তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের গভীর উদ্বেগ

- আপডেট সময় : ০১:১৬:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
- / ৩৫৪ বার পড়া হয়েছে

মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্যে গভীর উদ্বেগ ও হতাশা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। সোমবার (১৭ মার্চ) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস উইং জানায়, তুলসী গ্যাবার্ড তার বক্তব্যে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ‘নির্যাতন ও হত্যা’ এবং ‘ইসলামী সন্ত্রাসীদের হুমকি’ ‘ইসলামী খিলাফত দিয়ে শাসন ও পরিচালনার আদর্শ ও উদ্দেশ্যের’ ওপর প্রতিষ্ঠিত বলে অভিযোগ করেছেন। সরকার বলছে, গ্যাবার্ডের এই মন্তব্য বিভ্রান্তিকর। এটি বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুণ্ণ করে। কারণ, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ইসলাম চর্চা বরাবরই অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ ছিল। বাংলাদেশ সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
গ্যাবার্ডের মন্তব্য কোনো প্রমাণ বা নির্দিষ্ট অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে করা হয়নি। তিনি একটি সম্পূর্ণ দেশকে অযৌক্তিক অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন। বাংলাদেশ, বিশ্বের অনেক দেশের মতো, উগ্রবাদের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে, তবে আইন প্রয়োগ, সামাজিক সংস্কার ও অন্যান্য সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ধারাবাহিকভাবে এই সমস্যাগুলোর সমাধানে কাজ করে যাচ্ছে।
‘ইসলামী খিলাফত’ ধারণার সঙ্গে ভিত্তিহীনভাবে বাংলাদেশকে যুক্ত করা শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতির জন্য নিবেদিত অসংখ্য বাংলাদেশি ও তাদের বন্ধু ও অংশীদারদের কঠোর পরিশ্রমকে দুর্বল করে। বাংলাদেশ যেকোনো ধরনের ইসলামী খিলাফতের সঙ্গে দেশকে যুক্ত করার প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানায়।
রাজনৈতিক নেতা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উচিত তাদের বক্তব্য, বিশেষ করে সবচেয়ে সংবেদনশীল বিষয়গুলো সম্পর্কে, প্রকৃত জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা ও ক্ষতিকর স্টেরিওটাইপগুলোকে শক্তিশালী করা, ভয় ছড়ানো ও সম্ভাব্যভাবে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা উস্কে দেওয়া থেকে বিরত থাকা।
সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদ মোকাবিলায় আমাদের যৌথ বৈশ্বিক প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সব দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তথ্যভিত্তিক গঠনমূলক সংলাপে জড়িত থাকতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।