ঢাকা ০৫:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাত: বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন সেবা চালু করা হয়েছে দুতাবাস। ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের + ৯৮৯908577368 ও + ৯৮৯১22065745 নম্বরে (হোয়াটসঅ্যাপ সহ) যোগাযোগ করতে বলেছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

বিয়ে করলেই যেসব দেশের নাগরিকত্ব পাবেন

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৩৯:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫
  • / ৩৭৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জন্মসূত্রে অধিকাংশই আমরা বাংলাদেশি নাগরিক। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে সম্ভাবনার এই যুগে এমন অনেকেই রয়েছেন, যারা জন্মভূমির পাশাপাশি সেকেন্ড সিটিজেনশিপ বা দ্বিতীয় নাগরিকত্ব চান। অন্য দেশের নাগরিক হওয়ার জন্য অনেক চেষ্টাও চালান। এর মধ্যে বহুল পরিচিত উপায়গুলোর মধ্যে দীর্ঘদিন কাঙ্ক্ষিত দেশটিতে বসবাসের পর রেসিডেন্সি বা সিটিজেনশিপের জন্য আবেদন করা।

নাগরিকত্বের জন্য অনেকেই আবার ভিনদেশি মানুষকে বিয়ে করেন। আধুনিক বিশ্বে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ভিনদেশিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলা যায়। এমনকি তা সম্পর্কে গড়িয়ে বিয়েতেও গড়ানো যায়। আবার কাজের সূত্রে বা ভ্রমণের মাধ্যমেও জানা-শোনা থেকে ভিনদেশি মানুষকে বিয়ে করা যায়। বিশ্বের এমন কিছু দেশ রয়েছে, যেসব দেশের নাগরিককে বিয়ে করলে বৈধ উপায়ে সেই দেশের নাগরিকত্ব লাভ করা যায়। এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে নোম্যাড ক্যাপিটালিস্ট। এ বিষয়ে তাহলে জেনে নেয়া যাক।

কেপ ভার্ড:
প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে ভরা পশ্চিম আফ্রিকার দ্বীপরাষ্ট্র কেপ ভার্ড। দেশটির নাগরিককে বিয়ে করলে সেই দেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই দেশটির নাগরিককে বৈধভাবে বিয়ে করতে হবে। নাগরিকত্ব লাভের জন্য কেপ ভার্ডে বসবাসের কোনো পূর্বশর্ত নেই। ফলে এ দেশের নাগরিকদের বিয়ের মাধ্যমে নাগরিকত্ব লাভ সহজ ও সময় সাশ্রয়ী।

স্পেন:
দক্ষিণ ইউরোপের বৃহৎ দেশ স্পেন। দেশটির আইনে বলা আছে, কেউ স্প্যানিশ নাগরিক বিয়ে করার পর একসঙ্গে এক বছর বসবাস করলেই স্পেনের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। দেশটির নাগরিকত্ব একবার পেলে পাশাপাশি লাতিন আমেরিকা, পর্তুগাল, ফিলিপাইন ইত্যাদি দেশের দ্বৈত নাগরিকত্বের সুবিধা পাওয়া যায়। এ জন্য স্প্যানিশ নাগরিককে বিয়ের বৈধ সনদ ও একসঙ্গে বসবাসের প্রমাণাদি লাগে। কখনো কখনো স্প্যানিশ ভাষায় প্রাথমিক দক্ষতা এবং দেশটির সংস্কৃতি সম্যক ধারণা কাজে লাগে।

কলম্বিয়া:
লাতিন আমেরিকার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ কলম্বিয়া। দেশটিতে অফুরন্ত সুযোগ রয়েছে। অনেকেরই বিশ্বাস, কলম্বিয়া হচ্ছে আমেরিকার লুকানো রত্ন। সাধারণত দেশটিতে নাগরিকত্বের জন্য পাঁচ থেকে দশ বছর পর্যন্ত সময়ের প্রয়োজন হয়। কিন্তু দেশটির নাগরিক বিয়ে করলে এই সময় মাত্র দুই বছরে এসে দাঁড়ায়। এ জন্য স্প্যানিশ ভাষায় অনুষ্ঠিত নাগরিকত্ব পরীক্ষায় উত্তীর্ণের প্রয়োজন হতে পারে। এছাড়া আপনি অন্য কোনো লাতিন দেশের হলে মাত্র এক বছরে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আর্জেন্টিনা:
ফুটবলপ্রেমী মানুষদের কাছে খুবই পরিচিত এক নাম আর্জেন্টিনা। দেশটির কোনো নাগরিককে বিয়ে করলে সেখানে স্থায়ীভাবে থাকার অনুমতি মিলে। বিয়ের দুই বছর পরই আর্জেন্টিনার নাগরিকত্ব অর্জনের আবেদন করা যায়। এ জন্য বিয়ের বৈধ কাগজপত্র এবং কোনো ধরনের অপরাধ না করার প্রমাণাদির প্রয়োজন হয়। অনেক সময় স্প্যানিশ ভাষার জ্ঞানও লাগে।

