ঢাকা ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও নির্বাচনের দাবিতে উত্তাল লিবিয়া

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৩২:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
  • / ৩৪৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে উত্তাল লিবিয়া। সরকারবিরোধী এই বিক্ষোভে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে এরইমধ্যে পদত্যাগ করেছেন দেশটির তিন মন্ত্রী। গতকালের (শুক্রবার, ১৭ মে) বিক্ষোভে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক সদস্য নিহত হয়েছে বলে দাবি ক্ষমতাসীন আব্দুল হামিদ প্রশাসনের।

দুই মিলিশিয়া বাহিনীর সংঘাতের পর এবার সরকারবিরোধী আন্দোলনে উত্তাল লিবিয়া। আব্দুল হামিদ প্রশাসনের তিন মন্ত্রীর পদত্যাগে আরও বেগবান সরকার পতনের দাবি।

শুক্রবার রাজধানী ত্রিপোলির শহীদ স্কয়ার থেকে মিছিল নিয়ে সিটি সেন্টারের মূল সরকারি ভবন ঘেরাও করেন বিক্ষোভকারীরা। এসময় প্রধানমন্ত্রী আব্দুল হামিদ ছাড়াও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করা হয়।

বিভক্তিতে ভরা লিবিয়ায় জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে ২০২১ সালে জাতিসংঘের সহায়তায় ক্ষমতা গ্রহণ করেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আব্দুল হামিদ বেইবাহ। ওই বছরই নির্বাচন দেয়ার কথা থাকলেও বিরোধী সংগঠনগুলোর কারণে ভেস্তে যায় সে পরিকল্পনা।

চলতি সপ্তাহে ত্রিপোলিতে দুই বিরোধী গোষ্ঠীর মধ্য রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাণ যায় অন্তত আট বেসামরিক নাগরিকের। নিহত হন মিলিশিয়া বাহিনীর প্রধান আব্দুল ঘানি কিকলি। এর জেরে গেল বুধবার লিবিয়ার প্রশাসন দুইপক্ষের মধ্যে অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দিলেও দেশটির সাধারণ মানুষের অভিযোগ, দেশে স্থিতিশীলতা আনতে ব্যর্থ বর্তমান সরকার। পাশাপাশি সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর তৎপরতা বাড়তে থাকায় নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ জনমনে।

এদিকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে এরইমধ্যে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন আব্দুল হামিদ প্রশাসনের বাণিজ্য, স্থানীয় সরকার ও গৃহায়ন মন্ত্রী। পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাওয়ায় বেসামরিক নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ।

২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকে লিবিয়ায় সেই অর্থে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দেখা যায়নি। ৪২ বছর ক্ষমতায় থাকার পর পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সমর্থনপুষ্ট বিরোধী একটি গোষ্ঠীর হাতে আটক হন তিনি। ঐ বছরের ২০ অক্টোবর হত্যা করা হয় তাকে।

এরপর থেকে জ্বালানি তেলসমৃদ্ধ লিবিয়ার অর্থনীতি ধীরে ধীরে পতনের দিকেই গেছে। পশ্চিমাদের মোহভঙ্গের পর লিবিয়ায় শান্তি ফেরাতে উদ্যোগ নেয় জাতিসংঘ। ২০২০ সালের অক্টোবরে মেলে সফলতা। অস্ত্রবিরতির মধ্য দিয়ে দেশটিতে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সংঘাত থামলেও আবারও এই আশঙ্কা দানা বাঁধতে শুরু করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও নির্বাচনের দাবিতে উত্তাল লিবিয়া

আপডেট সময় : ০৪:৩২:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে উত্তাল লিবিয়া। সরকারবিরোধী এই বিক্ষোভে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে এরইমধ্যে পদত্যাগ করেছেন দেশটির তিন মন্ত্রী। গতকালের (শুক্রবার, ১৭ মে) বিক্ষোভে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক সদস্য নিহত হয়েছে বলে দাবি ক্ষমতাসীন আব্দুল হামিদ প্রশাসনের।

দুই মিলিশিয়া বাহিনীর সংঘাতের পর এবার সরকারবিরোধী আন্দোলনে উত্তাল লিবিয়া। আব্দুল হামিদ প্রশাসনের তিন মন্ত্রীর পদত্যাগে আরও বেগবান সরকার পতনের দাবি।

শুক্রবার রাজধানী ত্রিপোলির শহীদ স্কয়ার থেকে মিছিল নিয়ে সিটি সেন্টারের মূল সরকারি ভবন ঘেরাও করেন বিক্ষোভকারীরা। এসময় প্রধানমন্ত্রী আব্দুল হামিদ ছাড়াও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করা হয়।

বিভক্তিতে ভরা লিবিয়ায় জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে ২০২১ সালে জাতিসংঘের সহায়তায় ক্ষমতা গ্রহণ করেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আব্দুল হামিদ বেইবাহ। ওই বছরই নির্বাচন দেয়ার কথা থাকলেও বিরোধী সংগঠনগুলোর কারণে ভেস্তে যায় সে পরিকল্পনা।

চলতি সপ্তাহে ত্রিপোলিতে দুই বিরোধী গোষ্ঠীর মধ্য রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাণ যায় অন্তত আট বেসামরিক নাগরিকের। নিহত হন মিলিশিয়া বাহিনীর প্রধান আব্দুল ঘানি কিকলি। এর জেরে গেল বুধবার লিবিয়ার প্রশাসন দুইপক্ষের মধ্যে অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দিলেও দেশটির সাধারণ মানুষের অভিযোগ, দেশে স্থিতিশীলতা আনতে ব্যর্থ বর্তমান সরকার। পাশাপাশি সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর তৎপরতা বাড়তে থাকায় নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ জনমনে।

এদিকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে এরইমধ্যে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন আব্দুল হামিদ প্রশাসনের বাণিজ্য, স্থানীয় সরকার ও গৃহায়ন মন্ত্রী। পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাওয়ায় বেসামরিক নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ।

২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকে লিবিয়ায় সেই অর্থে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দেখা যায়নি। ৪২ বছর ক্ষমতায় থাকার পর পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সমর্থনপুষ্ট বিরোধী একটি গোষ্ঠীর হাতে আটক হন তিনি। ঐ বছরের ২০ অক্টোবর হত্যা করা হয় তাকে।

এরপর থেকে জ্বালানি তেলসমৃদ্ধ লিবিয়ার অর্থনীতি ধীরে ধীরে পতনের দিকেই গেছে। পশ্চিমাদের মোহভঙ্গের পর লিবিয়ায় শান্তি ফেরাতে উদ্যোগ নেয় জাতিসংঘ। ২০২০ সালের অক্টোবরে মেলে সফলতা। অস্ত্রবিরতির মধ্য দিয়ে দেশটিতে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সংঘাত থামলেও আবারও এই আশঙ্কা দানা বাঁধতে শুরু করেছে।