ঢাকা ০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কোথায় গণতন্ত্র এনেছ আমেরিকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৩:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৫৪৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বিশ্বের কোন দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে আমেরিকার কাছে তা জানতে চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমকে এ কথা জানান। প্রধানমন্ত্রীর ব্রাসেলস সফরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে জাতীয় নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানানো হবে না বলেও জানান মোমেন।

ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সরকারের নেয়া পদক্ষেপে সন্তুষ্ট সফরত মার্কিন প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল।

মোমেন বলেন, ‘আমরা বলেছি, তোমরা (আমেরিকা) স্যাংশন দিয়ে কোন দেশে ডেমোক্রেসি এনেছ। তোমরা কোথায় দিয়েছিলা, নাইজেরিয়ায় দিয়েছিলে, কম্বোডিয়ায়, হাঙ্গেরি.. কোথাও কি তোমরা সাকসেসফুল হয়েছ? বলে যে দেয়ার ইজ নো এভিডেন্স। সুতরাং এগুলো অকাম, একেবারে। এটা হচ্ছে একটু উত্তেজনা সৃষ্টি করার চেষ্টা।’

মন্ত্রী জানান, ইউরোপীয় কমিশনের আমন্ত্রণে গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামের বৈঠকে যোগ দিতে আগামী ২৪ অক্টোবর বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিন দিনের সংক্ষিপ্ত সফরে, ফোরামে অংশ নেয়া ফাঁকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কয়েকজন নেতার সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কথা। তবে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি এখন চুড়ান্ত হয়নি বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটা ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন করব। আমরা সেটা অঙ্গিকারবদ্ধ। কেউ যদি এসে দেখতে চায় ওয়েলকাম। যদি না দেখেন তার ব্যাপার। আর তারা বলেছেন তারা আসতে পারবেন না তাদের টাকা পয়সার অভাব। তো টাকা পয়সার ব্যাপার হলে দ্যাট ইজ দেয়ার ইস্যু নট আওয়ার্স। সুতরাং ওনারা আসবেন কি আসবেন না এটা তাদের বিষয়। তাদের রিকোয়েস্ট করার কোনো ইচ্ছা আমাদের নাই।’

বাংলাদেশের উন্নয়নকে ক্ষতিগ্রস্ত করা এবং এ অঞ্চলের বাণিজ্যে প্রভাব বিস্তারে কোনো কোনো দেশ মরিয়া বলেও অভিযোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো দলে নাই। আমরা কারও লেজুর হতে চাই না। আমরা একটা ইনডিপেনডেন্ট, সার্বভৌম, ভেরি ব্যালেন্সড ফরেইন পলিসি মেইনটেইন করি। এটা অনেকের চক্ষুশুল যে, এদের এত সাহস। সে আমাদের কথা শোনে না, যে তার দেশ থেকে জিনিস কেনে। আর এই জিনিস কেনা নিয়েও তাদের মধ্যে ঝগড়া।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, চীনের বাণিজ্যিক জোট আরসেপসহ অন্যান আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মে জাতীয় নির্বাচনের আগে যুক্ত না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

নিউজটি শেয়ার করুন

নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কোথায় গণতন্ত্র এনেছ আমেরিকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৪:৪৩:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩

নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বিশ্বের কোন দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে আমেরিকার কাছে তা জানতে চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমকে এ কথা জানান। প্রধানমন্ত্রীর ব্রাসেলস সফরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে জাতীয় নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানানো হবে না বলেও জানান মোমেন।

ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সরকারের নেয়া পদক্ষেপে সন্তুষ্ট সফরত মার্কিন প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল।

মোমেন বলেন, ‘আমরা বলেছি, তোমরা (আমেরিকা) স্যাংশন দিয়ে কোন দেশে ডেমোক্রেসি এনেছ। তোমরা কোথায় দিয়েছিলা, নাইজেরিয়ায় দিয়েছিলে, কম্বোডিয়ায়, হাঙ্গেরি.. কোথাও কি তোমরা সাকসেসফুল হয়েছ? বলে যে দেয়ার ইজ নো এভিডেন্স। সুতরাং এগুলো অকাম, একেবারে। এটা হচ্ছে একটু উত্তেজনা সৃষ্টি করার চেষ্টা।’

মন্ত্রী জানান, ইউরোপীয় কমিশনের আমন্ত্রণে গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামের বৈঠকে যোগ দিতে আগামী ২৪ অক্টোবর বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিন দিনের সংক্ষিপ্ত সফরে, ফোরামে অংশ নেয়া ফাঁকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কয়েকজন নেতার সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কথা। তবে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি এখন চুড়ান্ত হয়নি বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটা ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন করব। আমরা সেটা অঙ্গিকারবদ্ধ। কেউ যদি এসে দেখতে চায় ওয়েলকাম। যদি না দেখেন তার ব্যাপার। আর তারা বলেছেন তারা আসতে পারবেন না তাদের টাকা পয়সার অভাব। তো টাকা পয়সার ব্যাপার হলে দ্যাট ইজ দেয়ার ইস্যু নট আওয়ার্স। সুতরাং ওনারা আসবেন কি আসবেন না এটা তাদের বিষয়। তাদের রিকোয়েস্ট করার কোনো ইচ্ছা আমাদের নাই।’

বাংলাদেশের উন্নয়নকে ক্ষতিগ্রস্ত করা এবং এ অঞ্চলের বাণিজ্যে প্রভাব বিস্তারে কোনো কোনো দেশ মরিয়া বলেও অভিযোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো দলে নাই। আমরা কারও লেজুর হতে চাই না। আমরা একটা ইনডিপেনডেন্ট, সার্বভৌম, ভেরি ব্যালেন্সড ফরেইন পলিসি মেইনটেইন করি। এটা অনেকের চক্ষুশুল যে, এদের এত সাহস। সে আমাদের কথা শোনে না, যে তার দেশ থেকে জিনিস কেনে। আর এই জিনিস কেনা নিয়েও তাদের মধ্যে ঝগড়া।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, চীনের বাণিজ্যিক জোট আরসেপসহ অন্যান আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মে জাতীয় নির্বাচনের আগে যুক্ত না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।