স্বাধীনতার ৫ দশকেও মেলেনি অর্থনীতির সুফল-সুশাসন

- আপডেট সময় : ০১:৪৬:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫
- / ৩৫২ বার পড়া হয়েছে

স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের মাথাপিছু আয়, রপ্তানি ও প্রবাসী আয় সবকিছুই ছিল তলানিতে। স্বাধীনতার ৫৪ বছরে শক্তিশালী অর্থনৈতিক যাত্রার পথে অনেক দূর এগিয়ে গেলেও এর সুফল পায়নি সাধারণ মানুষ। একাত্তরে অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ হয়েছিল, এখনও সে বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই থামেনি। বিশ্লেষকেরা বলছেন, সামাজিক ন্যায় বিচার এবং সুশাসন নিশ্চিত হলেই মিলবে অর্থনৈতিক মুক্তি।
স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার করছে বাংলাদেশ। ভঙ্গুর অর্থনীতি থেকে মজবুত অর্থনৈতিক যাত্রার পথে ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।
ধ্বংসস্তুপ থেকে যাত্রা শুরু করা বাংলাদেশ আজ বিশ্বের ৩৫ তম অর্থনীতির দেশ। দীর্ঘ এ যাত্রায় বেড়েছে অর্থনীতির আকার, মানুষের আয়, জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও রপ্তানির বাজার। তবে স্বাধীনতার এত বছর পরেও আয় বৈষম্যের শিকার দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী। উন্নয়নের নামে বড় বড় প্রকল্পকে সামনে আনা হলেও অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে স্বস্তি মেলেনি সাধারণের।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছরের স্বৈরশাসনের অবসান হলে অভ্যুদয় ঘটে এক নতুন বাংলাদেশের। যেখানে সুশাসন নিশ্চিতে লড়ে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।
অর্থনীতির শ্বেতপত্র কমিটি বলছে, বিগত ১৫ বছরে উন্নয়ন বাজেটের ৪০ শতাংশ অর্থই লোপাট হয়েছে। পাচার হয়েছে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার। আয়বৈষম্য আর অসমতার কারণে প্রবৃদ্ধির সুফল যায়নি সাধারণ মানুষের ঘরে।
বিএএমএর সভাপতি কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমান বলছেন, অর্থনীতিকে টেকসই করতে অভ্যন্তরীণ সম্পদকে কাজে লাগিয়ে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়ানো গেলে কমবে আয় বৈষম্য।