ঢাকা ০৭:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পাক-ভারত সংঘাত রূপ নিয়েছে ‘তথ্য যুদ্ধে’

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:২২:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
  • / ৩৩৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধও এবার রূপ নিয়েছে তথ্য যুদ্ধে। নয়াদিল্লির দাবি, পাকিস্তানের সন্ত্রাসী আস্তানায় হামলা করে শতাধিক সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে তারা। অপরদিকে ইসলামাবাদের পাল্টা দাবি, সন্ত্রাসী ডেরায় নয় বরং বেসামরিক স্থাপনায় হামলা করেছে ভারত। এছাড়াও ভারতের ২৫ ড্রোন ও ৫ টি ফাইটার জেট ভূপাতিত করার যে দাবি করেছে পাকিস্তান তাও মিথ্যা বলে দাবি দেশটির প্রতিরক্ষা বিভাগের।

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সমরাস্ত্রের যুদ্ধের পাশাপাশি শুরু হয়েছে তথ্যযুদ্ধও। পাল্টা-পাল্টি দাবিতে ব্যস্ত নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ। যেখানে এক দেশ অন্য দেশকে পরাজিত করার বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরছে। তাদের সংবাদ মাধ্যমগুলোও তা প্রচার করছে নির্দ্বিধায়। তবে কোন তথ্য সঠিক আর কোনটি ভুল তা যাচাইয়ের কোন বালাই নেই কোন পক্ষেরই।

এই যেমন বৃহস্পতিবার পাকিস্তান দাবি করেছে, তাদের আকাশসীমায় ভারতের বেশ কয়েকটি ড্রোন ঢুকে পড়ে। লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডিসহ বেশ কিছু জায়গায় এসব ড্রোন দিয়ে হামলা করার চেষ্টা ভারত। তবে পাক সেনাদের সতর্ক অবস্থানের কারণে সফলভাবে অভিযান চালাতে পারেনি তারা। সেসময় ইসরাইলের নির্মিত ভারতের ২৫টি ড্রোন ভূপাতিত করে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাহিনী-এমনটাই দাবি ইসলামাবাদের।

অন্যদিকে নয়াদিল্লির দাবি, ভারতের পাঠানো ড্রোনগুলো পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনায় আঘাত করতে সক্ষম হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের ২৫টি ড্রোন ভূ-পাতিত করার বিষয়টিকে অস্বীকার করছে।

এর আগে বুধবার ভোরে, পেহেলগামে ২৬ পর্যটক নিহতের প্রতিবাদে আজাদ কাশ্মীর ও পাকিস্তান ভূখণ্ডে সন্ত্রাসী আখড়াগুলো লক্ষ্য করে ৯টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলার দাবি করে নয়াদিল্লি। তবে ইসলামাবাদ বলছে, কোন সন্ত্রাসী ডেরায় নয়; বরং পাকিস্তানের ৬টি শহর ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হামলা করেছে ভারত।

ঠিক একইভাবে ভারত দাবি করছে, তাদের হামলায় পাকিস্তানের শতাধিক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বেশ জোড়ালো গলায় বলছেন, ভারতের হামলায় বেসামরিক নাগরিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হননি। ভারতে এই দাবির পাল্টা জবাবে পাকিস্তান বলছে, নয়াদিল্লির হামলায় সন্ত্রাসী নয়; বরং নিহত হয়েছে পাকিস্তানের ৩১ বেসামরিক নাগরিক। আবার ভারতও দাবি করছে, পাকিস্তানের হামলায় শিশুসহ ১৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহতের।

এছাড়াও ফ্যাক্টচেকের ভিত্তিতে ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো-পিআইবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভারতের রাফাল ফাইটার জেট ভূপাতিত করার বিষয়টি সম্পূর্ণ ভুল। যদিও পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলো এ নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এছাড়া যে বিমানগুলো পাকিস্তানের মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়, বিষয়টি আদৌ পরিষ্কার নয় বিমানগুলো ভারতের নাকি পাকিস্তানের।

পাক-ভারত নিয়ন্ত্রণ রেখা বা লাইন অব কন্ট্রোলে ভারতীয় সেনাদের সাদা পতাকা উড়ানোর বিষয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। পাকিস্তান দাবি করছে, ভারতের সেনারা আত্মসমর্পণ করেছে বলেই প্রতীকীস্বরূপ সাদা পতাকা উড়িয়েছে। অথচ বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেয়নি নয়াদিল্লি।

পাক-ভারত যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই একের পর এক তথ্য ছড়াচ্ছে দেশ দুটি। যার ভিড়ে সঠিক তথ্য খুঁজে বের করা জটিল হয়ে পড়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

