ঢাকা ১০:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় এবার স্থগিত বিশ্বকাপ

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:০৭:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
  • / ৩৪৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি। অথচ সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ কাবাডিতে দল বয়ে বেড়িয়েছে ব্যর্থতার ঘানি। নারী ও পুরুষ দুই বিভাগেই ব্যাকফুটে থাকা লাল-সবুজরা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। আসন্ন বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সম্প্রতি নেপালে টেস্ট সিরিজ খেলে এসেছে বাংলাদেশ নারী দল। কিন্তু ভারত-পাকিস্তান চলমান উত্তেজনার কারণে আসরটি স্থগিত করা হয়েছে।

ভারতের বিহার রাজ্যের রাজগির শহরে আগামী ১ থেকে ১০ জুন নারী কাবাডি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। আসরের জন্য আয়োজকদের কাছে কন্টিনজেন্ট লিস্টও পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন। পরিকল্পনা ছিল শাহনাজ পারভীন মালেকার দলকে ১৫ দিন আগে ভারত পাঠানোর। যাতে বেশ কয়েকটি প্রস্তুতি ম্যাচে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার পর বিশ্বকাপ খেলা যায়।

বাংলাদেশ ছাড়াও ইরান, নেদারল্যান্ডস, জাপান, পোল্যান্ড, উগান্ডা, কেনিয়া, হাঙ্গেরি, থাইল্যান্ড, নেপাল, জার্মানি, আর্জেন্টিনা এবং স্বাগতিক ভারতের এ আসরে অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতির কারণে গত শনিবার (১০) নারী বিশ্বকাপ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আয়োজক ভারতীয় অ্যামেচার কাবাডি ফেডারেশন।

বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘জরুরি বার্তায় আয়োজকরা নারী বিশ্বকাপ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। আসরের জন্য বাংলাদেশ অবশ্য প্রস্তুত ছিল। নেপাল থেকে টেস্ট সিরিজ খেলে আসার পর থেকে প্রস্তুতি চলছিল। আসরে বাংলাদেশের পদক জয়ের ভালো সম্ভাবনাও ছিল।’

নারী কাবাডিতে অন্যান্য দল সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ সেভাবে এগোতে পারিনি। গত এশিয়ান গেমস এবং এসএ গেমসে ব্যর্থতার পর সম্প্রতি টেস্ট সিরিজেও নেপালের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ নারী দল। এরপরেও বিশ্বকাপে লাল-সবুজদের সম্ভাবনা দেখা হচ্ছে কীসের ভিত্তিতে, সেটিই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে সমর্থকদের সামনে।

এস এম নেওয়াজ সোহাগ বলেছেন, ‘নারী দলের সক্ষমতা যাচাই করা জরুরি ছিল। নেপালের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে সেটা করা হয়েছে। আমাদের কোথায় কী ঘাটতি আছে, কোন জায়গায় উন্নতি করতে হবে—এগুলো জানার পর সমস্যা দূর করতে কাজ চলছে। মেয়েরা দুর্বলতাগুলো দ্রুত কাটিয়ে উঠছে। সে দৃষ্টিকোণ থেকেই নারী বিশ্বকাপ নিয়ে আমরা আশাবাদী।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় এবার স্থগিত বিশ্বকাপ

আপডেট সময় : ১২:০৭:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি। অথচ সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ কাবাডিতে দল বয়ে বেড়িয়েছে ব্যর্থতার ঘানি। নারী ও পুরুষ দুই বিভাগেই ব্যাকফুটে থাকা লাল-সবুজরা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। আসন্ন বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সম্প্রতি নেপালে টেস্ট সিরিজ খেলে এসেছে বাংলাদেশ নারী দল। কিন্তু ভারত-পাকিস্তান চলমান উত্তেজনার কারণে আসরটি স্থগিত করা হয়েছে।

ভারতের বিহার রাজ্যের রাজগির শহরে আগামী ১ থেকে ১০ জুন নারী কাবাডি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। আসরের জন্য আয়োজকদের কাছে কন্টিনজেন্ট লিস্টও পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন। পরিকল্পনা ছিল শাহনাজ পারভীন মালেকার দলকে ১৫ দিন আগে ভারত পাঠানোর। যাতে বেশ কয়েকটি প্রস্তুতি ম্যাচে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার পর বিশ্বকাপ খেলা যায়।

বাংলাদেশ ছাড়াও ইরান, নেদারল্যান্ডস, জাপান, পোল্যান্ড, উগান্ডা, কেনিয়া, হাঙ্গেরি, থাইল্যান্ড, নেপাল, জার্মানি, আর্জেন্টিনা এবং স্বাগতিক ভারতের এ আসরে অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতির কারণে গত শনিবার (১০) নারী বিশ্বকাপ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আয়োজক ভারতীয় অ্যামেচার কাবাডি ফেডারেশন।

বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘জরুরি বার্তায় আয়োজকরা নারী বিশ্বকাপ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। আসরের জন্য বাংলাদেশ অবশ্য প্রস্তুত ছিল। নেপাল থেকে টেস্ট সিরিজ খেলে আসার পর থেকে প্রস্তুতি চলছিল। আসরে বাংলাদেশের পদক জয়ের ভালো সম্ভাবনাও ছিল।’

নারী কাবাডিতে অন্যান্য দল সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ সেভাবে এগোতে পারিনি। গত এশিয়ান গেমস এবং এসএ গেমসে ব্যর্থতার পর সম্প্রতি টেস্ট সিরিজেও নেপালের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ নারী দল। এরপরেও বিশ্বকাপে লাল-সবুজদের সম্ভাবনা দেখা হচ্ছে কীসের ভিত্তিতে, সেটিই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে সমর্থকদের সামনে।

এস এম নেওয়াজ সোহাগ বলেছেন, ‘নারী দলের সক্ষমতা যাচাই করা জরুরি ছিল। নেপালের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে সেটা করা হয়েছে। আমাদের কোথায় কী ঘাটতি আছে, কোন জায়গায় উন্নতি করতে হবে—এগুলো জানার পর সমস্যা দূর করতে কাজ চলছে। মেয়েরা দুর্বলতাগুলো দ্রুত কাটিয়ে উঠছে। সে দৃষ্টিকোণ থেকেই নারী বিশ্বকাপ নিয়ে আমরা আশাবাদী।’