ঢাকা ০৫:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সেনাবাহিনী কিংবা পুলিশকে বিতর্কিত করা যাবে না: নুর

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৪:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
  • / ৩৫৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সেনাবাহিনী কিংবা পুলিশ বাহিনীর মতো প্রতিষ্ঠানকে বির্তকিত করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। রোববার বিকেলে চাঁদপুর হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে চাঁদপুর জেলা গণঅধিকার পরিষদের উদ্যোগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া, আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নুরুল হক নুর বলেন, ‘যারা সেনাবাহিনীর মতো প্রতিষ্ঠানকে কলঙ্কিত করেছে, তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। তাদের বিচার নিশ্চিতের জন্য আমরা আওয়াজ তুলব। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্মান রক্ষা করাও আমাদের দায়িত্ব।’

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘আমরা যারাই সরকার গঠন করি। রাষ্ট্র চালাই, রাষ্ট্র চালাতে এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমাদের লাগবে। আমরা যদি ঐতিহাসিকভাবে লক্ষ্য করেন, ৭১ এর মুক্তিযোদ্ধ থেকে শুরু করে ৭৫ এর সিপাহী জনতা বিপ্লবের মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করা, ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে এরশাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো এবং ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে সেনাবাহিনী জনগণের কাঁতারে এসে দাঁড়িয়েছে। কাজেই সেনাবাহিনী কিংবা পুলিশ বাহিনীকে কোনো বাহিনীর প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত করা যাবে না। এগুলো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। এগুলো আমার-আপনার ভ্যাট-ট্যাক্সের পয়সায় চলে।’

নুর আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এই যে একটা জাতীয় ঐক্য তৈরি হয়েছিল। জাতীয় ঐক্যের মধ্য দিয়ে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতন হয়েছিল। ৫ আগস্ট জনতা রায় দিয়েছে, আওয়ামী লীগ এ দেশের রাজনীতি থেকে বাতিল। এই বাতিল মালকে আর কেউ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবেন না।’

চাঁদপুরের দীপু মনি আর সেলিম খানের মতো যেন আর কারো জন্ম না হয়—এমন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘এই চাঁদপুরে বালুখেকো সেলিম থেকে ভূমিদস্যু বিভিন্ন দখলবাজ, চাঁদাবাজ, জুলুমকারী তাদের অত্যাচারে আপনারা অতিষ্ঠ ছিলেন। কাজেই আজকে মানুষ যেন আবার আমাদের মধ্যে ওই আওয়ামী লীগের কোনো অপকর্ম খুঁজে না পায়। মানুষ যেন না বলতে পারে আগেই ভালো ছিলাম। এই কথাটি যেন মানুষ না বলতে পারে তা আমাদের মনে, মগজে রাখতে হবে। আমাদের কর্মকাণ্ড যেন মানুষ কষ্ট না পায়।’

জেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কাজী রাসেলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেছেন, ‘আমরা চাই রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যার বিচার এবং একই সাথে নির্বাচনী রোডম্যাপ। আমরা বলেছি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ইলেকশন দিতে হবে। ইলেকশন নিয়ে যদি টালবাহানা করা হয়, বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু মানবে না।’

তিনি সেনাবাহিনী প্রসঙ্গে বলেন, ‘আজকে সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চক্রান্ত করা হচ্ছে। সেনাবাহিনী গণঅভ্যুত্থানে ভূমিকা রেখেছে। সেনাবাহিনী যদি ওই আওয়ামী হায়নাদের দিকে বন্দুকের নল না তাক করত তাহলে এই গণঅভ্যুত্থান হতো না। সুতরাং কেউ সেনাবাহিনীকে নিয়ে মন্দ কথা বলার চেষ্টা করবেন না।’

রাশেদ খাঁন আরও বলেন, ‘সেনাবাহিনী ভূমিকা রেখেছিল, বাংলাদেশ জনগণ আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টা এই গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এই গণঅভ্যুত্থানের ধারা আমরা যদি আজকে সফল রাখতে চাই তাহলে আমাদের সবাইকে এক থাকতে হবে।’

সদস্য সচিব মো. মাহমুদুল হাসান ও যুগ্ম আহ্বায়ক সাংবাদিক মো. জাকির হোসেনের যৌথ সঞ্চালনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিলে জেলা বিএনপি, জামায়াত ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনসহ গণঅধিকার পরিষদের জেলার বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

