ঢাকা ০৯:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ভুয়া প্রেমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে আদালতে টেইলর সুইফট

বিনোদন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:২৭:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
  • / ৩৫৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মার্কিন সংগীতশিল্পী টেইলর সুইফট। সম্প্রতি তার বাড়িতে একাধিকবার অনুপ্রবেশকারী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। ব্রায়ান জেসন ওয়াগনার নামে ৪৫ বছর বয়সি ওই ব্যক্তি গত প্রায় এক বছর ধরেই সুইফটের বাড়িতে গিয়ে তার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে দাবি করে আসছেন।

আদালতে সুইফটের জমা দেওয়া বিবৃতিতে জানা যায়—২০২৪ সালের জুলাই মাসে প্রথমবার তার বাড়িতে যান ব্রায়ান এবং ওই মাসেই তিনবার হাজির হন। প্রতিবারই সুইফটের নিরাপত্তা টিম তাকে বাধা দেয়। একবার তিনি একটি কাচের বোতল সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন, যা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের উপযোগী ছিল বলে উল্লেখ করেন সুইফট।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়—ব্রায়ান বারবার দাবি করেছেন তিনি সুইফটের বাড়িতে থাকেন, তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে এবং সুইফট নাকি তার সন্তানের মা—যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন বলে সুইফট জানান।

সুইফটের নিরাপত্তা টিমের পক্ষ থেকে বলা হয়, ব্রায়ান জেলে থাকার সময় শতাধিকবার চিঠি ও ইমেইলের মাধ্যমে সুইফটের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন। এসব বার্তায় তিনি সুইফটের প্রতি গভীর মোহ প্রকাশ করেন এবং তাদের সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করেন। বিষয়টি এতটাই উদ্বেগজনক হয়ে ওঠে যে, নিরাপত্তা টিম তাকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে।

ব্রায়ান সম্প্রতি আবারও সুইফটের বাড়িতে যান এবং জানান, তিনি একজন বন্ধুর খোঁজ নিতে এসেছেন। তখনই তদন্ত করে জানা যায়, তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি ২০২৩ সালে জেলে ছিলেন এবং তখন থেকেই সুইফটকে নিয়মিত বার্তা পাঠিয়ে যাচ্ছেন।

সবচেয়ে উদ্বেগজনক ঘটনা হলো—ব্রায়ান নিজের ড্রাইভিং লাইসেন্সে সুইফটের লস অ্যাঞ্জেলেসের বাড়ির ঠিকানা যুক্ত করেছেন এবং সেটি ওই ঠিকানায় পাঠানোও হয়েছে।

সুইফট জানান, তিনি ব্রায়ানকে চেনেন না, কখনোই দেখা বা কথা হয়নি, এমনকি নিজের ঠিকানাও কখনো শেয়ার করেননি।

গত কয়েক সপ্তাহে সুইফটের স্টাফদের ২৬টির বেশি ইমেইল পাঠিয়েছেন ব্রায়ান। এগুলোর ভাষা ছিল হুমকিস্বরূপ। এই পরিস্থিতি সুইফট ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে।

আদালত ৩০ জুন শুনানির দিন নির্ধারণ করেছেন। আপাতত ব্রায়ানের বিরুদ্ধে একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে, যাতে তিনি সুইফটের বাড়ি, গাড়ি ও কর্মস্থলে যেতে না পারেন। বিচারক যদি পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দেন, তবে সেটি ভঙ্গ করলে ব্রায়ানকে গ্রেফতার করা হতে পারে।

এটিই প্রথমবার নয়, এর আগেও সুইফটের প্রতি এই ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের অভিযোগ উঠেছে। ২০২৪ সালে এক ব্যক্তি তার নিউইয়র্কের বাড়িতে প্রায় ৩০ বার গিয়েছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভুয়া প্রেমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে আদালতে টেইলর সুইফট

আপডেট সময় : ১২:২৭:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

মার্কিন সংগীতশিল্পী টেইলর সুইফট। সম্প্রতি তার বাড়িতে একাধিকবার অনুপ্রবেশকারী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। ব্রায়ান জেসন ওয়াগনার নামে ৪৫ বছর বয়সি ওই ব্যক্তি গত প্রায় এক বছর ধরেই সুইফটের বাড়িতে গিয়ে তার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে দাবি করে আসছেন।

আদালতে সুইফটের জমা দেওয়া বিবৃতিতে জানা যায়—২০২৪ সালের জুলাই মাসে প্রথমবার তার বাড়িতে যান ব্রায়ান এবং ওই মাসেই তিনবার হাজির হন। প্রতিবারই সুইফটের নিরাপত্তা টিম তাকে বাধা দেয়। একবার তিনি একটি কাচের বোতল সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন, যা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের উপযোগী ছিল বলে উল্লেখ করেন সুইফট।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়—ব্রায়ান বারবার দাবি করেছেন তিনি সুইফটের বাড়িতে থাকেন, তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে এবং সুইফট নাকি তার সন্তানের মা—যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন বলে সুইফট জানান।

সুইফটের নিরাপত্তা টিমের পক্ষ থেকে বলা হয়, ব্রায়ান জেলে থাকার সময় শতাধিকবার চিঠি ও ইমেইলের মাধ্যমে সুইফটের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন। এসব বার্তায় তিনি সুইফটের প্রতি গভীর মোহ প্রকাশ করেন এবং তাদের সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করেন। বিষয়টি এতটাই উদ্বেগজনক হয়ে ওঠে যে, নিরাপত্তা টিম তাকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে।

ব্রায়ান সম্প্রতি আবারও সুইফটের বাড়িতে যান এবং জানান, তিনি একজন বন্ধুর খোঁজ নিতে এসেছেন। তখনই তদন্ত করে জানা যায়, তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি ২০২৩ সালে জেলে ছিলেন এবং তখন থেকেই সুইফটকে নিয়মিত বার্তা পাঠিয়ে যাচ্ছেন।

সবচেয়ে উদ্বেগজনক ঘটনা হলো—ব্রায়ান নিজের ড্রাইভিং লাইসেন্সে সুইফটের লস অ্যাঞ্জেলেসের বাড়ির ঠিকানা যুক্ত করেছেন এবং সেটি ওই ঠিকানায় পাঠানোও হয়েছে।

সুইফট জানান, তিনি ব্রায়ানকে চেনেন না, কখনোই দেখা বা কথা হয়নি, এমনকি নিজের ঠিকানাও কখনো শেয়ার করেননি।

গত কয়েক সপ্তাহে সুইফটের স্টাফদের ২৬টির বেশি ইমেইল পাঠিয়েছেন ব্রায়ান। এগুলোর ভাষা ছিল হুমকিস্বরূপ। এই পরিস্থিতি সুইফট ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে।

আদালত ৩০ জুন শুনানির দিন নির্ধারণ করেছেন। আপাতত ব্রায়ানের বিরুদ্ধে একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে, যাতে তিনি সুইফটের বাড়ি, গাড়ি ও কর্মস্থলে যেতে না পারেন। বিচারক যদি পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দেন, তবে সেটি ভঙ্গ করলে ব্রায়ানকে গ্রেফতার করা হতে পারে।

এটিই প্রথমবার নয়, এর আগেও সুইফটের প্রতি এই ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের অভিযোগ উঠেছে। ২০২৪ সালে এক ব্যক্তি তার নিউইয়র্কের বাড়িতে প্রায় ৩০ বার গিয়েছিলেন।