ঢাকা ১২:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড: প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:০১:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • / ৩৫৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দর হলো বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড। এটি দুর্বল হলে চলবে না। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি একমত হই, বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড হলো চট্টগ্রাম বন্দর; তাহলে এটা যে সাইজের বন্দর আছে, সেটা চলবে না। এটাকে বিশ্বসাইজের করতে হবে। তাহলে এটা দেশজুড়ে সচল হবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেয়ার পর আজ (বুধবার, ১৪ মে) প্রথমবারের মতো নিজ জেলায় গেলেন প্রধান উপদেষ্টা। সকাল সোয়া ৯টার দিকে তিনি চট্টগ্রামে পৌঁছানোর পর মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। সেখানেই তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর থেকেই অর্থনীতি সচল হয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে যাবে। আবার সারা দেশের জিনিসপত্র এই বন্দর দিয়ে বিদেশে চলে যাবে। এটাই হৃৎপিণ্ডের কাজ, বন্দরের কাজ। বন্দর আরো আছে, তবে এটা হলো একেবারে কেন্দ্রীয়, বড় যে জিনিস। এখান থেকেই সবকিছু নিয়ন্ত্রিত হবে।’

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর শুধু বাংলাদেশ নয়; নেপাল, ভুটান দক্ষিণ এশিয়ার হৃৎপিণ্ড। তাই আগামীর অর্থনীতির জন্য বিশ্বের সেরা অপারেটরের কাছে এ বন্দর দিয়ে দিতে হবে।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘বন্দরের পরিবর্তন নিয়ে আগে লেখালেখি করেছি, এবার দায়িত্বে আসার পর সুযোগ পেলাম সরাসরি কাজ করার। প্রথম দিন থেকেই এটিকে একটি প্রকৃত অর্থে কার্যকর বন্দর হিসেবে গড়ে তুলতে উদ্যোগ নিয়েছি।’

বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা বাড়াতে হলে আন্তর্জাতিক অংশীদারত্বও প্রয়োজন। বিদেশিদের সম্পৃক্ত করেই বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো যেতে পারে।’

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর শুধু বাংলাদেশের জন্য না, আশপাশের দেশের জন্যও। যে কারণে নেপালের কথা বললাম, ভুটানের কথা বললাম, সেভেন সিস্টার্সের কথাও বললাম।’

তিনি বলেন, ‘নেপালের হৃৎপিণ্ডই নেই। কাজেই আমাদের হৃৎপিণ্ড দিয়ে তাদের চলতে হয়। আমরা তাদের সংযুক্ত করতে চাই। এটা তাদেরও লাভ আমাদেরও লাভ। এ হৃৎপিণ্ডে যদি সংযুক্ত হয় তারা লাভবান হবে আমরাও হবো। ভুটান যদি সংযুক্ত হয় তারাও লাভবান হবে আমরাও হব। সেভেন সিস্টার যদি যুক্ত হয় তারাও লাভবান হবে আমরাও হবো। এ হৃৎপিণ্ডকে বাদ দিয়ে চললে, যারা এটাকে বাদ দেবে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি পাল্টাতে হলে চট্টগ্রাম বন্দরই ভরসা। এই বন্দর চালু হলে বিদেশিরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবে।’

অনুষ্ঠানে একটি মাল্টিমিডিয়া ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। এরপর বক্তব্য রাখেন নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার শাখাওয়াত হোসেন। পরে, বন্দর এলাকা পরিদর্শন করেন প্রধান উপদেষ্টা।

পরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে যান প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে তিনি কর্ণফুলী নদীর ওপর কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করেন।

দুপুরে যোগ দেবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তনে। এ অনুষ্ঠানে ড. ইউনূসকে ডি.লিট উপাধি দেওয়া হবে। আর বিকেলে, দীর্ঘ ৮ বছর পর হাটহাজারীর বাথুয়ায় নিজ গ্রামের বাড়িতে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