সেনাবাহিনী কিংবা পুলিশকে বিতর্কিত করা যাবে না: নুর

আপডেট সময় : ০৯:৪৪:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

সেনাবাহিনী কিংবা পুলিশ বাহিনীর মতো প্রতিষ্ঠানকে বির্তকিত করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। রোববার বিকেলে চাঁদপুর হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে চাঁদপুর জেলা গণঅধিকার পরিষদের উদ্যোগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া, আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নুরুল হক নুর বলেন, ‘যারা সেনাবাহিনীর মতো প্রতিষ্ঠানকে কলঙ্কিত করেছে, তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। তাদের বিচার নিশ্চিতের জন্য আমরা আওয়াজ তুলব। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্মান রক্ষা করাও আমাদের দায়িত্ব।’

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘আমরা যারাই সরকার গঠন করি। রাষ্ট্র চালাই, রাষ্ট্র চালাতে এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমাদের লাগবে। আমরা যদি ঐতিহাসিকভাবে লক্ষ্য করেন, ৭১ এর মুক্তিযোদ্ধ থেকে শুরু করে ৭৫ এর সিপাহী জনতা বিপ্লবের মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করা, ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে এরশাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো এবং ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে সেনাবাহিনী জনগণের কাঁতারে এসে দাঁড়িয়েছে। কাজেই সেনাবাহিনী কিংবা পুলিশ বাহিনীকে কোনো বাহিনীর প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত করা যাবে না। এগুলো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। এগুলো আমার-আপনার ভ্যাট-ট্যাক্সের পয়সায় চলে।’

নুর আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এই যে একটা জাতীয় ঐক্য তৈরি হয়েছিল। জাতীয় ঐক্যের মধ্য দিয়ে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতন হয়েছিল। ৫ আগস্ট জনতা রায় দিয়েছে, আওয়ামী লীগ এ দেশের রাজনীতি থেকে বাতিল। এই বাতিল মালকে আর কেউ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবেন না।’

চাঁদপুরের দীপু মনি আর সেলিম খানের মতো যেন আর কারো জন্ম না হয়—এমন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘এই চাঁদপুরে বালুখেকো সেলিম থেকে ভূমিদস্যু বিভিন্ন দখলবাজ, চাঁদাবাজ, জুলুমকারী তাদের অত্যাচারে আপনারা অতিষ্ঠ ছিলেন। কাজেই আজকে মানুষ যেন আবার আমাদের মধ্যে ওই আওয়ামী লীগের কোনো অপকর্ম খুঁজে না পায়। মানুষ যেন না বলতে পারে আগেই ভালো ছিলাম। এই কথাটি যেন মানুষ না বলতে পারে তা আমাদের মনে, মগজে রাখতে হবে। আমাদের কর্মকাণ্ড যেন মানুষ কষ্ট না পায়।’

জেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কাজী রাসেলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেছেন, ‘আমরা চাই রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যার বিচার এবং একই সাথে নির্বাচনী রোডম্যাপ। আমরা বলেছি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ইলেকশন দিতে হবে। ইলেকশন নিয়ে যদি টালবাহানা করা হয়, বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু মানবে না।’

তিনি সেনাবাহিনী প্রসঙ্গে বলেন, ‘আজকে সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চক্রান্ত করা হচ্ছে। সেনাবাহিনী গণঅভ্যুত্থানে ভূমিকা রেখেছে। সেনাবাহিনী যদি ওই আওয়ামী হায়নাদের দিকে বন্দুকের নল না তাক করত তাহলে এই গণঅভ্যুত্থান হতো না। সুতরাং কেউ সেনাবাহিনীকে নিয়ে মন্দ কথা বলার চেষ্টা করবেন না।’

রাশেদ খাঁন আরও বলেন, ‘সেনাবাহিনী ভূমিকা রেখেছিল, বাংলাদেশ জনগণ আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টা এই গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এই গণঅভ্যুত্থানের ধারা আমরা যদি আজকে সফল রাখতে চাই তাহলে আমাদের সবাইকে এক থাকতে হবে।’

সদস্য সচিব মো. মাহমুদুল হাসান ও যুগ্ম আহ্বায়ক সাংবাদিক মো. জাকির হোসেনের যৌথ সঞ্চালনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিলে জেলা বিএনপি, জামায়াত ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনসহ গণঅধিকার পরিষদের জেলার বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।