ঢাকা ০২:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আন্তর্জাতিক বাজারে ফের বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:১৩:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪২৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মাত্র একদিনের ব্যবধানে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রায় ৬ শতাংশ বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত ফেব্রুয়ারির পর এটিই সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান সংঘাতের কারণে বাজারে জ্বালানি তেলের সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেওয়ায় গতকাল শুক্রবার অস্বাভাবিকভাবে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গেছে।

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন করা হয় মধ্যপ্রাচ্য থেকে। কিন্তু গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী ও ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে জ্বালানি তেলের বাজার অস্থির হয়ে ওঠে। যুদ্ধের অস্থিরতা পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়লে জ্বালানি তেলের সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আমদানি বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

গত শুক্রবার আইসিই ফিউচার্সে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ৫ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেলের ৯০ ডলার ৮৯ সেন্টে হয়েছে। অন্যদিকে আর নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে (নিমেক্স) মার্কিন বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ৫ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৮৭ ডলার ৬৯ সেন্টে হয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল বা ফিলিস্তিন—কোনও দেশই তেল-গ্যাস সরবরাহ করে না। কিন্তু দেশ দুটির পাশের দেশগুলো বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জ্বালানি তেল সরবরাহ করে থাকে। বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যের দুটি দেশ ইরান ও সৌদি আরব যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে জ্বালানি তেলের সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থা সানা জানিয়েছে, চলমান ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংঘাতের কারণে জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১০০ ডলারে উঠে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইরানের তেলমন্ত্রী জাভেদ ওজির।

ইসরায়েলকে সমর্থন দিচ্ছে আমেরিকা। অন্যদিকে হামাসকে সমর্থন দিয়েছে ইরান। এমন অবস্থায় ইরানের জ্বালানি তেল রফতানিতে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা কঠোর করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনটি যদি ঘটে, তবে বৈশ্বিক বাজারে জ্বালানি তেলের ব্যাপক সরবরাহ ঘাটতি তৈরি হবে।

গত বছর ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার পর রাশিয়ার জ্বালানি তেলের ট্যাঙ্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় আমেরিকা। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যায়। কারণ মধ্যপ্রাচ্যের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম অপরিশোধিত জ্বালানি তেল সরবরাহকারী দেশ হচ্ছে রাশিয়া।

এদিকে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জ্বালানি তেল আমদানি করে চীন। দেশটি তার অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে শুরু করেছে। এমন অবস্থায় চীনে জ্বালানিটির চাহিদা বাড়বে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। আর এই সুযোগে জ্বালানি তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেকও চলতি সপ্তাহে দাম বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বাজারে ফের বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম

আপডেট সময় : ১০:১৩:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৩

মাত্র একদিনের ব্যবধানে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রায় ৬ শতাংশ বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত ফেব্রুয়ারির পর এটিই সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান সংঘাতের কারণে বাজারে জ্বালানি তেলের সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেওয়ায় গতকাল শুক্রবার অস্বাভাবিকভাবে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গেছে।

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন করা হয় মধ্যপ্রাচ্য থেকে। কিন্তু গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী ও ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে জ্বালানি তেলের বাজার অস্থির হয়ে ওঠে। যুদ্ধের অস্থিরতা পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়লে জ্বালানি তেলের সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আমদানি বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

গত শুক্রবার আইসিই ফিউচার্সে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ৫ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেলের ৯০ ডলার ৮৯ সেন্টে হয়েছে। অন্যদিকে আর নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে (নিমেক্স) মার্কিন বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ৫ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৮৭ ডলার ৬৯ সেন্টে হয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল বা ফিলিস্তিন—কোনও দেশই তেল-গ্যাস সরবরাহ করে না। কিন্তু দেশ দুটির পাশের দেশগুলো বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জ্বালানি তেল সরবরাহ করে থাকে। বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যের দুটি দেশ ইরান ও সৌদি আরব যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে জ্বালানি তেলের সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থা সানা জানিয়েছে, চলমান ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংঘাতের কারণে জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১০০ ডলারে উঠে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইরানের তেলমন্ত্রী জাভেদ ওজির।

ইসরায়েলকে সমর্থন দিচ্ছে আমেরিকা। অন্যদিকে হামাসকে সমর্থন দিয়েছে ইরান। এমন অবস্থায় ইরানের জ্বালানি তেল রফতানিতে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা কঠোর করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনটি যদি ঘটে, তবে বৈশ্বিক বাজারে জ্বালানি তেলের ব্যাপক সরবরাহ ঘাটতি তৈরি হবে।

গত বছর ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার পর রাশিয়ার জ্বালানি তেলের ট্যাঙ্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় আমেরিকা। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যায়। কারণ মধ্যপ্রাচ্যের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম অপরিশোধিত জ্বালানি তেল সরবরাহকারী দেশ হচ্ছে রাশিয়া।

এদিকে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জ্বালানি তেল আমদানি করে চীন। দেশটি তার অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে শুরু করেছে। এমন অবস্থায় চীনে জ্বালানিটির চাহিদা বাড়বে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। আর এই সুযোগে জ্বালানি তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেকও চলতি সপ্তাহে দাম বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে।