ঢাকা ০৯:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও পাবেন উচ্চতর গ্রেড

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:১৭:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৩৪৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড থাকলেও তারা উচ্চতর গ্রেড থেকে বঞ্চিত হবেন না—এমন রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে এ রায় দেওয়া হয়।

রায় অনুযায়ী, প্রায় ১৫ লাখ সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী এই সুবিধার আওতায় আসবেন বলে জানিয়েছেন রিটকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইব্রাহিম খলিল।

এর আগে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি আদেশকে অবৈধ ঘোষণা করেছিলেন হাইকোর্ট। ওই আদেশে বলা হয়েছিল, একজন কর্মচারী যদি দুটি বা তার বেশি টাইম স্কেল বা সিলেকশন গ্রেড পান, তবে তিনি নতুন পে-স্কেলে উচ্চতর গ্রেড পাবেন না। শুধু একটি টাইম স্কেল বা সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্ত ব্যক্তির জন্য একটি উচ্চতর গ্রেড প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয়।

আদেশে আরও বলা হয়েছিল, এসব সুবিধা ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বরের আগে কার্যকর হবে না। এ নির্দেশনার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছিলেন কিছু সরকারি চাকরিজীবী।

নতুন পে-স্কেলে বলা আছে, কোনো কর্মচারী একই পদে ১০ বছর কর্মরত থাকলে তিনি ১১তম বছরে একটি এবং ১৭তম বছরে আরেকটি উচ্চতর গ্রেড পাবেন। যদিও মূল স্কেলে এ বিধান রাখা হয়েছিল, তবুও তা কার্যকর করতে নির্দেশনার অভাব ছিল। পরে অর্থ মন্ত্রণালয় ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর একটি পরিপত্র জারি করে, যা হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। আপিল বিভাগের রায়ে এই পরিপত্রের সীমাবদ্ধতা খারিজ হয়ে যাওয়ায় টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও এখন উচ্চতর গ্রেড সুবিধা পাবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও পাবেন উচ্চতর গ্রেড

আপডেট সময় : ০১:১৭:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড থাকলেও তারা উচ্চতর গ্রেড থেকে বঞ্চিত হবেন না—এমন রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে এ রায় দেওয়া হয়।

রায় অনুযায়ী, প্রায় ১৫ লাখ সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী এই সুবিধার আওতায় আসবেন বলে জানিয়েছেন রিটকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইব্রাহিম খলিল।

এর আগে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি আদেশকে অবৈধ ঘোষণা করেছিলেন হাইকোর্ট। ওই আদেশে বলা হয়েছিল, একজন কর্মচারী যদি দুটি বা তার বেশি টাইম স্কেল বা সিলেকশন গ্রেড পান, তবে তিনি নতুন পে-স্কেলে উচ্চতর গ্রেড পাবেন না। শুধু একটি টাইম স্কেল বা সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্ত ব্যক্তির জন্য একটি উচ্চতর গ্রেড প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয়।

আদেশে আরও বলা হয়েছিল, এসব সুবিধা ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বরের আগে কার্যকর হবে না। এ নির্দেশনার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছিলেন কিছু সরকারি চাকরিজীবী।

নতুন পে-স্কেলে বলা আছে, কোনো কর্মচারী একই পদে ১০ বছর কর্মরত থাকলে তিনি ১১তম বছরে একটি এবং ১৭তম বছরে আরেকটি উচ্চতর গ্রেড পাবেন। যদিও মূল স্কেলে এ বিধান রাখা হয়েছিল, তবুও তা কার্যকর করতে নির্দেশনার অভাব ছিল। পরে অর্থ মন্ত্রণালয় ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর একটি পরিপত্র জারি করে, যা হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। আপিল বিভাগের রায়ে এই পরিপত্রের সীমাবদ্ধতা খারিজ হয়ে যাওয়ায় টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও এখন উচ্চতর গ্রেড সুবিধা পাবেন।