মেক্সিকো:
আপনি যদি মেক্সিকান কোনো নাগরিককে বিয়ে করে তার সঙ্গে দুই বছর বসবাস করেন, তাহলে দেশটির নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন বলে উল্লেখ রয়েছে মেক্সিকোর আইনে। এ জন্য আপনার স্প্যানিশ ভাষার দক্ষতা, বিয়ের বৈধ কাগজপত্র ও একসঙ্গে থাকার প্রমাণাদি লাগবে। এখানে ভালো সুবিধা হচ্ছে, আপনি মেক্সিকোর নাগরিকত্ব পেলেও আগের দেশের পাসপোর্ট সঙ্গে রাখতে পারবেন।

তুরস্ক:
অনেকের কাছেই তুরস্ক হচ্ছে স্বপ্নের দেশ। ইতিহাস ও ঐতিহ্যে ঘেরা তুরস্কে বিয়ের পর তিন বছর একসঙ্গে থাকলে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। লাতিন আমেরিকা বা ইউরোপের তুলনায় তুরস্কের নাগরিকত্ব অর্জন অনেকটাই সহজ। এ দেশের নাগরিকত্বের জন্য ভাষা বা সংস্কৃতি জানার প্রয়োজন নেই। কেবল তিন বছর একসঙ্গে বসবাস করতে পারলেই দেশটির নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারবেন। নাগরিকত্ব পেলে দেশটির পাসপোর্ট দিয়ে বিশ্বের ১১০টিরও বেশি দেশে ভিসা ফ্রি বা অন অ্যারাইভাল সুবিধা পাবেন।

সুইজারল্যান্ড:
কঠোর অভিবাসন নীতির জন্য সুইজারল্যান্ডের নাগরিকত্ব লাভ খানিকটা জটিল। তবে দেশটির নাগরিককে বিয়ের মাধ্যমে বৈধভাবে নাগরিকত্ব লাভ করা যায়। আপনি যাকে বিয়ে করবেন তিনি যদি সুইস নাগরিক হয়ে থাকেন এবং আপনারা একসঙ্গে তিন বছর থাকলে, তাহলে পাঁচ বছর বসবাসের পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবার দেশের বাইরে থাকলেও দাম্পত্যজীবনের ছয় বছর অতিক্রম হলে সুইজারল্যান্ডের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। দেশটির নাগরিকত্ব অর্জন করলে ইউরোপে বসবাসের সুযোগ পাবেন। এ জন্য সুইস সমাজে মিশে যাওয়ার প্রমাণ যেমন- সুইজারল্যান্ডের ভাষা, সংস্কৃতিক সম্পর্কে জানা-শোনা, কোনো ধরনের অপরাধমূলক কাজে না জড়ানোর রেকর্ড ও বৈধ দাম্পত্য সম্পর্কের সনদ হলেই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিয়ে করলেই যেসব দেশের নাগরিকত্ব পাবেন

আপডেট সময় : ১২:৩৯:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

জন্মসূত্রে অধিকাংশই আমরা বাংলাদেশি নাগরিক। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে সম্ভাবনার এই যুগে এমন অনেকেই রয়েছেন, যারা জন্মভূমির পাশাপাশি সেকেন্ড সিটিজেনশিপ বা দ্বিতীয় নাগরিকত্ব চান। অন্য দেশের নাগরিক হওয়ার জন্য অনেক চেষ্টাও চালান। এর মধ্যে বহুল পরিচিত উপায়গুলোর মধ্যে দীর্ঘদিন কাঙ্ক্ষিত দেশটিতে বসবাসের পর রেসিডেন্সি বা সিটিজেনশিপের জন্য আবেদন করা।

নাগরিকত্বের জন্য অনেকেই আবার ভিনদেশি মানুষকে বিয়ে করেন। আধুনিক বিশ্বে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ভিনদেশিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলা যায়। এমনকি তা সম্পর্কে গড়িয়ে বিয়েতেও গড়ানো যায়। আবার কাজের সূত্রে বা ভ্রমণের মাধ্যমেও জানা-শোনা থেকে ভিনদেশি মানুষকে বিয়ে করা যায়। বিশ্বের এমন কিছু দেশ রয়েছে, যেসব দেশের নাগরিককে বিয়ে করলে বৈধ উপায়ে সেই দেশের নাগরিকত্ব লাভ করা যায়। এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে নোম্যাড ক্যাপিটালিস্ট। এ বিষয়ে তাহলে জেনে নেয়া যাক।

কেপ ভার্ড:
প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে ভরা পশ্চিম আফ্রিকার দ্বীপরাষ্ট্র কেপ ভার্ড। দেশটির নাগরিককে বিয়ে করলে সেই দেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই দেশটির নাগরিককে বৈধভাবে বিয়ে করতে হবে। নাগরিকত্ব লাভের জন্য কেপ ভার্ডে বসবাসের কোনো পূর্বশর্ত নেই। ফলে এ দেশের নাগরিকদের বিয়ের মাধ্যমে নাগরিকত্ব লাভ সহজ ও সময় সাশ্রয়ী।

