ঢাকা ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ঘোষণা ট্রাম্পের

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:১২:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • / ৩৫১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মধ্যপ্রাচ্য সফরে এসে একের পর এক চমক দেখাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার। দেখা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান আহমেদ আল শারার সঙ্গে। বললেন, ধসে পড়া অর্থনীতি পুনর্গঠনে সিরিয়াকে সুযোগ দেয়া উচিত। এই খবর শোনামাত্র উৎসব উদযাপনে রাজপথে নেমেছেন সিরিয়ার সাধারণ মানুষ।

মধ্যপ্রাচ্য সফরে যেন জাদুর ঝুলি নিয়ে এসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার দেয়া এক ঘোষণায় খুশি হয়ে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান পর্যন্ত দাঁড়িয়ে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন ট্রাম্পকে। কারণ সিরিয়া থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে সৌদি আরবে থাকা অবস্থায় যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান আর রিসেপ তাইপ এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠক শেষে সৌদি- যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগ সম্মেলনে ট্রাম্প ঘোষণা দেন, নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পাচ্ছে সিরিয়া। তুরস্ক আর সৌদি আরব বহুদিন ধরেই এই মধ্যস্থতার পক্ষে।

ট্রাম্প বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশকে আরেকবার সুযোগ দেয়া উচিত। এসময় স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদের পতন ঘটিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের দায়িত্ব নেয়া সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান আহমেদ আল শারার সঙ্গে দেখা করেন তিনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘সিরিয়ায় নতুন সরকার দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে কাজ চলছে। সিরিয়াকে আমরা এভাবেই দেখতে চাই। তারা অনেক বছর ধরে হতাহত হচ্ছে। যে কারণে আমার প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সিরিয়ার সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সিরিয়াকে সুযোগ দেয়া উচিত।’

স্বৈরশাসক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পতনের পর ঠিক এভাবেই রাজপথে নেমে উল্লাস করেছিলেন সিরিয়ার সাধারণ মানুষ। এবার উদযাপনের জন্য আরেকটি উপলক্ষ্য পেলো সিরিয়া। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেলো যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি। গেলো ৫০ বছর ধরে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল মধ্যপ্রাচ্যের জ্বালানিসৃমদ্ধ এই দেশটি।

২০১১ সাল থেকে সিরিয়ার জ্বালানি, আমদানি রপ্তানিসহ আর্থিক খাতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছিলো যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞা মুক্তির খবরে এভাবেই আরেকবার রাজপথে নেমেছেন সাধারণ মানুষ।

বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘সত্যি বলতে এটা খুশির খবর, আমরা খুশি। কারণ আমি জানি আমার দেশের জন্য ভালো হবে।’

আরেকজন বলেন, ‘যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে ধন্যবাদ। সৌদি আরবের সমর্থন আমাদের সঙ্গে শুরু থেকেই ছিল।’

স্বৈরশাসক ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ২০১১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত পুরোপুরি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল সিরিয়া। বিশ্বের আর্থিক ব্যবস্থা থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন ছিল দামেস্ক।

দেশটিতে ছিল না কোন বিদেশি বিনিয়োগ। যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশ পুনর্গঠনেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। যদিও, ২০১৬ সালে সশস্ত্র সংগঠন আল কায়েদার সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকার পরও আহমেদ আল শারা প্রশাসনকে নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত করা নিয়ে বিভিন্ন মহলে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।

নিউজটি শেয়ার করুন

সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ঘোষণা ট্রাম্পের

আপডেট সময় : ০৪:১২:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

মধ্যপ্রাচ্য সফরে এসে একের পর এক চমক দেখাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার। দেখা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান আহমেদ আল শারার সঙ্গে। বললেন, ধসে পড়া অর্থনীতি পুনর্গঠনে সিরিয়াকে সুযোগ দেয়া উচিত। এই খবর শোনামাত্র উৎসব উদযাপনে রাজপথে নেমেছেন সিরিয়ার সাধারণ মানুষ।

মধ্যপ্রাচ্য সফরে যেন জাদুর ঝুলি নিয়ে এসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার দেয়া এক ঘোষণায় খুশি হয়ে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান পর্যন্ত দাঁড়িয়ে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন ট্রাম্পকে। কারণ সিরিয়া থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে সৌদি আরবে থাকা অবস্থায় যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান আর রিসেপ তাইপ এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠক শেষে সৌদি- যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগ সম্মেলনে ট্রাম্প ঘোষণা দেন, নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পাচ্ছে সিরিয়া। তুরস্ক আর সৌদি আরব বহুদিন ধরেই এই মধ্যস্থতার পক্ষে।

ট্রাম্প বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশকে আরেকবার সুযোগ দেয়া উচিত। এসময় স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদের পতন ঘটিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের দায়িত্ব নেয়া সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান আহমেদ আল শারার সঙ্গে দেখা করেন তিনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘সিরিয়ায় নতুন সরকার দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে কাজ চলছে। সিরিয়াকে আমরা এভাবেই দেখতে চাই। তারা অনেক বছর ধরে হতাহত হচ্ছে। যে কারণে আমার প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সিরিয়ার সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সিরিয়াকে সুযোগ দেয়া উচিত।’

স্বৈরশাসক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পতনের পর ঠিক এভাবেই রাজপথে নেমে উল্লাস করেছিলেন সিরিয়ার সাধারণ মানুষ। এবার উদযাপনের জন্য আরেকটি উপলক্ষ্য পেলো সিরিয়া। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেলো যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি। গেলো ৫০ বছর ধরে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল মধ্যপ্রাচ্যের জ্বালানিসৃমদ্ধ এই দেশটি।

২০১১ সাল থেকে সিরিয়ার জ্বালানি, আমদানি রপ্তানিসহ আর্থিক খাতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছিলো যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞা মুক্তির খবরে এভাবেই আরেকবার রাজপথে নেমেছেন সাধারণ মানুষ।

বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘সত্যি বলতে এটা খুশির খবর, আমরা খুশি। কারণ আমি জানি আমার দেশের জন্য ভালো হবে।’

আরেকজন বলেন, ‘যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে ধন্যবাদ। সৌদি আরবের সমর্থন আমাদের সঙ্গে শুরু থেকেই ছিল।’

স্বৈরশাসক ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ২০১১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত পুরোপুরি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল সিরিয়া। বিশ্বের আর্থিক ব্যবস্থা থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন ছিল দামেস্ক।

দেশটিতে ছিল না কোন বিদেশি বিনিয়োগ। যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশ পুনর্গঠনেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। যদিও, ২০১৬ সালে সশস্ত্র সংগঠন আল কায়েদার সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকার পরও আহমেদ আল শারা প্রশাসনকে নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত করা নিয়ে বিভিন্ন মহলে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।