নিউজটি শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড: প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০১:০১:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দর হলো বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড। এটি দুর্বল হলে চলবে না। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি একমত হই, বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড হলো চট্টগ্রাম বন্দর; তাহলে এটা যে সাইজের বন্দর আছে, সেটা চলবে না। এটাকে বিশ্বসাইজের করতে হবে। তাহলে এটা দেশজুড়ে সচল হবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেয়ার পর আজ (বুধবার, ১৪ মে) প্রথমবারের মতো নিজ জেলায় গেলেন প্রধান উপদেষ্টা। সকাল সোয়া ৯টার দিকে তিনি চট্টগ্রামে পৌঁছানোর পর মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। সেখানেই তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর থেকেই অর্থনীতি সচল হয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে যাবে। আবার সারা দেশের জিনিসপত্র এই বন্দর দিয়ে বিদেশে চলে যাবে। এটাই হৃৎপিণ্ডের কাজ, বন্দরের কাজ। বন্দর আরো আছে, তবে এটা হলো একেবারে কেন্দ্রীয়, বড় যে জিনিস। এখান থেকেই সবকিছু নিয়ন্ত্রিত হবে।’

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর শুধু বাংলাদেশ নয়; নেপাল, ভুটান দক্ষিণ এশিয়ার হৃৎপিণ্ড। তাই আগামীর অর্থনীতির জন্য বিশ্বের সেরা অপারেটরের কাছে এ বন্দর দিয়ে দিতে হবে।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘বন্দরের পরিবর্তন নিয়ে আগে লেখালেখি করেছি, এবার দায়িত্বে আসার পর সুযোগ পেলাম সরাসরি কাজ করার। প্রথম দিন থেকেই এটিকে একটি প্রকৃত অর্থে কার্যকর বন্দর হিসেবে গড়ে তুলতে উদ্যোগ নিয়েছি।’

বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা বাড়াতে হলে আন্তর্জাতিক অংশীদারত্বও প্রয়োজন। বিদেশিদের সম্পৃক্ত করেই বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো যেতে পারে।’

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর শুধু বাংলাদেশের জন্য না, আশপাশের দেশের জন্যও। যে কারণে নেপালের কথা বললাম, ভুটানের কথা বললাম, সেভেন সিস্টার্সের কথাও বললাম।’

তিনি বলেন, ‘নেপালের হৃৎপিণ্ডই নেই। কাজেই আমাদের হৃৎপিণ্ড দিয়ে তাদের চলতে হয়। আমরা তাদের সংযুক্ত করতে চাই। এটা তাদেরও লাভ আমাদেরও লাভ। এ হৃৎপিণ্ডে যদি সংযুক্ত হয় তারা লাভবান হবে আমরাও হবো। ভুটান যদি সংযুক্ত হয় তারাও লাভবান হবে আমরাও হব। সেভেন সিস্টার যদি যুক্ত হয় তারাও লাভবান হবে আমরাও হবো। এ হৃৎপিণ্ডকে বাদ দিয়ে চললে, যারা এটাকে বাদ দেবে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি পাল্টাতে হলে চট্টগ্রাম বন্দরই ভরসা। এই বন্দর চালু হলে বিদেশিরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবে।’

অনুষ্ঠানে একটি মাল্টিমিডিয়া ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। এরপর বক্তব্য রাখেন নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার শাখাওয়াত হোসেন। পরে, বন্দর এলাকা পরিদর্শন করেন প্রধান উপদেষ্টা।

পরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে যান প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে তিনি কর্ণফুলী নদীর ওপর কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করেন।

দুপুরে যোগ দেবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তনে। এ অনুষ্ঠানে ড. ইউনূসকে ডি.লিট উপাধি দেওয়া হবে। আর বিকেলে, দীর্ঘ ৮ বছর পর হাটহাজারীর বাথুয়ায় নিজ গ্রামের বাড়িতে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।