ঢাকা ০৩:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

‘ফ্যাসিস্ট রেজিমের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই’

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৩৫:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
  • / ৩৪২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ও ব্যবসায়িক সম্পর্কের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ। জানিয়েছেন, দূরতম সম্পর্ক থাকলেও বোর্ড সভাপতি পদে আসীন হতেন না তিনি। এসময় কথা বলেছেন বাংলাদেশ-ভারত সিরিজের ভবিষ্যৎ নিয়েও।

বিসিবি সভাপতির একক সিদ্ধান্ত নাকি বোর্ডের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত? ব্যাংক থেকে ২৪০ বা ২৫০ কোটি টাকা স্থানান্তর নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। ফারুক আহমেদও এড়িয়ে চলেছেন গণমাধ্যম। আর টাকা হস্তান্তরের বিষয়টি সময়পোযোগী কি না, সেই ব্যাখ্যায় না গিয়ে কয়েকদিন আগেই বিসিবি পরিচালক মাহবুব আনাম সিদ্ধান্তের দায়ভারটা দিয়েছিলেন বোর্ড সভাপতির দিকেই। এদিকে অপেক্ষা ঘুচিয়ে সংবাদমাধ্যমে আসলেও ফারুক আহমেদ গেলেন না নতুন কোনো ব্যাখ্যায়।

টাকা হস্তান্তর ছাড়াও জমি কেনা বা ফ্যাসিস্ট সরকারের সাথে আঁতাত বা সম্পৃক্ততা নিয়েও অভিযোগের তীর বিসিবি সভাপতির দিকে। তবে ফারুক আহমেদ সেই অভিযোগ একবাক্যে নাকচ করে দিয়েছেন।

ফারুক আহমেদ বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট রেজিমের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। তাদের সাথে যদি সম্পর্ক থাকতো আমি কিন্তু আজকে আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলতাম না। আমি কিন্তু এই নতুন সরকারের সভাপতি। সেজন্য এটা কিন্তু তারা আমাকে দেখে। আমার যদি বিন্দুমাত্র সংশ্লিষ্টতা থাকতো তাহলে কিন্তু আমি এখানে আসতাম না।’

সাম্প্রতিক সময় জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলমান। স্বাভাবিকভাবেই দ্বন্দ্বের ফলে সৃষ্ট অস্থিরতার প্রভাব বিদ্যমান ক্রিকেটাঙ্গনেও। অনেক গুঞ্জনের সবশেষ সংযোজন বাতিল হতে পারে ভারত-বাংলাদেশ সিরিজ। তবে বিসিবি সভাপতির উত্তর ভিন্ন রকম।

ফারুক আহমেদ বলেন, ‘ওরা কিন্তু পুরো ট্যুর কনফার্ম করেছে। আসলে সিচুয়েশনটা তো আমি এই মুহূর্তে বলতে পারবো না। কিন্তু এই মুহূর্তে পুরো ট্যুর আছে। এবং এটা নিয়ে কোনো কথা আমি শুনিনি যে এটা হবে না।’

ফ্যাসিস্ট রেজিমের সাথে সম্পৃক্ততা নেই বলে সহাস্যেই উত্তর দিয়েছেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট, তবে টাকা হস্তান্তরের বিষয়টা এড়িয়ে যাওয়ায় কিছুটা ধোঁয়াশা যেন থেকেই গেলো। আর সাথে বাড়তি চিন্তার কারণ হতে পারে ভারত-বাংলাদেশ সিরিজের ভবিষ্যৎ।

নিউজটি শেয়ার করুন

‘ফ্যাসিস্ট রেজিমের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই’

আপডেট সময় : ১০:৩৫:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ও ব্যবসায়িক সম্পর্কের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ। জানিয়েছেন, দূরতম সম্পর্ক থাকলেও বোর্ড সভাপতি পদে আসীন হতেন না তিনি। এসময় কথা বলেছেন বাংলাদেশ-ভারত সিরিজের ভবিষ্যৎ নিয়েও।

বিসিবি সভাপতির একক সিদ্ধান্ত নাকি বোর্ডের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত? ব্যাংক থেকে ২৪০ বা ২৫০ কোটি টাকা স্থানান্তর নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। ফারুক আহমেদও এড়িয়ে চলেছেন গণমাধ্যম। আর টাকা হস্তান্তরের বিষয়টি সময়পোযোগী কি না, সেই ব্যাখ্যায় না গিয়ে কয়েকদিন আগেই বিসিবি পরিচালক মাহবুব আনাম সিদ্ধান্তের দায়ভারটা দিয়েছিলেন বোর্ড সভাপতির দিকেই। এদিকে অপেক্ষা ঘুচিয়ে সংবাদমাধ্যমে আসলেও ফারুক আহমেদ গেলেন না নতুন কোনো ব্যাখ্যায়।

টাকা হস্তান্তর ছাড়াও জমি কেনা বা ফ্যাসিস্ট সরকারের সাথে আঁতাত বা সম্পৃক্ততা নিয়েও অভিযোগের তীর বিসিবি সভাপতির দিকে। তবে ফারুক আহমেদ সেই অভিযোগ একবাক্যে নাকচ করে দিয়েছেন।

ফারুক আহমেদ বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট রেজিমের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। তাদের সাথে যদি সম্পর্ক থাকতো আমি কিন্তু আজকে আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলতাম না। আমি কিন্তু এই নতুন সরকারের সভাপতি। সেজন্য এটা কিন্তু তারা আমাকে দেখে। আমার যদি বিন্দুমাত্র সংশ্লিষ্টতা থাকতো তাহলে কিন্তু আমি এখানে আসতাম না।’

সাম্প্রতিক সময় জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলমান। স্বাভাবিকভাবেই দ্বন্দ্বের ফলে সৃষ্ট অস্থিরতার প্রভাব বিদ্যমান ক্রিকেটাঙ্গনেও। অনেক গুঞ্জনের সবশেষ সংযোজন বাতিল হতে পারে ভারত-বাংলাদেশ সিরিজ। তবে বিসিবি সভাপতির উত্তর ভিন্ন রকম।

ফারুক আহমেদ বলেন, ‘ওরা কিন্তু পুরো ট্যুর কনফার্ম করেছে। আসলে সিচুয়েশনটা তো আমি এই মুহূর্তে বলতে পারবো না। কিন্তু এই মুহূর্তে পুরো ট্যুর আছে। এবং এটা নিয়ে কোনো কথা আমি শুনিনি যে এটা হবে না।’

ফ্যাসিস্ট রেজিমের সাথে সম্পৃক্ততা নেই বলে সহাস্যেই উত্তর দিয়েছেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট, তবে টাকা হস্তান্তরের বিষয়টা এড়িয়ে যাওয়ায় কিছুটা ধোঁয়াশা যেন থেকেই গেলো। আর সাথে বাড়তি চিন্তার কারণ হতে পারে ভারত-বাংলাদেশ সিরিজের ভবিষ্যৎ।