‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই করিডোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত’

- আপডেট সময় : ১১:২৪:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫
- / ৩৪৭ বার পড়া হয়েছে

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই মিয়ানমারে মানবিক করিডোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, হুট করে এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে সেটি দেশের জন্য ক্ষতিকর হবে। সংশ্লিষ্ট সব মহলের সাথে আলোচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তারা।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মির সাথে জান্তা সরকারের যুদ্ধ চলছে। এ অবস্থায় তীব্র খাদ্য সংকটে ভুগছে সেখানকার নাগরিকরা। এ অবস্থায় রাখাইন রাজ্যে ত্রাণ পৌঁছাতে একটি মানবিক করিডোর দিতে বাংলাদেশের প্রতি অনুরোধ জানায় জাতিসংঘ।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এ বিষয়ে শর্তসাপেক্ষে নীতিগত সম্মতির কথা জানান। এরপরই শুরু হয় নানা সমালোচনা। বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে জানানো হয় এটি দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকির কারণ হতে পারে।
আন্তজার্তিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই করিডোর হলে সেখানে নিরাপত্তা ঝুঁকির আশঙ্কা রয়ে যাবে। যে সিদ্ধান্তই হোক তা নিতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমতের ভিত্তিতে।
সাবেক রাষ্ট্রদূত এস এম রাশেদ আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের সার্বভৌমত্বের জন্য সবদিক থেকে এটা অনেক বড় সিদ্ধান্ত। সুতরাং আমি মনে করে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় বলছে, যদি রাখাইন রাজ্যে জাতিসংঘের নেতৃত্বে কোনো মানবিক সহায়তা দেওয়া হয়, তবে বাংলাদেশ তার লজিস্টিক সহায়তা দিতে আগ্রহী থাকবে। রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘যদি জাতিসংঘ এই উদ্যোগ নেয় যে, ওইখানে তারা মানবিক কাজের জন্য উদ্যোগ নেয়, সেক্ষেত্রে আমরা আমাদের আগ্রহের কথা জানিয়েছি। এর বাইরে আর কিছুই না। এটা অবশ্যই আমরা আমাদের দেশের অভ্যন্তরের স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলবো।’
এ অবস্থায় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াটা কিভাবে সহজ করা যায় সেটি নিয়েও আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।