ঢাকা ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মদের ওপর নিষেধাজ্ঞা কি তুলে নিচ্ছে সৌদি?

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৩৪:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
  • / ৩৬১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি প্রতিবেদন ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে—ইসলামের জন্মভূমি সৌদি আরব নাকি ৭৩ বছর ধরে চলা মদসহ অ্যালকোহলের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে। তবে দেশটির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গতকাল সোমবার ওই দাবি অস্বীকার করেছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানোপ হয়।

প্রথমে একটি ওয়াইন-বিষয়ক ব্লগে এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, পরে তা আন্তর্জাতিক কয়েকটি গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে বলা হয়, সৌদি সরকার ২০৩৪ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নিয়ন্ত্রিতভাবে মদ বিক্রির অনুমতি দিতে পারে। তবে এই দাবির পক্ষে কোনো নির্দিষ্ট সূত্র উল্লেখ করা হয়নি।

এই খবর দ্রুত সৌদি আরবের অনলাইন মহলে বিতর্ক সৃষ্টি করে। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, ইসলামের দুটি পবিত্রতম স্থান—মক্কা ও মদিনার রক্ষণাবেক্ষণকারী একটি রাষ্ট্র কীভাবে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে?

সৌদি সরকারের এক মুখপাত্র স্পষ্টভাবে বলেন, ‘মুসলমানদের জন্য মদ নিষিদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই।’

গত কয়েক বছর ধরে সৌদি আরব ‘ভিশন ২০৩০’-এর আওতায় ব্যাপক সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারের পথে এগোচ্ছে। দেশটির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস) নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়া, লিঙ্গ-বিভাজন হ্রাস, এবং ধর্মীয় পুলিশের ক্ষমতা কমানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছেন।

এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে রিয়াদে অ-মুসলিম কূটনীতিকদের জন্য একটি মদের দোকান চালু করা হয়। তবে সাধারণ নাগরিক বা মুসলমানদের জন্য এখনো এ ধরনের কোনো ছাড় নেই।

সৌদি আইনে মদপান এখনো একটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রবাসীদের জন্য এর শাস্তি হতে পারে নির্বাসন, জেল বা জরিমানা। আগে এই অপরাধের জন্য শতাধিক বেত্রাঘাতের বিধান ছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

মদের ওপর নিষেধাজ্ঞা কি তুলে নিচ্ছে সৌদি?

আপডেট সময় : ১০:৩৪:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি প্রতিবেদন ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে—ইসলামের জন্মভূমি সৌদি আরব নাকি ৭৩ বছর ধরে চলা মদসহ অ্যালকোহলের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে। তবে দেশটির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গতকাল সোমবার ওই দাবি অস্বীকার করেছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানোপ হয়।

প্রথমে একটি ওয়াইন-বিষয়ক ব্লগে এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, পরে তা আন্তর্জাতিক কয়েকটি গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে বলা হয়, সৌদি সরকার ২০৩৪ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নিয়ন্ত্রিতভাবে মদ বিক্রির অনুমতি দিতে পারে। তবে এই দাবির পক্ষে কোনো নির্দিষ্ট সূত্র উল্লেখ করা হয়নি।

এই খবর দ্রুত সৌদি আরবের অনলাইন মহলে বিতর্ক সৃষ্টি করে। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, ইসলামের দুটি পবিত্রতম স্থান—মক্কা ও মদিনার রক্ষণাবেক্ষণকারী একটি রাষ্ট্র কীভাবে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে?

সৌদি সরকারের এক মুখপাত্র স্পষ্টভাবে বলেন, ‘মুসলমানদের জন্য মদ নিষিদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই।’

গত কয়েক বছর ধরে সৌদি আরব ‘ভিশন ২০৩০’-এর আওতায় ব্যাপক সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারের পথে এগোচ্ছে। দেশটির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস) নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়া, লিঙ্গ-বিভাজন হ্রাস, এবং ধর্মীয় পুলিশের ক্ষমতা কমানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছেন।

এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে রিয়াদে অ-মুসলিম কূটনীতিকদের জন্য একটি মদের দোকান চালু করা হয়। তবে সাধারণ নাগরিক বা মুসলমানদের জন্য এখনো এ ধরনের কোনো ছাড় নেই।

সৌদি আইনে মদপান এখনো একটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রবাসীদের জন্য এর শাস্তি হতে পারে নির্বাসন, জেল বা জরিমানা। আগে এই অপরাধের জন্য শতাধিক বেত্রাঘাতের বিধান ছিল।