মেসির জন্য ভালোবাসা, মেসির কাছেই পেলেন ব্যথা

- আপডেট সময় : ০১:০১:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫
- / ৩৪৭ বার পড়া হয়েছে

আজকের আগে ইন্টার মায়ামির সর্বশেষ তিন ম্যাচে ছিলেন না লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন মহাতারকার চোট শঙ্কা নিয়ে গুঞ্জন ছড়ালেও ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ওয়ার্ক লোড ম্যানেজমেন্টের জন্য মাঠের বাইরে ছিলেন মেসি। অবশ্য গত সোমবার মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) শার্লটের বিপক্ষে ম্যাচে বেঞ্চে ফিরেছিলেন মেসি, কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাঠে নামা হয়নি।
অবশেষে আজ মাঠে প্রত্যাবর্তন হয়েছে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির। কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন মেসি। ১৫ দিন পর মাঠে ফিরেই গোলের দেখা পেয়েছেন ৩৭ বছর বয়সী ইন্টার মায়ামি তারকা। মেসির শেষ সময়ের গোল, আর প্রথমার্ধে লুইস সুয়ারেসের পেনাল্টি গোলের সুবাদে কাভালিয়েরকে ২-০ গোলে হারিয়েছে মায়ামি। তাতে দুই লেগে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে ফ্লোরিডার ক্লাবটি।
এর আগে গত সপ্তাহে কাভালিয়েরের বিপক্ষে প্রথম লেগের ম্যাচে খেলেননি মেসি। দলের সবচেয়ে বড় তারকা না থাকলেও জয় পেতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি সেদিন। তাদেও আলেনদে ও লুইস সুয়ারেসের গোলে ঘরের মাঠে সেদিন ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল মায়ামি।
ফিরতি লেগের ম্যাচটি ঘিরে কাভালিয়েরে ছিল উৎসবের আমেজ। বিশেষ করে প্রথমবারের মতো জ্যামাইকাতে খেলতে যাচ্ছেন মেসি- এ কারণে কাভালিয়েরের ৩ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার স্টেডিয়াম থেকে ম্যাচটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল ৩৫ হাজার ধারণক্ষমতা বিশিষ্ট ইন্ডিপেনডেন্টস পার্কে।
১৯৭১ সালের পর কাভালিয়েরের ইতিহাসে এটাই হতে যাচ্ছিল সবচেয়ে বড় ম্যাচ। ৫৪ বছর আগে একই ভেন্যুতে খেলে গেছেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলে ও সান্তোস।
মেসিকে এক নজর দেখার জন্য দর্শকদের আগ্রহ কতটা ছিল, সেটা টিকিট বিক্রি থেকেই সহজে অনুমান করা যায়। ইন্ডিপেনডেন্টস পার্কের কোনো আসনের টিকিট অবিক্রীত ছিল না। অবশ্য দর্শকদের হতাশ করেননি মেসি।
৩৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে করা সুয়ারেসের গোলে প্রথমার্ধ শেষ করেছিল মেসিবিহীন মায়ামি। দ্বিতীয়ার্ধের ৮ম মিনিটে দর্শকদের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে মাঠে নামেন মেসি। মাঠে নেমে প্রথম মিনিটেই গোলের খুব কাছে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু আর্জেন্টাইন মহাতারকার শট পোস্টের কিছুটা পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়।
তবে ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে গোলের দেখা পেয়েছেন মেসি। সান্তিয়াগো মোরালেসের থ্রু বাড়িয়েছিলেন কাভালিয়েরের ডি বক্সে। সেটা ধরতে কিছুটা এগিয়ে এসেছিলেন কাভালিয়ের গোলকিপার ভিনো বারসেলেতে। কিন্তু ভিনোর আগেই বলের নাগাল পান মেসি। প্রথম স্পর্শেই ভিনোকে কোনো সুযোগ না দিয়ে বল জালে জড়ান মেসি।
তাতে কাভালিয়ের সমর্থকেরা ভিন্ন অনুভূতির সাক্ষী হন। দলের হারে মন খারাপ করে মাঠ ছাড়বেন, নাকি নিজের চোখে দেখা মেসির গোলে মুগ্ধ হবেন- অম্লমধুর সমস্যাই বটে!