ঢাকা ০৭:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ছেলে নাকি মেয়ে-পরীক্ষা করে আগেই জানাতে হবে

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৫:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫
  • / ৩৫২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিশ্ব অ্যাথলেটিকস এখন থেকে নারী অ্যাথলেটদের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় নামার আগে লিঙ্গ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে। রূপান্তরিত নারী ও অন্যান্য ইস্যুতে গত কয়েক বছর ধরে নারী বিভাগে নানা জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সংস্থাটি। তাদের দাবি, নারীদের খেলাকে রক্ষা করতে এবং লিঙ্গ-যোগ্যতা ইস্যু সামাল দেওয়ার জন্য এটি একটি ‘প্রয়োজনীয়’ পদক্ষেপ।

সংস্থাটি দুই বছর আগে নারীদের ইভেন্ট থেকে ট্রান্সজেন্ডারদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করেছে।

গতকাল বিশ্ব অ্যাথলেটিকসের এক কাউন্সিল মিটিং শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। সংস্থার সভাপতি সেবাস্তিয়ান কো জানিয়েছেন, মুখে সোয়াব টেস্ট বা শুষ্ক রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে লিঙ্গ পরীক্ষা করা হবে। এবং সে পরীক্ষা বারবার দিতে হবে না, একবার পরীক্ষা দিয়ে পাশ করলেই চলবে।

এ ব্যাপারে লর্ড কো বলেছেন, আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্যই এটা গুরুত্বপূর্ণ, ‘আমাদের মনে হচ্ছে আত্মবিশ্বাস জোগানোর জন্য এবং প্রতিযোগিতার বিশুদ্ধতার উপর সম্পূর্ণ নজর নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’

এই পরীক্ষাগুলো দিয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে, ছেলে হিসেবে বয়ঃসন্ধি পার করা কেউ পরে নারী হয়েছে কিনা, কিংবা তারা ভিন্ন লিঙ্গ গঠন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়াতে টেস্টোস্টেরনের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে কিনা। সাউথ আফ্রিকার ক্যাস্টার সেমেনিয়ার মতো অ্যাথলেটের ক্ষেত্রে এই টেস্টোস্টেরন বরাবরই বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। গত প্যারিস অলিম্পিকে সোনাজয়ী আলজেরিয়ান নারী বক্সার ইমানে খেলিফকে নিয়ে খোদ আন্তর্জাতিক বক্সিং অ্যাসোসিয়েশনই প্রশ্ন তুলেছিল।

লর্ড কো জানিয়েছেন, আগে থেকেই পরীক্ষা করায় ঈর পর আর কখনো এমন বিতর্কের জন্ম হবে না, কোনো নারী অ্যাথলেটকেও অহেতুক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে না, ‘নারী ক্যাটাগরিতে অংশ নিতে হলে অ্যাথলেটদের আগেই ক্লিয়ারেন্স টেস্টিংয়ের মধ্য দিতে যেতে হবে। প্রক্রিয়াটা একদম সরল, খুবই স্বচ্ছ এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং আমরা সময়সীমা নিয়ে কাজ করব।’

কদিন আগেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন লিঙ্গ শুধু দুই প্রকার এবং নারীদের ইভেন্টে কোনো ট্রান্সজেন্ডার অংশ নেওয়া নিষিদ্ধের আহবান জানিয়েছেন। আগামী ২০২৮ অলিম্পিক লস অ্যাঞ্জেলেসে হবে বলে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন হুঁশিয়ারিতে গুরুত্ব দিতে হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি অতীতে লিঙ্গ পরীক্ষাকে ‘বাজে চিন্তা’ বলে উড়িয়ে দিলেও পরবর্তী সভাপতি কার্স্টি কভেন্ট্রি ভিন্ন সুর শোনাচ্ছেন। গত সপ্তাহে নির্বাচিত হওয়ার পর কার্স্টি বলেছেন, ‘আমি যা চাচ্ছি তা হলো আন্তর্জাতিক ফেডারেশনগুলোকে এক করে বোঝাতে চাই সব খেলা একটা অন্যটার চেয়ে ভিন্ন। ইকুয়েস্ট্রিয়ানে লিঙ্গ কোনো ব্যাপার না, কিন্তু অন্য খেলায় এটা পার্থক্য গড়ে। আমি তাই সবার সঙ্গে বসে এগিয়ে যাওয়ার একটি পথ করতে চাই।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ছেলে নাকি মেয়ে-পরীক্ষা করে আগেই জানাতে হবে

