ঢাকা ০৭:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পছন্দের গন্তব্যে যেতে অনাগ্রহী ৯২% চালক

সিএনজির ৭৫ শতাংশই চলে না মিটারে

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৫২:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৩৩৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজধানীতে নিবন্ধিত সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংখ্যা ২১ হাজার। এর মধ্যে ৭৫ শতাংশই মিটারে চলছে না, আর ৯২ শতাংশ চালক যাত্রীদের পছন্দের গন্তব্যে যেতে রাজি হন না। চালকদের রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন অজুহাত। এ ব্যাপারে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

যাত্রীদের এতো এতো অভিযোগ সিএনজি চালিত অটোরিকশাকে ঘিরে। নগরজুড়ে এ বাহন নিয়ে সাধারণের অভিযোগের পাল্লা বেশ ভারি, ভোগান্তি, স্বেচ্ছাচারিতা, হয়রানির এ বয়ান মোটেও নতুন কিছু না।

এই শহরে সকল নিয়মকানুনকে উপেক্ষা করে, একরকম বৃদ্ধা আঙুল দেখিয়ে দিনের পর দিন বাঁধা হীন ভাবে চলছে সিএনজি অটোরিকশা।

রোগীর স্বজন সেজে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে যেতে চাইলাম মিরপুর। এ গন্তব্য থেকে মিরপুরের দূরত্ব মাত্র ১২.৬ কিলোমিটার পথ, যানজট বিবেচনা, অপেক্ষমাণ মুহূর্ত সহ সব মিলিয়ে ভাড়া হবার কথা ২৪০-২৪৭ টাকা। কিন্তু এই টাকায় আমরা অনেক চেষ্টার পরেও কোন চালককে গন্তব্যে নিয়ে যেতে রাজি করাতে পারলাম না।

সব শুনে মনে হতে পারে এ যেন মগের মুল্লুক। নিয়মের বালাই নেই এই খাতে। তারপরও নানা ফন্দিফিকিরে আটকে থাকে যাত্রী সেবা।

এ বিষয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব জানান, সিএনজি অটোরিকশার বিশৃঙ্খলা রুখতে অভিযান চলমান রাখা উচিত।

এ ব্যাপারে পদক্ষেপ কি তা জানতে বিআরটিএ, এর চেয়ারম্যানের দপ্তরে ২ কার্য দিবস যোগাযোগ করে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

বিআরটিএর ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখা যায় ২০২৫ এর মার্চ মাস পর্যন্ত বৈধ নিবন্ধিত এ যানের সংখ্যা বিশ হাজার নয়শো একুশ টি। অনেকের ধারনা চালকরা ইচ্ছে করে মিটার বন্ধ করে রাখেন। দেশে ২০০২ সালে পরিবেশ দূষণের কথা বলে টু-স্ট্রোক বেবিট্যাক্সিকে তুলে দিয়ে সিএনজি চালু করে তৎকালীন সরকার। সেসময় রাজধানীতে ১৩ হাজার সিএনজি অটোরিকশার অনুমোদন দেয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

পছন্দের গন্তব্যে যেতে অনাগ্রহী ৯২% চালক

সিএনজির ৭৫ শতাংশই চলে না মিটারে

আপডেট সময় : ১১:৫২:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

রাজধানীতে নিবন্ধিত সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংখ্যা ২১ হাজার। এর মধ্যে ৭৫ শতাংশই মিটারে চলছে না, আর ৯২ শতাংশ চালক যাত্রীদের পছন্দের গন্তব্যে যেতে রাজি হন না। চালকদের রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন অজুহাত। এ ব্যাপারে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

যাত্রীদের এতো এতো অভিযোগ সিএনজি চালিত অটোরিকশাকে ঘিরে। নগরজুড়ে এ বাহন নিয়ে সাধারণের অভিযোগের পাল্লা বেশ ভারি, ভোগান্তি, স্বেচ্ছাচারিতা, হয়রানির এ বয়ান মোটেও নতুন কিছু না।

এই শহরে সকল নিয়মকানুনকে উপেক্ষা করে, একরকম বৃদ্ধা আঙুল দেখিয়ে দিনের পর দিন বাঁধা হীন ভাবে চলছে সিএনজি অটোরিকশা।

রোগীর স্বজন সেজে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে যেতে চাইলাম মিরপুর। এ গন্তব্য থেকে মিরপুরের দূরত্ব মাত্র ১২.৬ কিলোমিটার পথ, যানজট বিবেচনা, অপেক্ষমাণ মুহূর্ত সহ সব মিলিয়ে ভাড়া হবার কথা ২৪০-২৪৭ টাকা। কিন্তু এই টাকায় আমরা অনেক চেষ্টার পরেও কোন চালককে গন্তব্যে নিয়ে যেতে রাজি করাতে পারলাম না।

সব শুনে মনে হতে পারে এ যেন মগের মুল্লুক। নিয়মের বালাই নেই এই খাতে। তারপরও নানা ফন্দিফিকিরে আটকে থাকে যাত্রী সেবা।

এ বিষয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব জানান, সিএনজি অটোরিকশার বিশৃঙ্খলা রুখতে অভিযান চলমান রাখা উচিত।

এ ব্যাপারে পদক্ষেপ কি তা জানতে বিআরটিএ, এর চেয়ারম্যানের দপ্তরে ২ কার্য দিবস যোগাযোগ করে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

বিআরটিএর ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখা যায় ২০২৫ এর মার্চ মাস পর্যন্ত বৈধ নিবন্ধিত এ যানের সংখ্যা বিশ হাজার নয়শো একুশ টি। অনেকের ধারনা চালকরা ইচ্ছে করে মিটার বন্ধ করে রাখেন। দেশে ২০০২ সালে পরিবেশ দূষণের কথা বলে টু-স্ট্রোক বেবিট্যাক্সিকে তুলে দিয়ে সিএনজি চালু করে তৎকালীন সরকার। সেসময় রাজধানীতে ১৩ হাজার সিএনজি অটোরিকশার অনুমোদন দেয়া হয়।