাজার অস্থিতিশীলের চেষ্টা হলে জরিমানাসহ কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর। শনিবার ঢাকার বিভিন্ন বাজারে অভিযান চলাকালে এসব কথা জানানো হয়। বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে স্বস্তি জানিয়ে ভোক্তারা বলেছেন, রমজানে এবার নতুন করে বাড়েনি ভোগ্যপণ্যের দাম।

প্রতিবছর রমজান মাস আসলেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। তবে, এবার এখনো স্থিতিশীল রয়েছে বাজার পরিস্থিতি।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ছোলা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, লেবুর হালি ৪০ টাকা। এছাড়া, বাজারে তেলের সরবরাহ সংকটও কমতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

একজন বিক্রেতা বলেন, ‘সবকিছু মিলিয়ে সব পণ্যের দাম স্বাভাবিক আছে। আয়ত্তের মধ্যে আছে। একটা তরমুজের পিছ কেনা পড়েছে ধরেন ৩৩০–৩৩৫। আমরা বিক্রি করছি ছোটগুলো ৩০০ টাকা আর বড়গুলো ৪০০ থেকে ৪৫০টাকা।’

তবে ক্রেতারা বলছেন, রমজান মাসকে পুঁজি করেই অনেক অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিমভাবে পণ্যের দাম বাড়িয়ে ফেলে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তাদের।

এদিকে, শনিবার সকাল থেকে ঢাকার বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এসময়, পণ্যের অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি করায় ৪টি দোকানকে মোট ১১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, ‘সকল পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক আছে। তেল নিয়ে যে সংকট ছিল, সেটিও এখন সমাধান হয়েছে। প্রত্যেক দোকানেই এখন বোতলজাত সয়াবিন পাওয়া যাচ্ছে। ভোক্তাদের কাছ থেকেও আমরা এখন কোনো অভিযোগ পাচ্ছি না। কিন্তু ব্যবসায়ীরা যদি অনৈতিকতা চর্চা করেন বা আইন ভায়োলেট করেন সেক্ষেত্রে তাকে জরিমানা করতে হয়।’

রমজান মাসকে সামনে রেখে প্রথম রোজা থেকে শুরু করে ২৮ রোজা পর্যন্ত বাজারে অভিযান চালাচ্ছে ভোক্তা অধিদপ্তর।