সংসদের আগে স্থানীয় নির্বাচন না দিতে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের প্রস্তাব

- আপডেট সময় : ১০:৪১:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
- / ৩৫১ বার পড়া হয়েছে

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন না দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট। গণভোটের মাধ্যমে সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের নেতারা। আজ (শনিবার, ৩ মে) সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে এসব কথা বলেন তারা। তবে ঐকমত্য কমিশনের জানায়, দেশের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের প্রস্তাবে ছাড় দেবে।
গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে শোষণ ও বৈষম্যহীন এক বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে জনমনে। যা বাস্তবায়ন এখন অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
সংস্কার প্রস্তাবে শনিবার সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে কমিশনের সঙ্গে বৈঠক বসে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের নেতারা।
বৈঠক শেষে জোটের নেতারা জানায়, কমিশনের ১৬৬ প্রস্তাবের মধ্যে ১১২টিতে একমত। ২৮টিতে আংশিক একমত ও ২৬টি প্রস্তাবে একমত নয় তারা। জাতীয় নির্বাচন দেয়ার আগে কোনোভাবেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন না দেয়ার প্রস্তাব তুলে ধরেন বৈঠকে।
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, ‘আমরা উনাদের সুস্পষ্টভাবে বলেছি, আগে জাতীয় নির্বাচন হতে হবে, স্থানীয় নির্বাচন হবে না। জাতীয় নির্বাচন হওয়ার পর সেই সংসদ স্থানীয় নির্বাচন করবে। উনারা আরও একটা প্রস্তাব করেছিল, একসাথে জাতীয় নির্বাচন এবং স্থানীয় নির্বাচন করা যায় কি না? আমরা এটাতেও বলেছি যে, নির্বাচন কমিশনই বলেছে বাংলাদেশে একসাথে জাতীয় নির্বাচন এবং স্থানীয় নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়।’
এ ছাড়া, এদিন বিকেলে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক বসেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। বৈঠক শেষে তারা জানান, নারী সংস্কার কমিশন বাতিল চাওয়া গণঅভ্যুত্থান পরিপন্থি।
বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের প্রধান সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন, ‘নারী সংস্কার কমিশন হয়েছে এবং তারা তাদের প্রস্তাবনা দিয়েছে। এই সংস্কার কমিশনের ব্যাপারে কারও মত, দ্বিমত থাকতে পারে, ভিন্নমত থাকতে পারে, অন্য ব্যাখ্যাও থাকতে পারে। কিন্তু সে বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনা হতে পারে। নারী কমিশনকে বাতিল করে দিতে হবে, কমিশনের যে প্রস্তাবনা সেগুলো নিয়ে কোনো আলোচনাই করা যাবে না; এই ধরনের কথা যারা বলে, আমরা মনে করি যে এই গণঅভ্যুত্থান যে আকাঙ্ক্ষা থেকে হয়েছে এবং যে কারণে জীবন দিয়েছে, সেই আকাঙ্ক্ষা ও সেই চেতনারই পরিপন্থি।’
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকলেও বৃহৎ স্বার্থে তারা ছাড় দেবে বলে আশা ব্যক্ত করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ডা. আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় স্বার্থে রাষ্ট্র পুনর্গঠন প্রশ্নে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রত্যেকে যার যার অবস্থান থেকে যেমন কথা বলবেন। প্রতিটি দল, জোট তাদের অবস্থানের কিছুটা ছাড় দিতেও প্রস্তুত থাকবেন।’
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষ করে জাতীয় সনদ তৈরি করতে ১৫ জুলাই পর্যন্ত সময় নির্ধারিত করে দেয়া হয়েছে বলে জানান জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।