স্পেন:
দক্ষিণ ইউরোপের বৃহৎ দেশ স্পেন। দেশটির আইনে বলা আছে, কেউ স্প্যানিশ নাগরিক বিয়ে করার পর একসঙ্গে এক বছর বসবাস করলেই স্পেনের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। দেশটির নাগরিকত্ব একবার পেলে পাশাপাশি লাতিন আমেরিকা, পর্তুগাল, ফিলিপাইন ইত্যাদি দেশের দ্বৈত নাগরিকত্বের সুবিধা পাওয়া যায়। এ জন্য স্প্যানিশ নাগরিককে বিয়ের বৈধ সনদ ও একসঙ্গে বসবাসের প্রমাণাদি লাগে। কখনো কখনো স্প্যানিশ ভাষায় প্রাথমিক দক্ষতা এবং দেশটির সংস্কৃতি সম্যক ধারণা কাজে লাগে।

কলম্বিয়া:
লাতিন আমেরিকার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ কলম্বিয়া। দেশটিতে অফুরন্ত সুযোগ রয়েছে। অনেকেরই বিশ্বাস, কলম্বিয়া হচ্ছে আমেরিকার লুকানো রত্ন। সাধারণত দেশটিতে নাগরিকত্বের জন্য পাঁচ থেকে দশ বছর পর্যন্ত সময়ের প্রয়োজন হয়। কিন্তু দেশটির নাগরিক বিয়ে করলে এই সময় মাত্র দুই বছরে এসে দাঁড়ায়। এ জন্য স্প্যানিশ ভাষায় অনুষ্ঠিত নাগরিকত্ব পরীক্ষায় উত্তীর্ণের প্রয়োজন হতে পারে। এছাড়া আপনি অন্য কোনো লাতিন দেশের হলে মাত্র এক বছরে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আর্জেন্টিনা:
ফুটবলপ্রেমী মানুষদের কাছে খুবই পরিচিত এক নাম আর্জেন্টিনা। দেশটির কোনো নাগরিককে বিয়ে করলে সেখানে স্থায়ীভাবে থাকার অনুমতি মিলে। বিয়ের দুই বছর পরই আর্জেন্টিনার নাগরিকত্ব অর্জনের আবেদন করা যায়। এ জন্য বিয়ের বৈধ কাগজপত্র এবং কোনো ধরনের অপরাধ না করার প্রমাণাদির প্রয়োজন হয়। অনেক সময় স্প্যানিশ ভাষার জ্ঞানও লাগে।

মেক্সিকো:
আপনি যদি মেক্সিকান কোনো নাগরিককে বিয়ে করে তার সঙ্গে দুই বছর বসবাস করেন, তাহলে দেশটির নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন বলে উল্লেখ রয়েছে মেক্সিকোর আইনে। এ জন্য আপনার স্প্যানিশ ভাষার দক্ষতা, বিয়ের বৈধ কাগজপত্র ও একসঙ্গে থাকার প্রমাণাদি লাগবে। এখানে ভালো সুবিধা হচ্ছে, আপনি মেক্সিকোর নাগরিকত্ব পেলেও আগের দেশের পাসপোর্ট সঙ্গে রাখতে পারবেন।

তুরস্ক:
অনেকের কাছেই তুরস্ক হচ্ছে স্বপ্নের দেশ। ইতিহাস ও ঐতিহ্যে ঘেরা তুরস্কে বিয়ের পর তিন বছর একসঙ্গে থাকলে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। লাতিন আমেরিকা বা ইউরোপের তুলনায় তুরস্কের নাগরিকত্ব অর্জন অনেকটাই সহজ। এ দেশের নাগরিকত্বের জন্য ভাষা বা সংস্কৃতি জানার প্রয়োজন নেই। কেবল তিন বছর একসঙ্গে বসবাস করতে পারলেই দেশটির নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারবেন। নাগরিকত্ব পেলে দেশটির পাসপোর্ট দিয়ে বিশ্বের ১১০টিরও বেশি দেশে ভিসা ফ্রি বা অন অ্যারাইভাল সুবিধা পাবেন।

সুইজারল্যান্ড:
কঠোর অভিবাসন নীতির জন্য সুইজারল্যান্ডের নাগরিকত্ব লাভ খানিকটা জটিল। তবে দেশটির নাগরিককে বিয়ের মাধ্যমে বৈধভাবে নাগরিকত্ব লাভ করা যায়। আপনি যাকে বিয়ে করবেন তিনি যদি সুইস নাগরিক হয়ে থাকেন এবং আপনারা একসঙ্গে তিন বছর থাকলে, তাহলে পাঁচ বছর বসবাসের পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবার দেশের বাইরে থাকলেও দাম্পত্যজীবনের ছয় বছর অতিক্রম হলে সুইজারল্যান্ডের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। দেশটির নাগরিকত্ব অর্জন করলে ইউরোপে বসবাসের সুযোগ পাবেন। এ জন্য সুইস সমাজে মিশে যাওয়ার প্রমাণ যেমন- সুইজারল্যান্ডের ভাষা, সংস্কৃতিক সম্পর্কে জানা-শোনা, কোনো ধরনের অপরাধমূলক কাজে না জড়ানোর রেকর্ড ও বৈধ দাম্পত্য সম্পর্কের সনদ হলেই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।