ঢাকা ১০:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গাজায় বাস্তুচ্যুত ১০ লাখ মানুষ : জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:১৪:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪২৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অষ্টম দিনের মতো চলছে ইসরায়েলি বিমান হামলা। গত শনিবার (৭ অক্টোবর) ইসরায়েলের মূলভূখণ্ডে ভয়াবহ রকেট হামলা চালায় গাজার শাসকগোষ্ঠী সশস্ত্র হামাস যোদ্ধারা। এর জেরে গাজায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান যুদ্ধে কেবল গাজায় অন্তত ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। যুদ্ধ শুরুর প্রথম সাতদিনে এই ফিলিস্তিনিরা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনে নিযুক্ত জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)।

সংস্থাটির যোগাযোগবিষয়ক পরিচালক জুলিয়েট তোমা সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, গাজায় সংঘাতের প্রথম সপ্তাহে প্রায় দশ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। গত কয়েকদিন ধরে ইসরায়েলের টানা বোমাবর্ষণে উপত্যকার মানুষের জীবনে ভয়াবহ সংকট তৈরি হয়েছে বলে জাতিসংঘের কর্মীরা জানিয়েছেন। সংস্থাটির কর্মকর্তা আজম সহকর্মীদের কাছে পাঠানো এক বার্তায় বলেছেন, এমন দিনে গাজায় থাকা মানেই কোনো রকমে বাঁচা। এটি জীবন নয়।

গত শনিবার (৭ অক্টোবর) ইসরায়েলের মূলভূখণ্ডে ভয়াবহ রকেট হামলা চালায় গাজার শাসকগোষ্ঠী সশস্ত্র হামাস যোদ্ধারা। এর জবাবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। দুই পক্ষে পাল্টাপাল্টি হামলায় এ পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। প্রথা অনুযায়ী, বিমান হামলার আগে, ঘরবাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দেয় তেলআবিব। এরইমধ্যে গাজা উপত্যকায় বসবাসকারী প্রায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর ছাড়তে ২৪ ঘণ্টার সময় (আলটিমেটাম) বেঁধে দেয় ইসরায়েল বাহিনী। সে সময় ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। তবে ফিলিস্তিনিরা গাজা ছাড়বেন না বলে জানিয়েছেন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া।

এদিকে , ঘরবাড়ি ছেড়েও জীবন বাঁচাত পারছেন না অনেক ফিলিস্তিনিরা। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে যে হাসপাতালের মর্গেও মৃতদেহ রাখার আর হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে অনেকের মৃতদেহ আইসক্রিমবহনকারী ফ্রিজিং ভ্যান বা অন্যান্য খাবারের ফ্রিজিং গাড়িতে রাখছেন ফিলিস্তিনিরা। আট দিনের টানা হামলায় গাজা যেন পরিণত হয়েছে মৃত্যুপুরীতে।

অল্প সময়ের মধ্যে বহু সংখ্যক নিহতের কারণে মৃতদেহ দাফনে হিমশিম খাচ্ছে গাজাবাসী। গাজা সিটির একটি গণকবরে কয়েক ডজন ফিলিস্তিনিকে দাফন করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় বাস্তুচ্যুত ১০ লাখ মানুষ : জাতিসংঘ

আপডেট সময় : ০৫:১৪:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অষ্টম দিনের মতো চলছে ইসরায়েলি বিমান হামলা। গত শনিবার (৭ অক্টোবর) ইসরায়েলের মূলভূখণ্ডে ভয়াবহ রকেট হামলা চালায় গাজার শাসকগোষ্ঠী সশস্ত্র হামাস যোদ্ধারা। এর জেরে গাজায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান যুদ্ধে কেবল গাজায় অন্তত ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। যুদ্ধ শুরুর প্রথম সাতদিনে এই ফিলিস্তিনিরা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনে নিযুক্ত জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)।

সংস্থাটির যোগাযোগবিষয়ক পরিচালক জুলিয়েট তোমা সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, গাজায় সংঘাতের প্রথম সপ্তাহে প্রায় দশ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। গত কয়েকদিন ধরে ইসরায়েলের টানা বোমাবর্ষণে উপত্যকার মানুষের জীবনে ভয়াবহ সংকট তৈরি হয়েছে বলে জাতিসংঘের কর্মীরা জানিয়েছেন। সংস্থাটির কর্মকর্তা আজম সহকর্মীদের কাছে পাঠানো এক বার্তায় বলেছেন, এমন দিনে গাজায় থাকা মানেই কোনো রকমে বাঁচা। এটি জীবন নয়।

গত শনিবার (৭ অক্টোবর) ইসরায়েলের মূলভূখণ্ডে ভয়াবহ রকেট হামলা চালায় গাজার শাসকগোষ্ঠী সশস্ত্র হামাস যোদ্ধারা। এর জবাবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। দুই পক্ষে পাল্টাপাল্টি হামলায় এ পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। প্রথা অনুযায়ী, বিমান হামলার আগে, ঘরবাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দেয় তেলআবিব। এরইমধ্যে গাজা উপত্যকায় বসবাসকারী প্রায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর ছাড়তে ২৪ ঘণ্টার সময় (আলটিমেটাম) বেঁধে দেয় ইসরায়েল বাহিনী। সে সময় ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। তবে ফিলিস্তিনিরা গাজা ছাড়বেন না বলে জানিয়েছেন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া।

এদিকে , ঘরবাড়ি ছেড়েও জীবন বাঁচাত পারছেন না অনেক ফিলিস্তিনিরা। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে যে হাসপাতালের মর্গেও মৃতদেহ রাখার আর হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে অনেকের মৃতদেহ আইসক্রিমবহনকারী ফ্রিজিং ভ্যান বা অন্যান্য খাবারের ফ্রিজিং গাড়িতে রাখছেন ফিলিস্তিনিরা। আট দিনের টানা হামলায় গাজা যেন পরিণত হয়েছে মৃত্যুপুরীতে।

অল্প সময়ের মধ্যে বহু সংখ্যক নিহতের কারণে মৃতদেহ দাফনে হিমশিম খাচ্ছে গাজাবাসী। গাজা সিটির একটি গণকবরে কয়েক ডজন ফিলিস্তিনিকে দাফন করা হয়।