পাক-ভারত সংঘাত রূপ নিয়েছে ‘তথ্য যুদ্ধে’

আপডেট সময় : ০১:২২:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধও এবার রূপ নিয়েছে তথ্য যুদ্ধে। নয়াদিল্লির দাবি, পাকিস্তানের সন্ত্রাসী আস্তানায় হামলা করে শতাধিক সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে তারা। অপরদিকে ইসলামাবাদের পাল্টা দাবি, সন্ত্রাসী ডেরায় নয় বরং বেসামরিক স্থাপনায় হামলা করেছে ভারত। এছাড়াও ভারতের ২৫ ড্রোন ও ৫ টি ফাইটার জেট ভূপাতিত করার যে দাবি করেছে পাকিস্তান তাও মিথ্যা বলে দাবি দেশটির প্রতিরক্ষা বিভাগের।

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সমরাস্ত্রের যুদ্ধের পাশাপাশি শুরু হয়েছে তথ্যযুদ্ধও। পাল্টা-পাল্টি দাবিতে ব্যস্ত নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ। যেখানে এক দেশ অন্য দেশকে পরাজিত করার বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরছে। তাদের সংবাদ মাধ্যমগুলোও তা প্রচার করছে নির্দ্বিধায়। তবে কোন তথ্য সঠিক আর কোনটি ভুল তা যাচাইয়ের কোন বালাই নেই কোন পক্ষেরই।

এই যেমন বৃহস্পতিবার পাকিস্তান দাবি করেছে, তাদের আকাশসীমায় ভারতের বেশ কয়েকটি ড্রোন ঢুকে পড়ে। লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডিসহ বেশ কিছু জায়গায় এসব ড্রোন দিয়ে হামলা করার চেষ্টা ভারত। তবে পাক সেনাদের সতর্ক অবস্থানের কারণে সফলভাবে অভিযান চালাতে পারেনি তারা। সেসময় ইসরাইলের নির্মিত ভারতের ২৫টি ড্রোন ভূপাতিত করে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাহিনী-এমনটাই দাবি ইসলামাবাদের।

অন্যদিকে নয়াদিল্লির দাবি, ভারতের পাঠানো ড্রোনগুলো পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনায় আঘাত করতে সক্ষম হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের ২৫টি ড্রোন ভূ-পাতিত করার বিষয়টিকে অস্বীকার করছে।

এর আগে বুধবার ভোরে, পেহেলগামে ২৬ পর্যটক নিহতের প্রতিবাদে আজাদ কাশ্মীর ও পাকিস্তান ভূখণ্ডে সন্ত্রাসী আখড়াগুলো লক্ষ্য করে ৯টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলার দাবি করে নয়াদিল্লি। তবে ইসলামাবাদ বলছে, কোন সন্ত্রাসী ডেরায় নয়; বরং পাকিস্তানের ৬টি শহর ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হামলা করেছে ভারত।

ঠিক একইভাবে ভারত দাবি করছে, তাদের হামলায় পাকিস্তানের শতাধিক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বেশ জোড়ালো গলায় বলছেন, ভারতের হামলায় বেসামরিক নাগরিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হননি। ভারতে এই দাবির পাল্টা জবাবে পাকিস্তান বলছে, নয়াদিল্লির হামলায় সন্ত্রাসী নয়; বরং নিহত হয়েছে পাকিস্তানের ৩১ বেসামরিক নাগরিক। আবার ভারতও দাবি করছে, পাকিস্তানের হামলায় শিশুসহ ১৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহতের।

এছাড়াও ফ্যাক্টচেকের ভিত্তিতে ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো-পিআইবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভারতের রাফাল ফাইটার জেট ভূপাতিত করার বিষয়টি সম্পূর্ণ ভুল। যদিও পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলো এ নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এছাড়া যে বিমানগুলো পাকিস্তানের মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়, বিষয়টি আদৌ পরিষ্কার নয় বিমানগুলো ভারতের নাকি পাকিস্তানের।

পাক-ভারত নিয়ন্ত্রণ রেখা বা লাইন অব কন্ট্রোলে ভারতীয় সেনাদের সাদা পতাকা উড়ানোর বিষয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। পাকিস্তান দাবি করছে, ভারতের সেনারা আত্মসমর্পণ করেছে বলেই প্রতীকীস্বরূপ সাদা পতাকা উড়িয়েছে। অথচ বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেয়নি নয়াদিল্লি।

পাক-ভারত যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই একের পর এক তথ্য ছড়াচ্ছে দেশ দুটি। যার ভিড়ে সঠিক তথ্য খুঁজে বের করা জটিল হয়ে পড়েছে।