ঢাকা ১১:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল: দেশে আমদানি-রপ্তানিতে নতুন সম্ভাবনা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:২১:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৩৫১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের পর কার্গো পণ্য আমদানি রপ্তানিতে নতুন দিগন্তের দ্বার খুলছে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে। চট্টগ্রাম থেকে চীনের কুনমিং রাজ্যে ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ নিয়েছে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স। এতে চীনের বিশাল বাজারের পাশাপাশি ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে কম খরচে কার্গো পরিবহন করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। তবে গত তিন বছরে নানা জটিলতায় চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে কার্গো পরিবহন কমে গেছে ৭০ শতাংশ।

প্রায় ৮৫ বছর আগে ১৯৪০ সালে ব্রিটিশ আমলে যাত্রা শুরু চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের। ৯০ দশকের মাঝামাঝিতে মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশের বিমান আসা-যাওয়া শুরু হয় এ বন্দরে। ২০১৩ সালে বছরে ১৫ লাখ যাত্রী পরিবহনে সক্ষম এ বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক সংস্থা আইকাওর স্বীকৃতি পায়। তবে, যুগ পার করে যাত্রী পরিবহন, বাণিজ্য আর অর্থনীতির সাথে কতটা তাল মেলাতে পেরেছে এ বিমানবন্দর?

পরিসংখ্যান বলছে, গত তিন বছরে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে কার্গো পরিবহন কমেছে প্রায় ৭০ শতাংশ, সমপরিমাণ কমেছে রাজস্ব আয়। আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এয়ারলাইন্সের সংখ্যাও নেমেছে অর্ধেকে। আর ফ্লাইট অপারেশন বন্ধ করেছে ৪টি এয়ারলাইন্স।

শাহ আমানত বিমানবন্দরে ২০২২ সালে ১১ হাজার ৯৮১ টন কার্গো হ্যান্ডলিং থেকে আয় হয় ৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। ২০২৩ সালে মাত্র ৩ হাজার টন কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে আয় নেমে আসে ২ কোটি ১৯ লাখে। ২০২৪ সালে ৪ হাজার ৬৮০ টন কার্গো হ্যান্ডলিং থেকে আয় ২ কোটি ৮৮ লাখ। সিএন্ডএফ এজেন্টরা বলছেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, খরচ বৃদ্ধিসহ নানা কারণে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর।

২০২২ সালে আটটি কোম্পানির বিমান কার্গো পরিবহন করতো। তবে ২০২২ সালে এমিরেটস, ২০২৩ সালে কুয়েত, ২০২৪ সালে ওমান ও ফ্লাই দুবাই একে একে বন্ধে হয়ে যায়। এতে বিপাকে পড়েন এ অঞ্চলের রপ্তানিকারকরা। বিকল্প ঢাকা ও কলকাতা বিমানবন্দর হয়ে পণ্য রপ্তানিতে বেড়েছে খরচ ও সময়।

ব্যবসায়ীরা জানান, বাংলাদেশ থেকে বিমানযোগে ইউরোপ বা মধ্যপ্রাচ্যে পণ্য পাঠানোর খরচ কলকাতার তুলনায় দ্বিগুণ। এর অন্যতম কারণ এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশীদের অবস্থান দুর্বল হওয়া।চট্টগ্রাম থেকে চীন হয়ে পণ্য রপ্তানিতে চালু হচ্ছে নতুন ফ্লাইট।

তবে সম্প্রতি ভারত ট্রানজিট সুবিধা বাতিল করায় বিমানে কার্গো রপ্তানিতে নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। যা কাজে লাগাতে পরিসর বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম থেকে চীন হয়ে পণ্য রপ্তানিতে চালু হচ্ছে নতুন ফ্লাইট। যা চীনের বিশাল বাজারে প্রবেশ ও সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলেছে।

তবে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের বাজারে বিমান ভাড়া কমানো ও ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানো না গেলে এ উদ্যোগ কতটা সফল হবে, তা নিয়ে সংশয়ে ব্যবসায়ীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল: দেশে আমদানি-রপ্তানিতে নতুন সম্ভাবনা