আপডেট সময় : ০৮:৪৫:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

বিশ্ব অ্যাথলেটিকস এখন থেকে নারী অ্যাথলেটদের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় নামার আগে লিঙ্গ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে। রূপান্তরিত নারী ও অন্যান্য ইস্যুতে গত কয়েক বছর ধরে নারী বিভাগে নানা জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সংস্থাটি। তাদের দাবি, নারীদের খেলাকে রক্ষা করতে এবং লিঙ্গ-যোগ্যতা ইস্যু সামাল দেওয়ার জন্য এটি একটি ‘প্রয়োজনীয়’ পদক্ষেপ।

সংস্থাটি দুই বছর আগে নারীদের ইভেন্ট থেকে ট্রান্সজেন্ডারদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করেছে।

গতকাল বিশ্ব অ্যাথলেটিকসের এক কাউন্সিল মিটিং শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। সংস্থার সভাপতি সেবাস্তিয়ান কো জানিয়েছেন, মুখে সোয়াব টেস্ট বা শুষ্ক রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে লিঙ্গ পরীক্ষা করা হবে। এবং সে পরীক্ষা বারবার দিতে হবে না, একবার পরীক্ষা দিয়ে পাশ করলেই চলবে।

এ ব্যাপারে লর্ড কো বলেছেন, আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্যই এটা গুরুত্বপূর্ণ, ‘আমাদের মনে হচ্ছে আত্মবিশ্বাস জোগানোর জন্য এবং প্রতিযোগিতার বিশুদ্ধতার উপর সম্পূর্ণ নজর নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’

এই পরীক্ষাগুলো দিয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে, ছেলে হিসেবে বয়ঃসন্ধি পার করা কেউ পরে নারী হয়েছে কিনা, কিংবা তারা ভিন্ন লিঙ্গ গঠন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়াতে টেস্টোস্টেরনের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে কিনা। সাউথ আফ্রিকার ক্যাস্টার সেমেনিয়ার মতো অ্যাথলেটের ক্ষেত্রে এই টেস্টোস্টেরন বরাবরই বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। গত প্যারিস অলিম্পিকে সোনাজয়ী আলজেরিয়ান নারী বক্সার ইমানে খেলিফকে নিয়ে খোদ আন্তর্জাতিক বক্সিং অ্যাসোসিয়েশনই প্রশ্ন তুলেছিল।

লর্ড কো জানিয়েছেন, আগে থেকেই পরীক্ষা করায় ঈর পর আর কখনো এমন বিতর্কের জন্ম হবে না, কোনো নারী অ্যাথলেটকেও অহেতুক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে না, ‘নারী ক্যাটাগরিতে অংশ নিতে হলে অ্যাথলেটদের আগেই ক্লিয়ারেন্স টেস্টিংয়ের মধ্য দিতে যেতে হবে। প্রক্রিয়াটা একদম সরল, খুবই স্বচ্ছ এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং আমরা সময়সীমা নিয়ে কাজ করব।’

কদিন আগেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন লিঙ্গ শুধু দুই প্রকার এবং নারীদের ইভেন্টে কোনো ট্রান্সজেন্ডার অংশ নেওয়া নিষিদ্ধের আহবান জানিয়েছেন। আগামী ২০২৮ অলিম্পিক লস অ্যাঞ্জেলেসে হবে বলে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন হুঁশিয়ারিতে গুরুত্ব দিতে হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি অতীতে লিঙ্গ পরীক্ষাকে ‘বাজে চিন্তা’ বলে উড়িয়ে দিলেও পরবর্তী সভাপতি কার্স্টি কভেন্ট্রি ভিন্ন সুর শোনাচ্ছেন। গত সপ্তাহে নির্বাচিত হওয়ার পর কার্স্টি বলেছেন, ‘আমি যা চাচ্ছি তা হলো আন্তর্জাতিক ফেডারেশনগুলোকে এক করে বোঝাতে চাই সব খেলা একটা অন্যটার চেয়ে ভিন্ন। ইকুয়েস্ট্রিয়ানে লিঙ্গ কোনো ব্যাপার না, কিন্তু অন্য খেলায় এটা পার্থক্য গড়ে। আমি তাই সবার সঙ্গে বসে এগিয়ে যাওয়ার একটি পথ করতে চাই।’