ঢাকা ০২:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

লুটপাট চূড়ান্ত করার জন্য ইশরাককে মেয়র পদে বসতে দেওয়া হচ্ছে না : দুদু

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৬:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
  • / ৩৫৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

লুটপাট চূড়ান্ত করার জন্য সরকার ইঞ্জিনিয়ার ইশরাককে মেয়র পদে বসতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, ভারত ও আওয়ামী লীগের মতো এখনো প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পরও মেয়র হতে দেওয়া হয়নি ইশরাককে। কোর্ট রায় দেওয়ার পরও তাকে শপথ করানো হচ্ছে না।

মঙ্গলবার (২০ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল আয়োজিত ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি গণতন্ত্র সুশাসন প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, এখন সম্পূর্ণ প্রতিহিংসামূলক কাজ করছে সরকার। লুটপাট চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাককে মেয়র পদে বসতে দিচ্ছে না। কোর্টের আদেশ যদি কেউ না মানে তাকে নব্য ফ্যাসিস্ট বলা যায়। সরকার সেই লাইনে যাচ্ছে কি না চিন্তার বিষয়।

আওয়ামী লীগের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বিএনপি চলে– এনসিপির দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর এ কথার জবাবে তিনি বলেন, আমি তাকে আবাল বলব। কথা বলার আগে একটু চিন্তাভাবনা করে বলতে হয়। আবালের মতো কথা বললে তোমাদের সম্বন্ধে মানুষের ধারণা কোথায় যাচ্ছে একটু চিন্তা করো। এমন কোনো কথা বলবা না যে কথার দায়িত্ব নিতে পারবা না। হিসাব করে চলা ও বলা এবং গণতন্ত্রের রীতিনীতি না মানলে ফ্যাসিস্ট হিসেবে চিহ্নিত হবা। এরকম প্রতিহিংসামূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে রাজনীতি করা যাবে না।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, দেশ যেদিকে যাচ্ছে সন্দেহ-অবিশ্বাস বাড়ছে। এ সরকারের প্রতি জনগণের সমর্থন, আশা ও বিশ্বাস ছিল, সেই সমর্থন আশা ও বিশ্বাস আস্তে আস্তে টুটে যাচ্ছে। সরকারকে এ জিনিসটা বুঝতে হবে। আমরা ড. ইউনূসের মধ্য দিয়ে একটা ভালো নির্বাচনের প্রত্যাশা করি। যদি ড. ইউনূস ফেল করেন তাহলে সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ করব এ দেশে গণতন্ত্রের ভিত্তি ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য। সুপ্রিম কোর্টেরও দায়িত্ব আছে দেশ ও জনগণকে রক্ষা করার।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, অতি সতর্কতার সঙ্গে পরিস্থিতি অনুধাবন করে দ্রুত একটি ভালো জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে তিনি যাবেন এ প্রত্যাশা করি।

ভারতের উদ্দেশে তিনি বলেন, ভারত সভ্য দেশ হলে আরেকটি সভ্য দেশের ভিসা বন্ধ করত না, বাংলাদেশের ট্রানজিট বন্ধ করত না। সীমান্তে নির্বিচারে বাংলাদেশিদের হত্যা করত না। তিস্তা নদীর পানি বন্ধ করত না।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম।

নিউজটি শেয়ার করুন

লুটপাট চূড়ান্ত করার জন্য ইশরাককে মেয়র পদে বসতে দেওয়া হচ্ছে না : দুদু

আপডেট সময় : ০৩:৫৬:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

লুটপাট চূড়ান্ত করার জন্য সরকার ইঞ্জিনিয়ার ইশরাককে মেয়র পদে বসতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, ভারত ও আওয়ামী লীগের মতো এখনো প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পরও মেয়র হতে দেওয়া হয়নি ইশরাককে। কোর্ট রায় দেওয়ার পরও তাকে শপথ করানো হচ্ছে না।

মঙ্গলবার (২০ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল আয়োজিত ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি গণতন্ত্র সুশাসন প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, এখন সম্পূর্ণ প্রতিহিংসামূলক কাজ করছে সরকার। লুটপাট চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাককে মেয়র পদে বসতে দিচ্ছে না। কোর্টের আদেশ যদি কেউ না মানে তাকে নব্য ফ্যাসিস্ট বলা যায়। সরকার সেই লাইনে যাচ্ছে কি না চিন্তার বিষয়।

আওয়ামী লীগের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বিএনপি চলে– এনসিপির দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর এ কথার জবাবে তিনি বলেন, আমি তাকে আবাল বলব। কথা বলার আগে একটু চিন্তাভাবনা করে বলতে হয়। আবালের মতো কথা বললে তোমাদের সম্বন্ধে মানুষের ধারণা কোথায় যাচ্ছে একটু চিন্তা করো। এমন কোনো কথা বলবা না যে কথার দায়িত্ব নিতে পারবা না। হিসাব করে চলা ও বলা এবং গণতন্ত্রের রীতিনীতি না মানলে ফ্যাসিস্ট হিসেবে চিহ্নিত হবা। এরকম প্রতিহিংসামূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে রাজনীতি করা যাবে না।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, দেশ যেদিকে যাচ্ছে সন্দেহ-অবিশ্বাস বাড়ছে। এ সরকারের প্রতি জনগণের সমর্থন, আশা ও বিশ্বাস ছিল, সেই সমর্থন আশা ও বিশ্বাস আস্তে আস্তে টুটে যাচ্ছে। সরকারকে এ জিনিসটা বুঝতে হবে। আমরা ড. ইউনূসের মধ্য দিয়ে একটা ভালো নির্বাচনের প্রত্যাশা করি। যদি ড. ইউনূস ফেল করেন তাহলে সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ করব এ দেশে গণতন্ত্রের ভিত্তি ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য। সুপ্রিম কোর্টেরও দায়িত্ব আছে দেশ ও জনগণকে রক্ষা করার।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, অতি সতর্কতার সঙ্গে পরিস্থিতি অনুধাবন করে দ্রুত একটি ভালো জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে তিনি যাবেন এ প্রত্যাশা করি।

ভারতের উদ্দেশে তিনি বলেন, ভারত সভ্য দেশ হলে আরেকটি সভ্য দেশের ভিসা বন্ধ করত না, বাংলাদেশের ট্রানজিট বন্ধ করত না। সীমান্তে নির্বিচারে বাংলাদেশিদের হত্যা করত না। তিস্তা নদীর পানি বন্ধ করত না।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম।