উন্নতির পরিবর্তে পিছিয়ে পড়ছে সিলেট ক্রিকেট লিগ

- আপডেট সময় : ০৩:৫৭:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
- / ৩৫০ বার পড়া হয়েছে

দিনে দিনে যেখানে উন্নতি করার কথা সেখানে বরং পিছিয়ে সিলেট ক্রিকেট লিগ। ৩০ বছর আগের তুলনায় মোটা দাগে কমেছে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকও। এমনটাই জানালেন সিলেট বিভাগীয় ক্রিকেট দলের ম্যানেজার ওয়াসিকুজ্জামান অনি। মাঠ সংকট কাটাতে আর স্কুল ক্রিকেটে মনোযোগ বাড়াতে বিসিবির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এই ক্রিকেট সংগঠক।
কথা বলার সময় হতাশাই ঝরলো সিলেট বিভাগীয় ক্রিকেট দলের ম্যানেজার ওয়াসিকুজ্জামান অনির কণ্ঠে। এখনকার দায়সারা সিলেট ক্রিকেট লীগের সাথে করলেন ৮০-৯০ দশকের তুলনা।
আলী ওয়াসিকুজ্জামান অনি বলেন, ‘১৯৯৫ সালে আমি যে টাকা পেয়েছি, এই সময়ের ৮০% খেলোয়াড়ই এখন তা পায় না। যে সময় সিলেটের লোকাল ক্রিকেট আমরা খেলেছি, ৮০ এর দশকের শেষ থেকে ৯০ দশকের পুরোটা। সে সময় সিলেটের এই লীগ এমন ছিল যে, আমরা আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড়দের সাথে খেলতাম। দেশের বাইরে থেকে খেলোয়াড় আনা হত সিলেটের লোকাল লীগ খেলার জন্য। এখন আর সেইরকম হয় না।’
একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকে দেশের হয়ে মাঠ মাতিয়েছেন রাজিন সালেহ-তাপস বৈশ্যরা। মাঝে দীর্ঘ বিরতির পর টেস্ট দলে একই সাথে খেলছেন জাকের আলী, খালেদ আহমেদসহ চার ক্রিকেটার। আছেন নাসুম-এবাদতরাও। ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে স্কুল ক্রিকেটে জোর বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে এই সংগঠক।
অনি বলেন, ‘আমাদের খুব অপ্রতুল মাঠ, এটা একটা মেজর সমস্যা। অনুশীলন করতে হয় নিম্ন মানের মাঠে, যেখানে আসলে যথেষ্ট সুযোগ সুবিধা থাকে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘স্কুল ক্রিকেটটাকে দায় সারা ক্রিকেট থেকে একটু ওপরে নিতে হবে। সিলেটের মতো একটা বিভাগীয় শহরে মাত্র ১২টা স্কুল পার্টিসিপেট করে, যেখানে স্কুল আছে শ’খানেক।’
চায়ের রাজধানীতেও আছে খেলার মাঠের অপ্রতুলতা। সেখানে সমাধান থাকলেও প্রয়োজন সদিচ্ছার। এ দিকে এখনই নজর না দিলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার বলে মনে করেন ক্রিকেট সংগঠক।
অনি বলেন, ‘মেয়েদের ক্রিকেটটা আসলে মাঠের অভাবেই বন্ধ হয়ে গেছে। তাদের জন্য আমরা মাঠের ব্যবস্থা করতে পারিনাই যেখানে নিরাপদে তারা অনুশীলন করতে পারবে। প্রায় একই অবস্থা ছেলেদের ক্রিকেটেও।’
দেশে ক্রিকেট উত্থানের পর থেকেই সিলেট উপহার দিয়েছে বড় কিছু নাম। এই শহরের ক্রিকেটের যত্ন না নিলে তাই দেশের ক্রিকেটেরই ক্ষতি।