ঢাকা ০২:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

১১ লাখ ফিলিস্তিনিকে গাজা ছাড়ার নির্দেশ ইসরায়েলের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:০৭:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪২১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চল থেকে ১১ লাখের বেশি ফিলিস্তিনিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরে যেতে বলেছে দখলদার ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) দেশটির সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে জাতিসংঘকে এ কথা জানানো হয়েছে।

জাতিসংঘের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, গাজার জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক মানুষ উত্তরাঞ্চলে বাস করেন। তবে জাতিসংঘ ইসরায়েলের এই নির্দেশ বাতিলের জন্য জোরালোভাবে কাজ করছে।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেছেন, ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপ গাজায় চলমান ট্র্যাজেডিকে আরও বেদনাদায়ক পরিস্থিতিতে রূপান্তরিত করতে পারে। গাজায় জাতিসংঘের সব কর্মী, স্কুল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ক্লিনিকের কর্মীসহ সবাইকে সরিয়ে নিতে বলেছে ইসরায়েল।

গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে মূল গাজা সিটি, জাবালিয়া শরণার্থী শিবির, বেইত লাহিয়া ও বেইত হানুন অঞ্চল রয়েছে।

ইসরায়েলের চরম নৃশংসতার শিকার গাজার বাসিন্দারা। দখলদার বাহিনীর হাত থেকে ছাড় পাচ্ছেন না শিশু ও নারীরাও। গত ছয় দিনের অব্যাহত হামলায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এক হাজার ৫৩৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৫০০ শিশু রয়েছে। আর নারী রয়েছেন ২৭৬ জন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ছয় হাজার ৬১২ জন।

শিগগিরই ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল অভিযান শুরু করতে পারে, এমন আশঙ্কার মধ্যেই নতুন এই সিদ্ধান্তটি সামনে এলো। গাজায় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন চার লাখ ৮৪ হাজার ৩৭৮ জন।

দখলদার বাহিনী শুধু হামলা করেই ক্ষান্ত হয়নি। গাজায় খাবার সরবরাহ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিও বন্ধ করে দিয়েছে। জিম্মিদের মুক্তি না দিলে এগুলোর কোনো কিছুই গাজায় সরবরাহ না করার অঙ্গীকার করেছে তারা। ফলে গাজায় মানবিক সংকট গভীর থেকে আরও গভীর হচ্ছে। সূত্র: খবর আলজাজিরা

নিউজটি শেয়ার করুন

১১ লাখ ফিলিস্তিনিকে গাজা ছাড়ার নির্দেশ ইসরায়েলের

আপডেট সময় : ০৯:০৭:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৩

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চল থেকে ১১ লাখের বেশি ফিলিস্তিনিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরে যেতে বলেছে দখলদার ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) দেশটির সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে জাতিসংঘকে এ কথা জানানো হয়েছে।

জাতিসংঘের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, গাজার জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক মানুষ উত্তরাঞ্চলে বাস করেন। তবে জাতিসংঘ ইসরায়েলের এই নির্দেশ বাতিলের জন্য জোরালোভাবে কাজ করছে।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেছেন, ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপ গাজায় চলমান ট্র্যাজেডিকে আরও বেদনাদায়ক পরিস্থিতিতে রূপান্তরিত করতে পারে। গাজায় জাতিসংঘের সব কর্মী, স্কুল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ক্লিনিকের কর্মীসহ সবাইকে সরিয়ে নিতে বলেছে ইসরায়েল।

গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে মূল গাজা সিটি, জাবালিয়া শরণার্থী শিবির, বেইত লাহিয়া ও বেইত হানুন অঞ্চল রয়েছে।

ইসরায়েলের চরম নৃশংসতার শিকার গাজার বাসিন্দারা। দখলদার বাহিনীর হাত থেকে ছাড় পাচ্ছেন না শিশু ও নারীরাও। গত ছয় দিনের অব্যাহত হামলায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এক হাজার ৫৩৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৫০০ শিশু রয়েছে। আর নারী রয়েছেন ২৭৬ জন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ছয় হাজার ৬১২ জন।

শিগগিরই ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল অভিযান শুরু করতে পারে, এমন আশঙ্কার মধ্যেই নতুন এই সিদ্ধান্তটি সামনে এলো। গাজায় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন চার লাখ ৮৪ হাজার ৩৭৮ জন।

দখলদার বাহিনী শুধু হামলা করেই ক্ষান্ত হয়নি। গাজায় খাবার সরবরাহ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিও বন্ধ করে দিয়েছে। জিম্মিদের মুক্তি না দিলে এগুলোর কোনো কিছুই গাজায় সরবরাহ না করার অঙ্গীকার করেছে তারা। ফলে গাজায় মানবিক সংকট গভীর থেকে আরও গভীর হচ্ছে। সূত্র: খবর আলজাজিরা