ঢাকা ০৮:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নদীতীরে চলছে বাঁধ নির্মাণ, স্থায়ীত্ব নিয়ে সংশয়

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৪২:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
  • / ৩৬০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রতি বছরই ছোট হয়ে আসছে ভোলার মানচিত্র। ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয় শত শত পরিবার। প্রতি বর্ষাতেই দ্বীপ জেলাটির এমন চিত্র দেখা যায়। এবারও নদীর তীর থেকে বালু তুলে, ঠিক সেই তীরেই চলছে বাঁধ নির্মাণের কাজ। যদিও কাজের স্থায়ীত্ব নিয়ে আছে অভিযোগ। ফলে নতুন নতুন প্রকল্প নেয়া হলেও সমাধানটা থেকে যাচ্ছে ধোঁয়াশায়। প্রশ্ন থেকেই যায়, প্রকল্পের নামে এই বিশাল ব্যয় কি সত্যিই নিরাপত্তা দিচ্ছে?

ভোলার মেঘনা তেঁতুলিয়া নদীর তীর ঘেঁষে চলছে ড্রেজিং। নদীর বুক চিরে তোলা করা হচ্ছে বালু। আর সেই বালু দিয়েই নদীর তীরে চলছে হাজার হাজার কোটি টাকার বাঁধ, সিসি ব্লক ও স্লুইস গেট নির্মাণের কর্মযজ্ঞ।

ভোলা সদর, দৌলতখান, মনপুরা, বোরহানউদ্দিন, তজুমউদ্দিন আর লালমোহন উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৪টি প্রকল্পে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। যার মধ্যে বাঁধ নির্মাণ, সিসি ব্লক, স্লুইসগেট নির্মান, সাব মার্সিবল স্পার নির্মাণ, জিও ব্যাগ ও টিউব ডাম্পিং এবং ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কারের কাজ চলছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিবছর নতুন নতুন প্রকল্প নেয়া হলেও সুফল মেলে না। প্রতি বর্ষাতেই ভিটে মাটি হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে শত শত পরিবার। ঠিকাদারদের অনিয়মের কারণে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্পগুলো পড়ছে হুমকির মুখে।

সুশীল সমাজ প্রতিনিধি অ্যাড. নজরুল হক অনু বলেন, ‘যদি নদী গবেষণা ইন্সটিটিউটের মাধ্যমে গবেষণা করে এ প্রকল্প গ্রহণ করা হতো, তাহলে বাঁধগুলো টেকসই হতো। তবে যেভাবে করা হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকা জলেই যাচ্ছে।’

এদিকে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন বন্ধের পাশাপাশি প্রকল্পের কাজ যথাযথ মনিটরিংয়ের আশ্বাস দিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা।

ভোলা পানিউন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ‘জায়গাভেদে সেটা আমরা নির্ধারণ করে দিয়েছি যে কত কিলোমিটার দূর থেকে বালু তুলবে এবং সেভাবেই তোলা হচ্ছে। যে কারণে নদী ভাঙনের যে ইস্যুটা, সেটা বালু তোলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।’

ভোলা-১ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দীন আরিফ বলেন, ‘বাঁধের নিকট থেকে বালু তুলছে এমন অভিযোগ এই মুহূর্তে আমাদের কাছে আসেনি। যদি এরকম হয় তাহলে আমরা প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করবো এবং জেলা প্রশাসন থেকে এটা বন্ধ করে দেয়া হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

নদীতীরে চলছে বাঁধ নির্মাণ, স্থায়ীত্ব নিয়ে সংশয়

আপডেট সময় : ১২:৪২:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

প্রতি বছরই ছোট হয়ে আসছে ভোলার মানচিত্র। ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয় শত শত পরিবার। প্রতি বর্ষাতেই দ্বীপ জেলাটির এমন চিত্র দেখা যায়। এবারও নদীর তীর থেকে বালু তুলে, ঠিক সেই তীরেই চলছে বাঁধ নির্মাণের কাজ। যদিও কাজের স্থায়ীত্ব নিয়ে আছে অভিযোগ। ফলে নতুন নতুন প্রকল্প নেয়া হলেও সমাধানটা থেকে যাচ্ছে ধোঁয়াশায়। প্রশ্ন থেকেই যায়, প্রকল্পের নামে এই বিশাল ব্যয় কি সত্যিই নিরাপত্তা দিচ্ছে?

ভোলার মেঘনা তেঁতুলিয়া নদীর তীর ঘেঁষে চলছে ড্রেজিং। নদীর বুক চিরে তোলা করা হচ্ছে বালু। আর সেই বালু দিয়েই নদীর তীরে চলছে হাজার হাজার কোটি টাকার বাঁধ, সিসি ব্লক ও স্লুইস গেট নির্মাণের কর্মযজ্ঞ।

ভোলা সদর, দৌলতখান, মনপুরা, বোরহানউদ্দিন, তজুমউদ্দিন আর লালমোহন উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৪টি প্রকল্পে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। যার মধ্যে বাঁধ নির্মাণ, সিসি ব্লক, স্লুইসগেট নির্মান, সাব মার্সিবল স্পার নির্মাণ, জিও ব্যাগ ও টিউব ডাম্পিং এবং ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কারের কাজ চলছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিবছর নতুন নতুন প্রকল্প নেয়া হলেও সুফল মেলে না। প্রতি বর্ষাতেই ভিটে মাটি হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে শত শত পরিবার। ঠিকাদারদের অনিয়মের কারণে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্পগুলো পড়ছে হুমকির মুখে।

সুশীল সমাজ প্রতিনিধি অ্যাড. নজরুল হক অনু বলেন, ‘যদি নদী গবেষণা ইন্সটিটিউটের মাধ্যমে গবেষণা করে এ প্রকল্প গ্রহণ করা হতো, তাহলে বাঁধগুলো টেকসই হতো। তবে যেভাবে করা হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকা জলেই যাচ্ছে।’

এদিকে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন বন্ধের পাশাপাশি প্রকল্পের কাজ যথাযথ মনিটরিংয়ের আশ্বাস দিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা।

ভোলা পানিউন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ‘জায়গাভেদে সেটা আমরা নির্ধারণ করে দিয়েছি যে কত কিলোমিটার দূর থেকে বালু তুলবে এবং সেভাবেই তোলা হচ্ছে। যে কারণে নদী ভাঙনের যে ইস্যুটা, সেটা বালু তোলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।’

ভোলা-১ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দীন আরিফ বলেন, ‘বাঁধের নিকট থেকে বালু তুলছে এমন অভিযোগ এই মুহূর্তে আমাদের কাছে আসেনি। যদি এরকম হয় তাহলে আমরা প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করবো এবং জেলা প্রশাসন থেকে এটা বন্ধ করে দেয়া হবে।’