ফেসবুক-ইউটিউব-গণমাধ্যমে আ.লীগের প্রচারণা নিষিদ্ধ

- আপডেট সময় : ০৮:১৫:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
- / ৩৫৩ বার পড়া হয়েছে

শনিবার রাতে আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। রোববার (১১ মে) সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদনে স্বাক্ষর করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশ অনুমোদন প্রসঙ্গ তুলে ধরে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
রোববার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া ওই পোস্টে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পক্ষে বা সমর্থনে কোনো প্রেস বিবৃতির প্রকাশনা বা মুদ্রণ কিংবা গণমাধ্যম, অনলাইন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে যেকোনো ধরনের প্রচারণা, অথবা মিছিল, সভা-সমাবেশ বা সংবাদ সম্মেলন আয়োজন বা জনসমক্ষে বক্তৃতা প্রদান নিষিদ্ধ করবে।
এদিকে সোমবার এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘এই সংশোধনীর মাধ্যমে এখন থেকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত রাজনৈতিক দলসহ যেকোনো সত্তার কার্যক্রম আইনের আওতায় নিষিদ্ধ হতে পারে।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, ‘কতিপয় সন্ত্রাসী কার্য প্রতিরোধ এবং উহাদের কার্যকর শাস্তির বিধানসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান প্রণয়ন করার নিমিত্ত সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ প্রণয়ন করা হয়।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রেস উইং জানায়, ‘উক্ত আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, কোনো ব্যক্তি বা সত্তা সন্ত্রাসী কার্যের সহিত জড়িত রয়েছে মর্মে যুক্তিসংগত কারণের ভিত্তিতে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্ত ব্যক্তিকে তফসিলে তালিকাভুক্ত করতে পারে বা সত্তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা ও তফসিলে তালিকাভুক্ত করতে পারে।
তবে বর্তমান আইনে কোনো সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণের বিষয়ে কোনো বিধান নেই। উক্ত বিষয়টি স্পষ্টীকরণসহ বিধান সংযোজন আবশ্যক হেতু সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-কে সময়োপযোগী করে উক্ত আইনের অধিকতর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজন।’
এতে আরও বলা হয়, ‘বর্ণিত প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধন করে সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, প্রয়োজনীয় অভিযোজন করা এবং অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার নিষিদ্ধকরণের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আগামীকাল সংশোধনীটি অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হতে পারে।