ভারতকে উচিত জবাব দেয়ার পক্ষে পাকিস্তানিরা

- আপডেট সময় : ০১:০৭:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫
- / ৩৪৯ বার পড়া হয়েছে

অপারেশন সিন্দুর ঘিরে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। পেহেলগাম ইস্যুতে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করায় ভারতকে উচিত জবাব দেয়ার পক্ষে পাকিস্তানের সাধারণ জনতা। প্রয়োজন হলে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে চান তারা। অন্যদিকে উত্তেজনা প্রশমনে পদক্ষেপের দাবি জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দাদের।
২২ এপ্রিল পেহেলগামে প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলা ইস্যুতে ৬ মে মধ্যরাতে অপারেশন সিন্দুর নামে পাকিস্তানকে নিশানা করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। নয়াদিল্লির আক্রমণ প্রতিহত করা ছাড়াও পাল্টা আক্রমণের মাধ্যমে উচিত জবাব দিতে প্রস্তুত ইসলামাবাদ। এরমধ্য দিয়ে দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে চরম পর্যায়ে পৌঁছায় উত্তেজনা।
লড়াইয়ের ময়দানে সমরাস্ত্র ছাড়াও নানা পদক্ষেপে নিজেদের শক্তির জানান দিচ্ছে পাকিস্তান-ভারত। সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তু দাবি করে নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের টার্গেট করায়, শেহবাজ শরীফ সরকার যেমন কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন; তেমনি প্রতিশোধের নেশায় জ্বলছে পাকিস্তানের সাধারণ জনতাও।
পাকিস্তানের কতটা শক্তি-সামর্থ্য আছে, তা ভারতের বোধোদয়ের এখনই সঠিক সময় বলে মন্তব্য পাকিস্তানের নাগরিকদের। তাদের অভিযোগ, সামরিক বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ের সাহস না থাকায় বেসামরিক জনগোষ্ঠী ও নিরীহ মানুষকে লক্ষ্য করে আক্রমণ চালাচ্ছে ভারত। প্রয়োজন হলে দেশটির বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্যও প্রস্তুত বলে হুঁশিয়ারি পাকিস্তানি জনতার।
এক অধিবাসী বলেন, ‘এখন সময় এসেছে ভারতকে বলার যে আমরা পাকিস্তানি। আমাদের জনগণ ভয় পায় না। এছাড়াও আমাদের যে বিশ্বাস ও চেতনা রয়েছে যা অন্যদের নেই।’
আরেকজন বলেন, ‘এটি ভারতের নতুন নয়, পুরনো কৌশল। তারা আমাদের সম্মুখ বাহিনীর সাথে লড়াই করতে পারে না, তাই বেসামরিক জনগোষ্ঠী ও নিরীহ মানুষকে লক্ষ্যবস্তু করছে। তারা আমাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে, যা একটি ব্যর্থ প্রচেষ্টা।’
পাকিস্তানের আরেক অধিবাসী বলেন, ‘তারা আমাদের সাথে যা করেছে তার জন্য আমাদেরও একইভাবে তাদের জবাব দেয়া উচিত। এখন পর্যন্ত আমরা নিজেদের রক্ষা করছি।’
এদিকে যুদ্ধ উত্তেজনায় পাকিস্তান সীমান্ত লাগোয়া ভারতীয় গ্রামবাসীরা রয়েছেন চরম আতঙ্কে। দুই দেশের গোলাগুলিতে ক্ষয়ক্ষতির শিকার কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখার অনেক বাসিন্দা।
এ অবস্থায় সরকারের কাছে যুদ্ধবিরতির জোর দাবি জানিয়েছেন ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণ। শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া জরুরি হয়ে ওঠেছে বলে মনে করছেন তারা।
সেখানকার এক অধিবাসী জানান, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যুদ্ধবিরতির জন্য আমরা সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় থাকুক। আর কোনো ক্ষতি যেন না হয়।
আরেকজন বলেন, ‘যুদ্ধ বন্ধ হোক, শান্তি ফিরে আসুক। আমরা আল্লাহর কাছে শান্তি কামনা করি। সবাই শান্তিতে থাকুক।’
অতীতেও কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে ১৯৪৭, ১৯৬৫, এবং ১৯৭১ সালে তিনবার যুদ্ধে জড়িয়েছে পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত দু’দেশ। ১৯৯৯ সালের কার্গিল সংঘর্ষও দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। তবে পাকিস্তানের দ্বারা পেহেলগাম হামলা হয়েছে – এর জোরালো প্রমাণ না থাকায় ভারতের অপারেশন সিন্দুর আন্তর্জাতিক মঞ্চে ন্যায্যতা পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।