আপডেট সময় : ১১:২১:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের পর কার্গো পণ্য আমদানি রপ্তানিতে নতুন দিগন্তের দ্বার খুলছে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে। চট্টগ্রাম থেকে চীনের কুনমিং রাজ্যে ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ নিয়েছে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স। এতে চীনের বিশাল বাজারের পাশাপাশি ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে কম খরচে কার্গো পরিবহন করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। তবে গত তিন বছরে নানা জটিলতায় চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে কার্গো পরিবহন কমে গেছে ৭০ শতাংশ।

প্রায় ৮৫ বছর আগে ১৯৪০ সালে ব্রিটিশ আমলে যাত্রা শুরু চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের। ৯০ দশকের মাঝামাঝিতে মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশের বিমান আসা-যাওয়া শুরু হয় এ বন্দরে। ২০১৩ সালে বছরে ১৫ লাখ যাত্রী পরিবহনে সক্ষম এ বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক সংস্থা আইকাওর স্বীকৃতি পায়। তবে, যুগ পার করে যাত্রী পরিবহন, বাণিজ্য আর অর্থনীতির সাথে কতটা তাল মেলাতে পেরেছে এ বিমানবন্দর?

পরিসংখ্যান বলছে, গত তিন বছরে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে কার্গো পরিবহন কমেছে প্রায় ৭০ শতাংশ, সমপরিমাণ কমেছে রাজস্ব আয়। আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এয়ারলাইন্সের সংখ্যাও নেমেছে অর্ধেকে। আর ফ্লাইট অপারেশন বন্ধ করেছে ৪টি এয়ারলাইন্স।

শাহ আমানত বিমানবন্দরে ২০২২ সালে ১১ হাজার ৯৮১ টন কার্গো হ্যান্ডলিং থেকে আয় হয় ৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। ২০২৩ সালে মাত্র ৩ হাজার টন কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে আয় নেমে আসে ২ কোটি ১৯ লাখে। ২০২৪ সালে ৪ হাজার ৬৮০ টন কার্গো হ্যান্ডলিং থেকে আয় ২ কোটি ৮৮ লাখ। সিএন্ডএফ এজেন্টরা বলছেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, খরচ বৃদ্ধিসহ নানা কারণে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর।

২০২২ সালে আটটি কোম্পানির বিমান কার্গো পরিবহন করতো। তবে ২০২২ সালে এমিরেটস, ২০২৩ সালে কুয়েত, ২০২৪ সালে ওমান ও ফ্লাই দুবাই একে একে বন্ধে হয়ে যায়। এতে বিপাকে পড়েন এ অঞ্চলের রপ্তানিকারকরা। বিকল্প ঢাকা ও কলকাতা বিমানবন্দর হয়ে পণ্য রপ্তানিতে বেড়েছে খরচ ও সময়।

ব্যবসায়ীরা জানান, বাংলাদেশ থেকে বিমানযোগে ইউরোপ বা মধ্যপ্রাচ্যে পণ্য পাঠানোর খরচ কলকাতার তুলনায় দ্বিগুণ। এর অন্যতম কারণ এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশীদের অবস্থান দুর্বল হওয়া।চট্টগ্রাম থেকে চীন হয়ে পণ্য রপ্তানিতে চালু হচ্ছে নতুন ফ্লাইট।

তবে সম্প্রতি ভারত ট্রানজিট সুবিধা বাতিল করায় বিমানে কার্গো রপ্তানিতে নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। যা কাজে লাগাতে পরিসর বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম থেকে চীন হয়ে পণ্য রপ্তানিতে চালু হচ্ছে নতুন ফ্লাইট। যা চীনের বিশাল বাজারে প্রবেশ ও সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলেছে।

তবে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের বাজারে বিমান ভাড়া কমানো ও ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানো না গেলে এ উদ্যোগ কতটা সফল হবে, তা নিয়ে সংশয়ে ব্যবসায়ীরা।